১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপনে পরমাণু বোমা তৈরি করছিল ইউক্রেন!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 77

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার সময় পরমাণু অস্ত্র তৈরির অধিকার ত্যাগ করেছিল ইউক্রেন। আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী, দেশটি পরমাণু বোমা বানানোর অধিকার হারিয়েছিল সেবার। কিন্তু সেই ইউক্রেনই নাকি ২০০০ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া চেরনোবিল পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে চুপিসারে পারমাণবিক বোমা বানাচ্ছিল। রাশিয়ার পক্ষ থেকে এমনটিই দাবি করা হয়েছে। রুশ সংবাদমাধ্যমে দাবি, ধ্বংস হয়ে যাওয়া চেরনোবিল পরমাণবিক কেন্দ্রেই প্লুটোনিয়াম থেকে পরমাণু বোমা বানাচ্ছিল ইউক্রেন।

 

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

বোমাটিকে তারা ‘ডার্টি বম্ব’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, অর্থাৎ বোমাটির ক্ষতিসাধনের ক্ষমতা অনেক বেশি। আর কিয়েভের সেই প্রচেষ্টা বন্ধ করতে ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম কয়েকদিনের মধ্যে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের দখল নেয় রাশিয়া। অন্যদিকে, রাশিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউক্রেন দাবি করছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর পারমাণবিক অস্ত্র সমর্পণ করেছিল ইউক্রেন।

আরও পড়ুন: Ukraine War: শান্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

গোপনে পরমাণু বোমা তৈরি করছিল ইউক্রেন!
প্রতীকী ছবি

এর পর থেকে তারা আর কোনও পারমাণবিক অস্ত্র বানায়নি। রাশিয়ার দাবি করা ডার্টি বম্ব সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, মূলত তেজষ্ক্রিয় পদার্থ প্লুটোনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল এই মারণ অস্ত্র। এটি বিস্ফোরিত হলে সাধারণ বোমার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে। বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রভাব থাকে তেজষ্ক্রিয়তার। ইউক্রেন সরকারের দাবি, পারমাণবিক ক্লাবে পুনরায় যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের নেই। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তারা পারমাণবিক অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনে হামলার আগে পুতিন এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ইউক্রেন তার নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য সোভিয়েত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এটি রাশিয়ার ওপর আক্রমণের প্রস্তুতির সমতুল্য।

আরও পড়ুন: Trump-Putin Alaska Summit: যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে পুতিনের কঠিন পরিণতি হবে: ট্রাম্প

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গোপনে পরমাণু বোমা তৈরি করছিল ইউক্রেন!

আপডেট : ৮ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার সময় পরমাণু অস্ত্র তৈরির অধিকার ত্যাগ করেছিল ইউক্রেন। আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী, দেশটি পরমাণু বোমা বানানোর অধিকার হারিয়েছিল সেবার। কিন্তু সেই ইউক্রেনই নাকি ২০০০ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া চেরনোবিল পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে চুপিসারে পারমাণবিক বোমা বানাচ্ছিল। রাশিয়ার পক্ষ থেকে এমনটিই দাবি করা হয়েছে। রুশ সংবাদমাধ্যমে দাবি, ধ্বংস হয়ে যাওয়া চেরনোবিল পরমাণবিক কেন্দ্রেই প্লুটোনিয়াম থেকে পরমাণু বোমা বানাচ্ছিল ইউক্রেন।

 

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

বোমাটিকে তারা ‘ডার্টি বম্ব’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, অর্থাৎ বোমাটির ক্ষতিসাধনের ক্ষমতা অনেক বেশি। আর কিয়েভের সেই প্রচেষ্টা বন্ধ করতে ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম কয়েকদিনের মধ্যে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের দখল নেয় রাশিয়া। অন্যদিকে, রাশিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউক্রেন দাবি করছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর পারমাণবিক অস্ত্র সমর্পণ করেছিল ইউক্রেন।

আরও পড়ুন: Ukraine War: শান্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

গোপনে পরমাণু বোমা তৈরি করছিল ইউক্রেন!
প্রতীকী ছবি

এর পর থেকে তারা আর কোনও পারমাণবিক অস্ত্র বানায়নি। রাশিয়ার দাবি করা ডার্টি বম্ব সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, মূলত তেজষ্ক্রিয় পদার্থ প্লুটোনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল এই মারণ অস্ত্র। এটি বিস্ফোরিত হলে সাধারণ বোমার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে। বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রভাব থাকে তেজষ্ক্রিয়তার। ইউক্রেন সরকারের দাবি, পারমাণবিক ক্লাবে পুনরায় যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের নেই। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তারা পারমাণবিক অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনে হামলার আগে পুতিন এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ইউক্রেন তার নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য সোভিয়েত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এটি রাশিয়ার ওপর আক্রমণের প্রস্তুতির সমতুল্য।

আরও পড়ুন: Trump-Putin Alaska Summit: যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে পুতিনের কঠিন পরিণতি হবে: ট্রাম্প