২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১ হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ গ্রিনল্যান্ড

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ জানুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 48

বিশেষ প্রতিবেদন: আর্কটিক ও আন্টার্কটিক মহাসাগরের মধ্যবর্তী দেশ গ্রিনল্যান্ডের তাপমাত্রা নিয়ে নতুন গবেষণা প্রকাশ পেয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ১ হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ হয়ে পড়েছে গ্রিনল্যান্ড। বুধবার ‘নেচার’ জার্নালে এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গ্রিনল্যান্ডের বরফের শিট ও হিমবাহের গভীর থেকে নেওয়া নমুনাগুলোতে তাপমাত্রার আধিক্য ধরা পড়েছে।

হিসাব করে দেখা গেছে, গত ১ হাজার বছরে এরকম উষ্ণতা আর দেখা যায়নি। গবেষণার প্রধান লেখক জার্মানির আলফ্রেড ওয়েজেনার ইনস্টিটিউটের হিমবিজ্ঞানী মারিয়া হোরহোল্ড। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৯৯০ এবং ২০১১ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাপারটি লক্ষ্য করেছি। আমাদের কাছে এখন বিশ্ব উষ্ণায়নের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।’ বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, বিশ্বের সরকারগুলো এখনও বিশ্ব উষ্ণায়ণের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এড়াতে সচেষ্ট হয়নি।

আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থান রুখতে ১৪০০-রও বেশি খুন, ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু: রাষ্ট্রসংঘ

রাষ্ট্রসংঘের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবী অনেক উষ্ণ হয়ে যাবে এবং বড় বড় হিমবাহগুলোর অধিকাংশ গলে যাবে। বর্তমানে বিশ্বে ১৮,৬০০ হিমবাহ বিদ্যমান। এগুলোর এক-তৃতীয়াংশ গলে যাবে চলতি শতাব্দির মাঝামাঝি। গবেষণায় দেখা গেছে, ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ হিমবাহ অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। ড্যানিশ আবহাওয়া সংস্থার মার্টিন স্টেন্ডেল বলেন, গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলে যাওয়ায় সমুদ্রে পানি বাড়ছে। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: বাংলাদেশে গ্রেফতার ১৩০৮

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের নয়, বরং ইসরাইলিদের উচিত গ্রিনল্যান্ডে পাঠানো, হুংকার ইরানের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১ হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ গ্রিনল্যান্ড

আপডেট : ১৯ জানুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

বিশেষ প্রতিবেদন: আর্কটিক ও আন্টার্কটিক মহাসাগরের মধ্যবর্তী দেশ গ্রিনল্যান্ডের তাপমাত্রা নিয়ে নতুন গবেষণা প্রকাশ পেয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ১ হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ হয়ে পড়েছে গ্রিনল্যান্ড। বুধবার ‘নেচার’ জার্নালে এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গ্রিনল্যান্ডের বরফের শিট ও হিমবাহের গভীর থেকে নেওয়া নমুনাগুলোতে তাপমাত্রার আধিক্য ধরা পড়েছে।

হিসাব করে দেখা গেছে, গত ১ হাজার বছরে এরকম উষ্ণতা আর দেখা যায়নি। গবেষণার প্রধান লেখক জার্মানির আলফ্রেড ওয়েজেনার ইনস্টিটিউটের হিমবিজ্ঞানী মারিয়া হোরহোল্ড। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৯৯০ এবং ২০১১ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাপারটি লক্ষ্য করেছি। আমাদের কাছে এখন বিশ্ব উষ্ণায়নের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।’ বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, বিশ্বের সরকারগুলো এখনও বিশ্ব উষ্ণায়ণের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এড়াতে সচেষ্ট হয়নি।

আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থান রুখতে ১৪০০-রও বেশি খুন, ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু: রাষ্ট্রসংঘ

রাষ্ট্রসংঘের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবী অনেক উষ্ণ হয়ে যাবে এবং বড় বড় হিমবাহগুলোর অধিকাংশ গলে যাবে। বর্তমানে বিশ্বে ১৮,৬০০ হিমবাহ বিদ্যমান। এগুলোর এক-তৃতীয়াংশ গলে যাবে চলতি শতাব্দির মাঝামাঝি। গবেষণায় দেখা গেছে, ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ হিমবাহ অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। ড্যানিশ আবহাওয়া সংস্থার মার্টিন স্টেন্ডেল বলেন, গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলে যাওয়ায় সমুদ্রে পানি বাড়ছে। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: বাংলাদেশে গ্রেফতার ১৩০৮

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের নয়, বরং ইসরাইলিদের উচিত গ্রিনল্যান্ডে পাঠানো, হুংকার ইরানের