শীতের আনন্দ গায়ে মেখে টাকিতে ইছামতীর পাড়ে পর্যটকদের ভিড়

- আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার
- / 17
ইনামুল হক, বসিরহাট: রাজ্যজুড়ে বড়দিনের আনন্দে মেতে উঠতে পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় ছিল টাকিও। বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ইছামতী পাড়ের টাকি পর্যটন কেন্দ্রে ভোরবেলা থেকে ঘন কুয়াশার মধ্যেও ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। বসিরহাট, বারাসাত ও কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু পর্যটক দিনের আলো ফুটতে ফুটতে আনন্দে মেতে ওঠে।
রাজবাড়ি ঘাট, ঘোষবাবুর ঘাট ও মিনি সুন্দরবন সহ একাধিক স্পটে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। একদিকে ইছামতীতে নৌ বিহার, অন্যদিকে চলে দেদার পিকনিক, খাওয়া-দাওয়া, ভ্রমণ থেকে শুরু করে গান-নাচ ও সেলিব্রেশান। কিন্তু তার মধ্যেই পর্যটকদের মধ্যে নতুন আতঙ্কের ভ্রুকুটি করোনা আতঙ্ক।
হয়তো এখনো দেশে করোনা প্রভাব সেইভাবে পড়েনি। কিন্তু টাকিতে আগত পর্যটকরা ইতিমধ্যে বলছেন তারা কোনোভাবে ঝুঁকি নিতে রাজি নন।
বিগত বছরগুলিতে যেভাবে করোনা আতঙ্কের সঞ্চার করেছিল মানুষের মধ্যে তার থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার টাকিতে তাগত পর্যটকরা যথেষ্টই সচেতন। তারা একাধিক সতর্কতা নিতে এর মধ্যে শুরু করেছেন।
তারা জানাচ্ছেন আনন্দ উৎসব চলবে, ক্রিসমাসের মজাও থাকবে কিন্তু তার মধ্যেও করোনার কথা ভুলে গেলে চলবে না। ন্যূনতম প্রিকশান গুলো অবশ্যই নেওয়া জরুরি।
যদিও টাকি জুড়ে সকাল থেকেই পর্যটকরা একদিকে যেমন ইছামতীর নদীর পাড়ে “আই লাভ টাকি”র সামনে কেউ সেল্ফি তুলতে ব্যস্ত। আবার কেউ যিশু খ্রীষ্টকে উৎসর্গ করে কেক কাটছেন। আবার কেউ ইছামতীর পাড়ে গিটার নিয়ে গান ধরেছেন। সব মিলিয়ে বছর শেষে করোনার নতুন আতঙ্কের মধ্যেও টাকি পর্যটন কেন্দ্র যে জমজমাট সে কথা বলাই বাহুল্য।