১০ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের অশান্ত মণিপুর, গুলি, মৃত্যুও

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 158

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দু’টি পৃথক ঘটনায় মণিপুরের চূড়াচন্দ্রপুর এবং বিষ্ণুপুর জেলায় মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মানুষজনের মধ্যে ফের উত্তেজনা বাড়ছে। গত ১৯ জুন বিষ্ণুপুর জেলার ফুলাবা গ্রামে এক গুলি চালানোর ঘটনায় মেইতেই সম্প্রদায়ের এক কৃষক মাঠে কাজ করার সময়ে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর হাতে গুলি লাগে। তেমন কিছু হয়নি।

এরপর সেখানে বিরাট সংখ্যায় নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজনকে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, চূড়াচন্দ্রপুরের চেঙপেইতে গুলিতে এক মহিলা গুরুতর জখম হন। ওই মহিলা লাঙচিঙমানবি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের স্ত্রী। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই মহিলা কুকি সম্প্রদায়ের। স্বভাবতই কুকি সম্প্রদায়ের মানুষজন এই মৃত্যুর ঘটনায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। ফুলাবার ঘটনার পর এলাকার বাসিন্দারা পথে নেমে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন।

সেই ২০২৩ সালের মে মাস থেকে কুকি বনাম মেইতেই সম্প্রদায়ের গোলমাল শুরু হয়েছে। তারপর থেকেই কখনও তা কমছে কখনও বাড়ছে। এই ঘটনার পর কাঙপোকপিতে স্থানীয় উপজাতিরা ২১ জুন বন্ধ পালন করেন। তাঁরা মনে করছেন, এটি কুকি-জো সম্প্রদায়ের মানুষজনের উপর আক্রমণ।

আরও পড়ুন: চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ কৃষকদের

এই সব অঞ্চলে এখন বিএসএফ, সেনা এবং সশস্ত্র সীমাবলের জওয়ানরা পাহারায় রয়েছেন। তারপরও কীভাবে চোরাগোপ্তা হানা হচ্ছে, এই প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার পর নিরাপত্তা এবং তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। মণিপুরের বিভিন্ন জেলায় ১১২টি চেকপোস্ট করা হয়েছে। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে তল্লাশি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মণিপুরে ৩৫৬-র মেয়াদ বৃদ্ধি, তবে শান্তির নামগন্ধ নেই

আরও পড়ুন: মণিপুরে কুকির দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, ৫ বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের অশান্ত মণিপুর, গুলি, মৃত্যুও

আপডেট : ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দু’টি পৃথক ঘটনায় মণিপুরের চূড়াচন্দ্রপুর এবং বিষ্ণুপুর জেলায় মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মানুষজনের মধ্যে ফের উত্তেজনা বাড়ছে। গত ১৯ জুন বিষ্ণুপুর জেলার ফুলাবা গ্রামে এক গুলি চালানোর ঘটনায় মেইতেই সম্প্রদায়ের এক কৃষক মাঠে কাজ করার সময়ে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর হাতে গুলি লাগে। তেমন কিছু হয়নি।

এরপর সেখানে বিরাট সংখ্যায় নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজনকে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, চূড়াচন্দ্রপুরের চেঙপেইতে গুলিতে এক মহিলা গুরুতর জখম হন। ওই মহিলা লাঙচিঙমানবি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের স্ত্রী। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই মহিলা কুকি সম্প্রদায়ের। স্বভাবতই কুকি সম্প্রদায়ের মানুষজন এই মৃত্যুর ঘটনায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। ফুলাবার ঘটনার পর এলাকার বাসিন্দারা পথে নেমে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন।

সেই ২০২৩ সালের মে মাস থেকে কুকি বনাম মেইতেই সম্প্রদায়ের গোলমাল শুরু হয়েছে। তারপর থেকেই কখনও তা কমছে কখনও বাড়ছে। এই ঘটনার পর কাঙপোকপিতে স্থানীয় উপজাতিরা ২১ জুন বন্ধ পালন করেন। তাঁরা মনে করছেন, এটি কুকি-জো সম্প্রদায়ের মানুষজনের উপর আক্রমণ।

আরও পড়ুন: চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ কৃষকদের

এই সব অঞ্চলে এখন বিএসএফ, সেনা এবং সশস্ত্র সীমাবলের জওয়ানরা পাহারায় রয়েছেন। তারপরও কীভাবে চোরাগোপ্তা হানা হচ্ছে, এই প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার পর নিরাপত্তা এবং তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। মণিপুরের বিভিন্ন জেলায় ১১২টি চেকপোস্ট করা হয়েছে। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে তল্লাশি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মণিপুরে ৩৫৬-র মেয়াদ বৃদ্ধি, তবে শান্তির নামগন্ধ নেই

আরও পড়ুন: মণিপুরে কুকির দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, ৫ বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু