০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রুশ বিমানের ধাক্কায় বিধ্বস্ত মার্কিন ড্রোন!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৩, বুধবার
  • / 80

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাশিয়ার যুদ্ধবিমান সু-২৭ এর আঘাতে কৃষ্ণসাগরে একটি মার্কিন ড্রোন ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছে আমেরিকার  প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। সংঘর্ষের কারণে সামরিক ড্রোনটি ওড়ার অযোগ্য হয়ে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানান মার্কিন কর্মকর্তারা। এই ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। রুশ যুদ্ধবিমানের আঘাতে মার্কিন সামরিক ড্রোন বিধ্বস্তের ঘটনাকে ‘বেপরোয়া’ বলে উল্লেখ করেছে পেন্টাগন।

অপরদিকে রাশিয়া জানিয়েছে, মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে রুশ যুদ্ধবিমানের সরাসরি সংঘর্ষ হয়নি। এক বিবৃতিতে ইউএস এয়ার ফোর্স জেনারেল জেমস হেকার বলেছেন, ‘আমাদের এমকিউ-৯ ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় রুটিন অপারেশন পরিচালনা করছিল। তখনই একটি রাশিয়ান বিমান তাকে আঘাত করে। ফলে এমকিউ-৯ বিধ্বস্ত হয় এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’ দুটি রুশ যুদ্ধবিমান এ ঘটনায় জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ইউরোপীয় কমান্ড।

মঙ্গলবার রাতের ঘটনার বিষয়ে  আমেরিকায় ওই কমান্ডার বলেন, ‘সংঘর্ষের আগে রুশ যুদ্ধবিমানগুলো ড্রোনের ওপর জ্বালানি ফেলেছিল। এরপর বেপরোয়া, ও অ-পেশাদার উপায়ে এর সামনে উড়েছিল।’ উল্লেখ্য, নজরদারি এবং আক্রমণ উভয়ের জন্য এমকিউ-৯ ড্রোন ব্যবহার করে আমেরিকা। দেশটি মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকাসহ বিভিন্ন স্থানে ড্রোনগুলো ব্যবহার করেছে। ব্রিটেন এবং ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশগুলোও এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার করে।

এদিকে রাশিয়া আমেরিকার এমন দাবি অস্বীকার করেছে। মস্কো জানিয়েছে, ড্রোন বিধ্বস্তে রাশিয়া দায়ী নয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তীক্ষ্ণ কৌশলের ফলে এমকিউ-৯ ড্রোনটি উচ্চতা হারিয়ে ফেলে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রাশিয়ার দুটি যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ওই ড্রোনের সংঘর্ষ হয়নি এবং কোনও অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।’ রাশিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জন্য রাশিয়া যে  আকাশপথ তৈরি করেছে তা লঙ্ঘন করেছিল মার্কিন ড্রোনটি। রাশিয়া  মার্কিন ড্রোনটিকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ উল্লেখ করে বলেছে, ড্রোনটি রাশিয়ার সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রুশ বিমানের ধাক্কায় বিধ্বস্ত মার্কিন ড্রোন!

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাশিয়ার যুদ্ধবিমান সু-২৭ এর আঘাতে কৃষ্ণসাগরে একটি মার্কিন ড্রোন ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছে আমেরিকার  প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। সংঘর্ষের কারণে সামরিক ড্রোনটি ওড়ার অযোগ্য হয়ে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানান মার্কিন কর্মকর্তারা। এই ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। রুশ যুদ্ধবিমানের আঘাতে মার্কিন সামরিক ড্রোন বিধ্বস্তের ঘটনাকে ‘বেপরোয়া’ বলে উল্লেখ করেছে পেন্টাগন।

অপরদিকে রাশিয়া জানিয়েছে, মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে রুশ যুদ্ধবিমানের সরাসরি সংঘর্ষ হয়নি। এক বিবৃতিতে ইউএস এয়ার ফোর্স জেনারেল জেমস হেকার বলেছেন, ‘আমাদের এমকিউ-৯ ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় রুটিন অপারেশন পরিচালনা করছিল। তখনই একটি রাশিয়ান বিমান তাকে আঘাত করে। ফলে এমকিউ-৯ বিধ্বস্ত হয় এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’ দুটি রুশ যুদ্ধবিমান এ ঘটনায় জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ইউরোপীয় কমান্ড।

মঙ্গলবার রাতের ঘটনার বিষয়ে  আমেরিকায় ওই কমান্ডার বলেন, ‘সংঘর্ষের আগে রুশ যুদ্ধবিমানগুলো ড্রোনের ওপর জ্বালানি ফেলেছিল। এরপর বেপরোয়া, ও অ-পেশাদার উপায়ে এর সামনে উড়েছিল।’ উল্লেখ্য, নজরদারি এবং আক্রমণ উভয়ের জন্য এমকিউ-৯ ড্রোন ব্যবহার করে আমেরিকা। দেশটি মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকাসহ বিভিন্ন স্থানে ড্রোনগুলো ব্যবহার করেছে। ব্রিটেন এবং ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশগুলোও এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার করে।

এদিকে রাশিয়া আমেরিকার এমন দাবি অস্বীকার করেছে। মস্কো জানিয়েছে, ড্রোন বিধ্বস্তে রাশিয়া দায়ী নয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তীক্ষ্ণ কৌশলের ফলে এমকিউ-৯ ড্রোনটি উচ্চতা হারিয়ে ফেলে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রাশিয়ার দুটি যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ওই ড্রোনের সংঘর্ষ হয়নি এবং কোনও অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।’ রাশিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জন্য রাশিয়া যে  আকাশপথ তৈরি করেছে তা লঙ্ঘন করেছিল মার্কিন ড্রোনটি। রাশিয়া  মার্কিন ড্রোনটিকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ উল্লেখ করে বলেছে, ড্রোনটি রাশিয়ার সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল।