২১ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ বছর ধরে ভোটচুরির বিরুদ্ধে সরব আমি: Raj Thackeray

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার
  • / 136

১০ বছর ধরে ভোটচুরির (Vote theft) বিরুদ্ধে সরব আমি: Raj Thackeray 

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ভোট-চুরি (Vote theft) নতুন ইস্যু না। আমি ২০১৬ সাল থেকেই ভোট-চুরির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছি। ‘কারচুপি’র ভোটে ভর করেই কুর্সি দখল করেছে ওরা। নিঃসন্দেহে অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর। ভোটে নিরপেক্ষতা ও  স্বচ্ছতার প্রশ্নে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রকৃত সত্য সামনে আনা দরকার। শনিবার সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই মন্তব্য করেছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) সভাপতি রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray) । তিনি বলেন, শুধু বিরোধীরা না সরকার পক্ষের অনেক নেতা-মন্ত্রীরাও ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে অতীতে সরব হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বিজেপির অনুরাগ ঠাকুরের কথা বলেন তিনি।

বিরোধীদের অভিযোগ, আধিপত্যবাদ ও হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান গঠনের যে লক্ষ্যে এগচ্ছে আরএসএস, বিজেপি— তার বলি হতে হচ্ছে ভারতবাসীকে। কিন্তু কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা কোনও রাজনৈতিক দল যাতে তুলতে না পারে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কমিশনের। মানুষের বিশ্বাস, নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীনভাবেই এই স্বাধীন সংস্থাটি সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে। তাদের কাজ গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা করছে না।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের যুক্ত হয়েছে ৯৬ লক্ষ ভুয়ো ভোটার: কমিশনকে তীর রাজ ঠাকরের

রাজ এদিন আরও জানান, কমিশনের উচিত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করা। এবং সত্য সবার সামনে উন্মোচন করে দেওয়া। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু তারা সেটা করবে না। কারণ তাদের আশঙ্কা গত ১০ বছরের ভোট চুরির ঘটনা প্রকাশ পাবে। আর এই সব কারণেই ধীরে ধীরে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে দেশ। তারা এত বছর ধরে ভোট চুরি করে সরকার গঠন করতে পেরেছে। নাম না করেই বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তিনি। আমাদের প্রার্থীরা ভোট না পাওয়ার কারণে পরাজিত হননি, বরং তাদের দেওয়া ভোট তাদের কাছে পৌঁছায়নি বলেই পরাজিত হয়েছেন। অতএব, আমরা যদি সাফল্য চাই, তাহলে আমাদের তাদের ভোট চুরির বিষয়টি প্রকাশ করতে হবে। প্রতিটি দলের কর্মীর ভোটার তালিকা সাবধানে পরীক্ষা করা উচিত।  গত দশ বছর ধরে ভোট চুরি হচ্ছে। আমি ২০১৬ সাল থেকে এটি নিয়ে কথা বলছি। আমি শরদ পাওয়ার, সোনিয়া গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  এবং অন্যান্য বিরোধী সদস্যদের সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলে, দেখা করেছি। এমনকি ২০১৭ সালে, আমি ভোট বয়কট করার পরামর্শ দিয়েছিলাম।

আরও পড়ুন: ভোট-চুরি হয়েছ, নিজের দাবিতে অনড় রাহুল

 

আরও পড়ুন: লাউডস্পিকার ইস্যু নিয়ে হম্বিতম্বি উধাও! শরীর নিয়েই নাজেহাল রাজ ঠাকরে, পিছল অস্ত্রোপচার  

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১০ বছর ধরে ভোটচুরির বিরুদ্ধে সরব আমি: Raj Thackeray

আপডেট : ২৪ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার

১০ বছর ধরে ভোটচুরির (Vote theft) বিরুদ্ধে সরব আমি: Raj Thackeray 

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ভোট-চুরি (Vote theft) নতুন ইস্যু না। আমি ২০১৬ সাল থেকেই ভোট-চুরির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছি। ‘কারচুপি’র ভোটে ভর করেই কুর্সি দখল করেছে ওরা। নিঃসন্দেহে অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর। ভোটে নিরপেক্ষতা ও  স্বচ্ছতার প্রশ্নে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রকৃত সত্য সামনে আনা দরকার। শনিবার সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই মন্তব্য করেছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) সভাপতি রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray) । তিনি বলেন, শুধু বিরোধীরা না সরকার পক্ষের অনেক নেতা-মন্ত্রীরাও ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে অতীতে সরব হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বিজেপির অনুরাগ ঠাকুরের কথা বলেন তিনি।

বিরোধীদের অভিযোগ, আধিপত্যবাদ ও হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান গঠনের যে লক্ষ্যে এগচ্ছে আরএসএস, বিজেপি— তার বলি হতে হচ্ছে ভারতবাসীকে। কিন্তু কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা কোনও রাজনৈতিক দল যাতে তুলতে না পারে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কমিশনের। মানুষের বিশ্বাস, নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীনভাবেই এই স্বাধীন সংস্থাটি সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে। তাদের কাজ গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা করছে না।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের যুক্ত হয়েছে ৯৬ লক্ষ ভুয়ো ভোটার: কমিশনকে তীর রাজ ঠাকরের

রাজ এদিন আরও জানান, কমিশনের উচিত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করা। এবং সত্য সবার সামনে উন্মোচন করে দেওয়া। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু তারা সেটা করবে না। কারণ তাদের আশঙ্কা গত ১০ বছরের ভোট চুরির ঘটনা প্রকাশ পাবে। আর এই সব কারণেই ধীরে ধীরে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে দেশ। তারা এত বছর ধরে ভোট চুরি করে সরকার গঠন করতে পেরেছে। নাম না করেই বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তিনি। আমাদের প্রার্থীরা ভোট না পাওয়ার কারণে পরাজিত হননি, বরং তাদের দেওয়া ভোট তাদের কাছে পৌঁছায়নি বলেই পরাজিত হয়েছেন। অতএব, আমরা যদি সাফল্য চাই, তাহলে আমাদের তাদের ভোট চুরির বিষয়টি প্রকাশ করতে হবে। প্রতিটি দলের কর্মীর ভোটার তালিকা সাবধানে পরীক্ষা করা উচিত।  গত দশ বছর ধরে ভোট চুরি হচ্ছে। আমি ২০১৬ সাল থেকে এটি নিয়ে কথা বলছি। আমি শরদ পাওয়ার, সোনিয়া গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  এবং অন্যান্য বিরোধী সদস্যদের সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলে, দেখা করেছি। এমনকি ২০১৭ সালে, আমি ভোট বয়কট করার পরামর্শ দিয়েছিলাম।

আরও পড়ুন: ভোট-চুরি হয়েছ, নিজের দাবিতে অনড় রাহুল

 

আরও পড়ুন: লাউডস্পিকার ইস্যু নিয়ে হম্বিতম্বি উধাও! শরীর নিয়েই নাজেহাল রাজ ঠাকরে, পিছল অস্ত্রোপচার