Ukraine War: শান্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

- আপডেট : ২৩ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
- / 324
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন। ইউক্রেনে (Ukraine War) শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়ার ওপর ‘ভারি নিষেধাজ্ঞা’ বা শুল্ক আরোপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আলাস্কায় ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের মাত্র এক সপ্তাহ পরই ট্রাম্পের এই বক্তব্যে কূটনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, তখুব শিগগিরই আমি সিদ্ধান্ত নেব। হতে পারে তা বড়সড় নিষেধাজ্ঞা, হতে পারে তা বিশাল শুল্ক। আর কিছুই না করলে বলব, এ যুদ্ধ তোমাদের নিজের লড়াই। তিনি আরও জানান, রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলায় ইউক্রেনের (Ukraine War) একটি মার্কিন কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কর্মীরাও আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে গাজার গণহত্যার ব্যাপারে তিনি হত্যাকারীদের পাশে আছেন। আর নেতানিয়াহুর পিঠ চাপড়াচ্ছেন।
একই অনুষ্ঠানে ট্রাম্প সাংবাদিকদের তাঁর ও পুতিনের আলাস্কার বৈঠকের একটি ছবি দেখান। তিনি ইঙ্গিত দেন, ২০২৬ বিশ্বকাপে পুতিন যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারেন, যদিও সেটি নির্ভর করছে যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর।
WTF?
Donald Trump just interrupted his own Press Conference to brag about getting a photo from Vladimir Putin that he will be signing and sending back.
He then says that Putin wants to be at the World Cup in Washington DC, and says he’s been very respectful.
What is wrong… pic.twitter.com/vzHhRGFgH3
— Ed Krassenstein (@EdKrassen) August 22, 2025
অন্যদিকে, ইউক্রেনের (Ukraine War) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, যুদ্ধ থামাতে তিনি বারবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিলেও রাশিয়া তা এড়িয়ে যাচ্ছে। তাঁর মতে, যতক্ষণ না পুতিন বৈঠকে রাজি হচ্ছেন, ততক্ষণ যুদ্ধ শেষ করা সম্ভব নয়। তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এনবিসিকে জানিয়েছেন, এখনই সেই বৈঠকের মতো কোনও এজেন্ডা তৈরি হয়নি।
এদিনই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এক পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে বলেন, ট্রাম্পের নেতৃত্ব গুণ মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ককে নতুন করে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
এদিকে ইউক্রেন (Ukraine War) রাশিয়ার দ্রুজবা তেল পাইপলাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পাম্পিং স্টেশন উড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ায় সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। দুই দেশ ইউরোপীয় কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, অন্তত পাঁচ দিন সরবরাহ ব্যাহত থাকবে।