৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোজ এক বোতল জনসনস বেবি পাউডার খান মার্কিন মহিলা ড্রেকা

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বেবি পাউডারের গন্ধ কম বেশি সবারই ভালো লাগে। কিন্তু সেটা নাক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকাটাই স্বাভাবিক। অথচ নিয়ম ভেঙে অদ্ভুত একটা অভ্যাস গড়েছেন এক মার্কিন মহিলা। নিউ অরলিন্সের ড্রেকা মার্টিনের বয়স ২৭ বছর।নিজের সন্তানকে জনসনস বেবি পাউডার মাখাতে গিয়ে এর গন্ধ ভালো লেগেছিল তার। এরপর একটু পাউডার চেটে দেখেন, গন্ধের সঙ্গে সঙ্গে এর স্বাদও চমৎকার। তারপর থেকে শখে প্রতিদিন প্রায় ৬২৩ গ্রাম বেবি পাউডার খান তিনি। আর তার জন্য কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ইতিমধ্যেই খরচ করে ফেলেছেন।

এমনকি সাধারণ খাবার বাদ দিয়ে তিনি পাউডার খাওয়াকে প্রাধান্য দেন। তাঁর মতে, মুখে দিলেই মিলিয়ে যায় পাউডার, এই বিষয়টা তার দারুণ লাগে।

কিন্তু এসব খেয়ে কি কোনও শারিরীক সমস্যা হয়? এর জবাবে ড্রেকা বলেন, এখনও পর্যন্ত তার কোনও শারিরীক সমস্যা হয়নি। হজমেও কোনওদিন কোনও সমস্যা দেখা যায়নি।

পরে অবশ্য তিনি জানান, তার ‘পিকা’ নামে একটি অসুখ আছে। এই অসুখের লক্ষণই হল, খাদ্যদ্রব্য নয়, এমন জিনিসপত্র খেতে ইচ্ছা হয়। অনেকে যে অসুখের জেরে চক, রং, মাটি, লোহার জিনিসপত্র খাওয়া অভ্যাস তৈরি করে ফেলে।

‘দ্য মিরর’ সংবাদপত্রকে ড্রেকা জানিয়েছেন, তার পাউডার খেতে ভীষণ ভালো লাগে। কেউ যখন এটা নিয়ে সমালোচনা করে, তখন তার খুব রাগ হয়।যদিও বেবি পাউডারের বোতলের লেবেলে স্পষ্ট লেখা থাকে, শুধুমাত্র গায়ে মাখা ছাড়া অন্য কোনও কাজে যেন ওই পাউডার না গানো হয়। কারণ সেটা বিষাক্ত হতে পারে। মুখে–চোখে যেন না লাগে, তার জন্যে পরামর্শ দেওয়া থাকে।

কিন্তু সেসবের মোটেই তোয়াক্কা করেন না ড্রেকা মার্টিন। তার মতে এটা এখন তার কাছে নেশার মত, যেটা তিনি ছাড়তে পারছেন না। এমনকি বাইরে ঘুরতে গেলে ওই একই ব্র্যান্ডের পাউডার খুঁজে পাওয়া যাবে না ভেবে, তিনি ব্যাগে পাউডার নিয়েই ঘোরেন। অবশ্য চিকিৎসকদের মতে, ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর অসুখের মুখোমুখি হতে পারেন ড্রেকা।

 

সর্বধিক পাঠিত

বাংলাতেই মাইক্রো অবজারভার নিয়োগ কেনো? কমিশনকে প্রশ্ন অভিষেকের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রোজ এক বোতল জনসনস বেবি পাউডার খান মার্কিন মহিলা ড্রেকা

আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বেবি পাউডারের গন্ধ কম বেশি সবারই ভালো লাগে। কিন্তু সেটা নাক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকাটাই স্বাভাবিক। অথচ নিয়ম ভেঙে অদ্ভুত একটা অভ্যাস গড়েছেন এক মার্কিন মহিলা। নিউ অরলিন্সের ড্রেকা মার্টিনের বয়স ২৭ বছর।নিজের সন্তানকে জনসনস বেবি পাউডার মাখাতে গিয়ে এর গন্ধ ভালো লেগেছিল তার। এরপর একটু পাউডার চেটে দেখেন, গন্ধের সঙ্গে সঙ্গে এর স্বাদও চমৎকার। তারপর থেকে শখে প্রতিদিন প্রায় ৬২৩ গ্রাম বেবি পাউডার খান তিনি। আর তার জন্য কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ইতিমধ্যেই খরচ করে ফেলেছেন।

এমনকি সাধারণ খাবার বাদ দিয়ে তিনি পাউডার খাওয়াকে প্রাধান্য দেন। তাঁর মতে, মুখে দিলেই মিলিয়ে যায় পাউডার, এই বিষয়টা তার দারুণ লাগে।

কিন্তু এসব খেয়ে কি কোনও শারিরীক সমস্যা হয়? এর জবাবে ড্রেকা বলেন, এখনও পর্যন্ত তার কোনও শারিরীক সমস্যা হয়নি। হজমেও কোনওদিন কোনও সমস্যা দেখা যায়নি।

পরে অবশ্য তিনি জানান, তার ‘পিকা’ নামে একটি অসুখ আছে। এই অসুখের লক্ষণই হল, খাদ্যদ্রব্য নয়, এমন জিনিসপত্র খেতে ইচ্ছা হয়। অনেকে যে অসুখের জেরে চক, রং, মাটি, লোহার জিনিসপত্র খাওয়া অভ্যাস তৈরি করে ফেলে।

‘দ্য মিরর’ সংবাদপত্রকে ড্রেকা জানিয়েছেন, তার পাউডার খেতে ভীষণ ভালো লাগে। কেউ যখন এটা নিয়ে সমালোচনা করে, তখন তার খুব রাগ হয়।যদিও বেবি পাউডারের বোতলের লেবেলে স্পষ্ট লেখা থাকে, শুধুমাত্র গায়ে মাখা ছাড়া অন্য কোনও কাজে যেন ওই পাউডার না গানো হয়। কারণ সেটা বিষাক্ত হতে পারে। মুখে–চোখে যেন না লাগে, তার জন্যে পরামর্শ দেওয়া থাকে।

কিন্তু সেসবের মোটেই তোয়াক্কা করেন না ড্রেকা মার্টিন। তার মতে এটা এখন তার কাছে নেশার মত, যেটা তিনি ছাড়তে পারছেন না। এমনকি বাইরে ঘুরতে গেলে ওই একই ব্র্যান্ডের পাউডার খুঁজে পাওয়া যাবে না ভেবে, তিনি ব্যাগে পাউডার নিয়েই ঘোরেন। অবশ্য চিকিৎসকদের মতে, ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর অসুখের মুখোমুখি হতে পারেন ড্রেকা।