০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পারিবারিক অনুষ্ঠানে শামিল হতে ৭ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন উমর খালিদ  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 19

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ৭ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনে ছাড়া  পেলেন উমর খালিদ। বোনের বিয়ের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে দিল্লি হিংসার ঘটনায় দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ তিহার জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হল উমর খালিদকে।  ফের তাঁকে ৩০ সেপ্টেম্বর জেলে আত্মসমর্পণ করতে হবে।  ২০২০ সাল থেকেই জেলবন্দি ছিলেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: Pope Francis funeral: বিশ্ব নেতারা জড়ো হচ্ছেন ভ্যাটিকানে

উল্লেখ্য, বোনের বিয়েতে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন। আদালতে ১৪ দিনের জন্য জামিন চেয়েছিলেন এই প্রাক্তন ছাত্রনেতা। দিল্লির একটি আদালত তাঁর অন্তবর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে।  কিন্তু, জেলবন্দি উমরকে ১৪ দিনের জন্য নয়, এদিন শুনানিতে সাত দিনের জন্য তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে ইঞ্জিনিয়ার রাশিদকে দুদিনের প্যারোলে মুক্তি দিল দিল্লি হাইকোর্ট

 

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার উমর খালিদের

তবে  তাঁকে বলে দেওয়া  হয়েছে, ওই ঘটনায় কোনও সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে তিনি কথা বলতে পারবেন না । এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি  কোনও কিছু লিখতে পারবেন না।

 

উল্লেখ্য, যদিও এই প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের তরফে আদালতে  দাবি করা হয়, জামিন মঞ্জুর হলে তথ্য হেরফের করার চেষ্টা করবেন জেএনইউ-এর এই প্রাক্তন নেতা। এমনকী, তাঁর পরিবারের তরফে এ বিষয়ে উমরকে মদত দেওয়া হতে পারে বলে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

 

প্রসঙ্গত, শাহিনবাগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন, সেখানে  উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন উমর বলেই অভিযোগ। সেই নিয়ে ২০২০ সালের ১ অগস্টও  উমরকে এক দফা জেরা করে পুলিশ। তার পর ২ তারিখ ফের উমর খালিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় দিল্লি পুলিশ। টানা ১১ ঘণ্টা জেরার পর, রবিবার ২ অগস্ট  তাঁকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল।

 

উল্লেখ্য, বিরোধীদের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে  ২০১৯ সালে ডিসেম্বর মাসে  সংসদে সংশোধিত্ব নাগরিকত্ব আইন পাশ করিয়ে  নেয় কেন্দ্রীয়  সরকার।  সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সেই সময় তেতে ওঠে রাজধানী  দিল্লির উত্তর-পূর্ব অংশ। শাহিনবাগ-সহ একাধিক এলাকায় সিএএ বিরোধী আন্দোলন মাথা চাড়া দেয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর চলাকালীন, সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে পরিস্থিতি তেতে ওঠে।  তাতে ৫৩ জন প্রাণ হারান। আহত হয়েছিলেন ২০০-র বেশি মানুষ। আর তারপরেই  উমর’কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পারিবারিক অনুষ্ঠানে শামিল হতে ৭ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন উমর খালিদ  

আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ৭ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনে ছাড়া  পেলেন উমর খালিদ। বোনের বিয়ের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে দিল্লি হিংসার ঘটনায় দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ তিহার জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হল উমর খালিদকে।  ফের তাঁকে ৩০ সেপ্টেম্বর জেলে আত্মসমর্পণ করতে হবে।  ২০২০ সাল থেকেই জেলবন্দি ছিলেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: Pope Francis funeral: বিশ্ব নেতারা জড়ো হচ্ছেন ভ্যাটিকানে

উল্লেখ্য, বোনের বিয়েতে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন। আদালতে ১৪ দিনের জন্য জামিন চেয়েছিলেন এই প্রাক্তন ছাত্রনেতা। দিল্লির একটি আদালত তাঁর অন্তবর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে।  কিন্তু, জেলবন্দি উমরকে ১৪ দিনের জন্য নয়, এদিন শুনানিতে সাত দিনের জন্য তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে ইঞ্জিনিয়ার রাশিদকে দুদিনের প্যারোলে মুক্তি দিল দিল্লি হাইকোর্ট

 

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার উমর খালিদের

তবে  তাঁকে বলে দেওয়া  হয়েছে, ওই ঘটনায় কোনও সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে তিনি কথা বলতে পারবেন না । এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি  কোনও কিছু লিখতে পারবেন না।

 

উল্লেখ্য, যদিও এই প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের তরফে আদালতে  দাবি করা হয়, জামিন মঞ্জুর হলে তথ্য হেরফের করার চেষ্টা করবেন জেএনইউ-এর এই প্রাক্তন নেতা। এমনকী, তাঁর পরিবারের তরফে এ বিষয়ে উমরকে মদত দেওয়া হতে পারে বলে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

 

প্রসঙ্গত, শাহিনবাগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন, সেখানে  উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন উমর বলেই অভিযোগ। সেই নিয়ে ২০২০ সালের ১ অগস্টও  উমরকে এক দফা জেরা করে পুলিশ। তার পর ২ তারিখ ফের উমর খালিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় দিল্লি পুলিশ। টানা ১১ ঘণ্টা জেরার পর, রবিবার ২ অগস্ট  তাঁকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল।

 

উল্লেখ্য, বিরোধীদের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে  ২০১৯ সালে ডিসেম্বর মাসে  সংসদে সংশোধিত্ব নাগরিকত্ব আইন পাশ করিয়ে  নেয় কেন্দ্রীয়  সরকার।  সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সেই সময় তেতে ওঠে রাজধানী  দিল্লির উত্তর-পূর্ব অংশ। শাহিনবাগ-সহ একাধিক এলাকায় সিএএ বিরোধী আন্দোলন মাথা চাড়া দেয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর চলাকালীন, সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে পরিস্থিতি তেতে ওঠে।  তাতে ৫৩ জন প্রাণ হারান। আহত হয়েছিলেন ২০০-র বেশি মানুষ। আর তারপরেই  উমর’কে গ্রেফতার করে পুলিশ।