৩০ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ, শোকজ করল দল

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 24

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের খরিদা এলাকায় ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে। ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। শোকজ করা হয়েছে অভিযুক্ত নেত্রীকে, তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব।

মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও বিধায়ক সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে বেবি কোলেকে তাঁর এই অশোভন আচরণের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ভাবেই এই ধরনের আচরণকে সমর্থন করে না।” সেই সঙ্গে তিনি জানান, আইনানুগ পদক্ষেপের জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দলের পক্ষ থেকেও একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে খবর।

সূত্রের খবর, খরিদা এলাকায় একটি বাড়ির দেওয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা দুর্গা সাহুর। সোমবার সেই বিষয়ে খড়্গপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন অনিল দাস নামে ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি, যিনি দুর্গা সাহুর পক্ষ নিয়েছিলেন। অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রতিশোধ নিতে অনিলবাবুর উপর প্রকাশ্যে রাস্তায় হামলা চালানো হয়।

আরও পড়ুন: কসবাকাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্য নিযে মদন মিত্রকে শোকজ করা হল, তিরস্কৃত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও

ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায়, অনিল দাসকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে এবং তাঁর গায়ে রঙ ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী নেতারা।

আরও পড়ুন: অমিত মালব্যকে শোকজ করল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের তরফে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ভিডিও প্রমাণ এবং জনরোষের মুখে কড়া অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি উঠেছে রাজনৈতিক ও সাধারণ নাগরিক মহল থেকে।

তৃণমূল নেত্রীর এই আচরণ রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছে। আইনত ব্যবস্থা নেওয়া ও ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলিও।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ, শোকজ করল দল

আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের খরিদা এলাকায় ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে। ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। শোকজ করা হয়েছে অভিযুক্ত নেত্রীকে, তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব।

মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও বিধায়ক সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে বেবি কোলেকে তাঁর এই অশোভন আচরণের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ভাবেই এই ধরনের আচরণকে সমর্থন করে না।” সেই সঙ্গে তিনি জানান, আইনানুগ পদক্ষেপের জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দলের পক্ষ থেকেও একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে খবর।

সূত্রের খবর, খরিদা এলাকায় একটি বাড়ির দেওয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা দুর্গা সাহুর। সোমবার সেই বিষয়ে খড়্গপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন অনিল দাস নামে ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি, যিনি দুর্গা সাহুর পক্ষ নিয়েছিলেন। অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রতিশোধ নিতে অনিলবাবুর উপর প্রকাশ্যে রাস্তায় হামলা চালানো হয়।

আরও পড়ুন: কসবাকাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্য নিযে মদন মিত্রকে শোকজ করা হল, তিরস্কৃত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও

ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায়, অনিল দাসকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে এবং তাঁর গায়ে রঙ ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী নেতারা।

আরও পড়ুন: অমিত মালব্যকে শোকজ করল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের তরফে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ভিডিও প্রমাণ এবং জনরোষের মুখে কড়া অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি উঠেছে রাজনৈতিক ও সাধারণ নাগরিক মহল থেকে।

তৃণমূল নেত্রীর এই আচরণ রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছে। আইনত ব্যবস্থা নেওয়া ও ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলিও।