১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কেরলের খ্রিস্টান মহলে তোলপাড়

কেরলের দুই খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনী ধর্মান্তরের দায়ে ধৃত ছত্তিসগড়ে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 277

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মানব পাচার ও ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ে গ্রেফতার দুই খ্রিস্টান নান (Kerala Nuns Arrest)।  রাজ্যের দুর্গ রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদের।  নাম প্রীতি মেরি এবং বন্দনা ফ্রান্সিস। বর্তমানে দুর্গ জেলে বন্দি রয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছত্তিসগড়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নিয়ে কটূক্তি, নদিয়া থেকে গ্রেফতার যুবক

জানা গেছে, শনিবার তিন যুবতীকে নিয়ে আগ্রা কনভেন্টে যাওয়ার সময়ে ওঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। মূলত তাঁদের আগ্রা কনভেন্টে চাকরির ব্যবস্থা করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এক সন্ন্যাসিনী জানিয়েছেন, খুব ভয়ের মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। কারণ ওই দুই সন্ন্যাসিনীর গ্রেফতারের ব্যাপারে স্থানীয় বজরং দলের নেতার হাত রয়েছে। ওই নেতার নাম জ্যোতি শর্মা।

আরও পড়ুন: Gaza-তে একই পরিবারের ২৫ জনকে হত্যা করল ইসরাইলি বাহিনী

সেই সন্ন্যাসিনীদের সঙ্গে থাকা এক যুবতীকে ভয় দেখিয়ে পুলিশের কাছে তার শিখিয়ে দেওয়া কথা বলতে বাধ্য করে। প্রথমে মেয়েটি পুলিশকে বলেছিল, সে সন্ন্যাসিনীদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যাচ্ছে। পরে বজরং নেতার হুমকিতে ওই যুবতী পুলিশকে বলে, তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আনা হয়। তবে বাকি দুই যুবতী দৃঢ়তা দেখিয়ে বলেন, তারা স্বেচ্ছায় এসেছেন। কেউ জোর করে নি।

আরও পড়ুন: Nepal protests: শ্যুট অ্যাট সাইটের নির্দেশ নেপালে, পুলিশি গুলিতে মৃত বেড়ে ৯

এখন সন্ন্যাসিনীরা বলছেন, আতঙ্কে কিছু বলতেও ভয় লাগছে। আমরা স্বাধীন ভাবে মেলামেশা করতে পারছি না। গত এক দশক ধরে আমরা এখানে কাজ করছি। একজনেরও ধর্ম পরিবর্তন করিনি। দুই ধৃত সন্ন্যাসিনীর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ১৪৩ অনুচ্ছেদ এবং ১৯৬৮ এর ছত্তিসগড় ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের ৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, যাতে ১০ বছরের জেল হতে পারে।

রায়পুরের বিশপের অফিস থেকে জেলে ওঁদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু সে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে জামিনের আর্জি করা সম্ভব হয়নি। যে যুবতীদের ধর্মান্তরিত করার মামলা দেওয়া হয়েছে সেই তিন যুবতীর বাবা-মাকেও পুলিশ হাজতে পুরে রেখেছে। যে কারণে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বলেছেন রায়পুরের বিশপ ফাদার সেবাস্তিয়ান পুমাত্তম।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই বজরং নেতা এক যুবতীকে হুমকি দিচ্ছে, পুলিশের কাছে আমার কথামতো বিবৃতি না দিলে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেব। ওই বজরং নেতা গর্ব করে বলেছে, যারা হিন্দুদের খ্রিস্টান বানাচ্ছে আমি তাদের আঘাত করেছি, করব। হিন্দুদের রক্ষা করতে হবে। এই বিষয়টি সোমবার সংসদেও তুলতে চেয়েছিলেন এক খ্রিস্টান সাংসদ। কিন্তু তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয় নি। অগত্যা সংসদের বাইরে তিনি বিক্ষোভ দেখান।

ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই নিজের এক্স হ্যাণ্ডেলে লিখেছেন, নারায়ণপুরের তিন কন্যাকে নার্সিং প্রশিক্ষণ এবং কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। দুজন খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনী ওদের আগ্রায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এইভাবে মেয়েদের চাকরির লোভ দেখিয়ে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। এটা মারাত্মক ব্যাপার। মেয়েদের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। ওই সন্ন্যাসিনীদের জেলে পাঠানো হয়েছে।

এখন আইন অনুযায়ী যা হবার হবে। আমাদের রাজ্যে মানুষ শান্তিতে বাস করেন। এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা হচ্ছে। দুই সন্ন্যাসিনীর সঙ্গে সুখমন মাণ্ডবী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রায়পুর বিশপ অফিস থেকে বলা হয়েছে, তিন যুবতীরই বয়স ১৮ এর বেশি। ওরা সাবালক। ওদের আগ্রায় কনভেন্টে রান্নার কাজে সহায়িকা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেতন পেত। ওদের বাবা মায়ের লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তারপরও বিজেপি সরকার মানব পাচার, ধর্মান্তরকরণ ইত্যাদির কথা বলছে।

তবে কেরলের ক্যাথলিক গির্জা থেকে কিছু বলা হচ্ছে না কেন এই প্রশ্নও উঠেছে। অভিযোগ, ক্যাথলিক গির্জার একশ্রেণির বিশপদের সঙ্গে বিজেপির রফা হয়েছে। ত্রিচূড়ের সিরিয়ান গির্জার বিশপ জিভার্গিস মার কুরিলস বলেছেন, প্রতিবাদ করে কী লাভ? আবার কিছুদিন বাদে দিল্লিতে ডেকে অভ্যর্থনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তখন তো যেতে হবে।

গত বছরে ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বাসভবনে খ্রিস্টান নেতাদের ডেকে সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন। সেখানে বেশ কয়েকজন বিশপ উপস্থিত ছিলেন। সেকথা উল্লেখ করে বিশপ কুরিলস বলেছেন, আর এস এস তার কর্মসূচি অনুযায়ী কাজ করে চলেছে। তারা সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানাতে চায়। গণতন্ত্রের স্বার্থেই এর বিরোধিতা করা দরকার। তা না করে আমরা তাদেরই মাথায় তুলছি। আমার কথাগুলো নিজের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আত্মসমালোচনার।

এদিকে কেরলের কয়েকজন মন্ত্রী এবং স্থানীয় বিধায়ক কান্নুর জেলায় ধৃত দুই সন্ন্যাসিনীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কেরলের কয়েকজন সাংসদ মঙ্গলবার রায়পুরে আসেন জেলে ওই দুই সন্ন্যাসিনীর সঙ্গে দেখা করতে। এদিকে কেরলের বিজেপি এবার বড়দিনে প্রত্যেক ক্যাথলিক খ্রিস্টানের বাড়িতে কেক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কেরলের খ্রিস্টান মহলে তোলপাড়

কেরলের দুই খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনী ধর্মান্তরের দায়ে ধৃত ছত্তিসগড়ে

আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মানব পাচার ও ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ে গ্রেফতার দুই খ্রিস্টান নান (Kerala Nuns Arrest)।  রাজ্যের দুর্গ রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদের।  নাম প্রীতি মেরি এবং বন্দনা ফ্রান্সিস। বর্তমানে দুর্গ জেলে বন্দি রয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছত্তিসগড়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নিয়ে কটূক্তি, নদিয়া থেকে গ্রেফতার যুবক

জানা গেছে, শনিবার তিন যুবতীকে নিয়ে আগ্রা কনভেন্টে যাওয়ার সময়ে ওঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। মূলত তাঁদের আগ্রা কনভেন্টে চাকরির ব্যবস্থা করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এক সন্ন্যাসিনী জানিয়েছেন, খুব ভয়ের মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। কারণ ওই দুই সন্ন্যাসিনীর গ্রেফতারের ব্যাপারে স্থানীয় বজরং দলের নেতার হাত রয়েছে। ওই নেতার নাম জ্যোতি শর্মা।

আরও পড়ুন: Gaza-তে একই পরিবারের ২৫ জনকে হত্যা করল ইসরাইলি বাহিনী

সেই সন্ন্যাসিনীদের সঙ্গে থাকা এক যুবতীকে ভয় দেখিয়ে পুলিশের কাছে তার শিখিয়ে দেওয়া কথা বলতে বাধ্য করে। প্রথমে মেয়েটি পুলিশকে বলেছিল, সে সন্ন্যাসিনীদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যাচ্ছে। পরে বজরং নেতার হুমকিতে ওই যুবতী পুলিশকে বলে, তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আনা হয়। তবে বাকি দুই যুবতী দৃঢ়তা দেখিয়ে বলেন, তারা স্বেচ্ছায় এসেছেন। কেউ জোর করে নি।

আরও পড়ুন: Nepal protests: শ্যুট অ্যাট সাইটের নির্দেশ নেপালে, পুলিশি গুলিতে মৃত বেড়ে ৯

এখন সন্ন্যাসিনীরা বলছেন, আতঙ্কে কিছু বলতেও ভয় লাগছে। আমরা স্বাধীন ভাবে মেলামেশা করতে পারছি না। গত এক দশক ধরে আমরা এখানে কাজ করছি। একজনেরও ধর্ম পরিবর্তন করিনি। দুই ধৃত সন্ন্যাসিনীর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ১৪৩ অনুচ্ছেদ এবং ১৯৬৮ এর ছত্তিসগড় ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের ৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, যাতে ১০ বছরের জেল হতে পারে।

রায়পুরের বিশপের অফিস থেকে জেলে ওঁদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু সে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে জামিনের আর্জি করা সম্ভব হয়নি। যে যুবতীদের ধর্মান্তরিত করার মামলা দেওয়া হয়েছে সেই তিন যুবতীর বাবা-মাকেও পুলিশ হাজতে পুরে রেখেছে। যে কারণে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বলেছেন রায়পুরের বিশপ ফাদার সেবাস্তিয়ান পুমাত্তম।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই বজরং নেতা এক যুবতীকে হুমকি দিচ্ছে, পুলিশের কাছে আমার কথামতো বিবৃতি না দিলে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেব। ওই বজরং নেতা গর্ব করে বলেছে, যারা হিন্দুদের খ্রিস্টান বানাচ্ছে আমি তাদের আঘাত করেছি, করব। হিন্দুদের রক্ষা করতে হবে। এই বিষয়টি সোমবার সংসদেও তুলতে চেয়েছিলেন এক খ্রিস্টান সাংসদ। কিন্তু তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয় নি। অগত্যা সংসদের বাইরে তিনি বিক্ষোভ দেখান।

ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই নিজের এক্স হ্যাণ্ডেলে লিখেছেন, নারায়ণপুরের তিন কন্যাকে নার্সিং প্রশিক্ষণ এবং কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। দুজন খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনী ওদের আগ্রায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এইভাবে মেয়েদের চাকরির লোভ দেখিয়ে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। এটা মারাত্মক ব্যাপার। মেয়েদের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। ওই সন্ন্যাসিনীদের জেলে পাঠানো হয়েছে।

এখন আইন অনুযায়ী যা হবার হবে। আমাদের রাজ্যে মানুষ শান্তিতে বাস করেন। এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা হচ্ছে। দুই সন্ন্যাসিনীর সঙ্গে সুখমন মাণ্ডবী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রায়পুর বিশপ অফিস থেকে বলা হয়েছে, তিন যুবতীরই বয়স ১৮ এর বেশি। ওরা সাবালক। ওদের আগ্রায় কনভেন্টে রান্নার কাজে সহায়িকা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেতন পেত। ওদের বাবা মায়ের লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তারপরও বিজেপি সরকার মানব পাচার, ধর্মান্তরকরণ ইত্যাদির কথা বলছে।

তবে কেরলের ক্যাথলিক গির্জা থেকে কিছু বলা হচ্ছে না কেন এই প্রশ্নও উঠেছে। অভিযোগ, ক্যাথলিক গির্জার একশ্রেণির বিশপদের সঙ্গে বিজেপির রফা হয়েছে। ত্রিচূড়ের সিরিয়ান গির্জার বিশপ জিভার্গিস মার কুরিলস বলেছেন, প্রতিবাদ করে কী লাভ? আবার কিছুদিন বাদে দিল্লিতে ডেকে অভ্যর্থনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তখন তো যেতে হবে।

গত বছরে ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বাসভবনে খ্রিস্টান নেতাদের ডেকে সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন। সেখানে বেশ কয়েকজন বিশপ উপস্থিত ছিলেন। সেকথা উল্লেখ করে বিশপ কুরিলস বলেছেন, আর এস এস তার কর্মসূচি অনুযায়ী কাজ করে চলেছে। তারা সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানাতে চায়। গণতন্ত্রের স্বার্থেই এর বিরোধিতা করা দরকার। তা না করে আমরা তাদেরই মাথায় তুলছি। আমার কথাগুলো নিজের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আত্মসমালোচনার।

এদিকে কেরলের কয়েকজন মন্ত্রী এবং স্থানীয় বিধায়ক কান্নুর জেলায় ধৃত দুই সন্ন্যাসিনীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কেরলের কয়েকজন সাংসদ মঙ্গলবার রায়পুরে আসেন জেলে ওই দুই সন্ন্যাসিনীর সঙ্গে দেখা করতে। এদিকে কেরলের বিজেপি এবার বড়দিনে প্রত্যেক ক্যাথলিক খ্রিস্টানের বাড়িতে কেক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।