২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘পশ্চিমারা আমাদের ধ্বংস করতে চায়’ রাশিয়াকে রক্ষা করবই: পুতিন

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 50

 

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন টেলিফোনিক কথোপকথনের পরই ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা রাশিয়ার

 

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

 

আরও পড়ুন: ইরান-ইসরাইলের যুদ্ধে আমেরিকা হস্তক্ষেপ করলে ভয়াবহ সংঘাতের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

 

পুবের কলম ওয়েবডস্কঃ রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া এলাকাগুলি পুনরুদ্ধার করে চলেছে ইউক্রেন। এরই সঙ্গে পুতিনকে একের পর এক হুমকি দিয়ে চলেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। কিন্তু এবার পালা পুতিনের। কোনও হুমকি নয়, ক্ষোভ থেকে সোজা সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে জানালেন, রিজার্ভ থেকে তুলে এনে নয়া সৈন্যদের দ্রুত তৎপর করা হবে ও কাজে লাগানো হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো বাহিনীতে সেনাসংখ্যা বাড়িয়ে তাদের সক্রিয় করার ঘোষণা করেছেন পুতিন। আর বুধবার থেকেই এ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এক ভাষণে পুতিন বলেন, ‘যদি আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়ে, আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য সব উপায় ব্যবহার করব।’ ইউরোপ রাশিয়াকে পরমাণু অস্ত্রের হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমারা আমাদের দেশকে ধ্বংস করতে চায়। রাশিয়ার সঙ্গে ছায়া যুদ্ধ শুরু করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। এটি অব্যাহত থাকলে মস্কো তার বিশাল অস্ত্রাগারের সব শক্তি দিয়ে জবাব দেবে। আর জবাব দেওয়ার জন্য রাশিয়ার কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র রয়েছে।’ পুতিনের এ ঘোষণার পর রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানান, ‘প্রাথমিকভাকে সামরিক অভিজ্ঞতা আছে এমন প্রায় তিন লক্ষ মানুষকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার সেনা সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি অস্পষ্ট এক ধারণা। তবে এর অর্থ হতে পারে, রুশ ব্যবসায়ী এবং নাগরিকদের যুদ্ধের প্রচেষ্টায় আরও বেশি অবদান রাখতে হবে। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমন করা সত্ত্বেও রাশিয়া এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেনি। এ আক্রমণকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলেই অভিহিত করে আসছে মস্কো। তবে পুতিনের নতুন এ ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের ঘোষণাও আসতে পারে এবং সেক্ষেত্রে সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।  এদিকে পুতিনের এ ঘোষণার পর নড়েচড়ে বসেছে পশ্চিমারাও। পুতিনের বক্তব্যের পরপরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ মন্ত্রী গিলিয়ান কিগান বলেন, ‘পুতিনের মন্তব্যকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। স্পষ্টতই এটি এমন হুমকি যা আমাদের খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।’ এর আগে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার সদস্য বাড়ানোর এক নির্দেশনায় সই করেছিলেন পুতিন। বর্তমানে রুশ সেনাবাহিনীতে ১০ লক্ষেরও বেশি সদস্য রয়েছে। অসামরিক কর্মী রয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘পশ্চিমারা আমাদের ধ্বংস করতে চায়’ রাশিয়াকে রক্ষা করবই: পুতিন

আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, বুধবার

 

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন টেলিফোনিক কথোপকথনের পরই ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা রাশিয়ার

 

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

 

আরও পড়ুন: ইরান-ইসরাইলের যুদ্ধে আমেরিকা হস্তক্ষেপ করলে ভয়াবহ সংঘাতের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

 

পুবের কলম ওয়েবডস্কঃ রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া এলাকাগুলি পুনরুদ্ধার করে চলেছে ইউক্রেন। এরই সঙ্গে পুতিনকে একের পর এক হুমকি দিয়ে চলেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। কিন্তু এবার পালা পুতিনের। কোনও হুমকি নয়, ক্ষোভ থেকে সোজা সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে জানালেন, রিজার্ভ থেকে তুলে এনে নয়া সৈন্যদের দ্রুত তৎপর করা হবে ও কাজে লাগানো হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো বাহিনীতে সেনাসংখ্যা বাড়িয়ে তাদের সক্রিয় করার ঘোষণা করেছেন পুতিন। আর বুধবার থেকেই এ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এক ভাষণে পুতিন বলেন, ‘যদি আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়ে, আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য সব উপায় ব্যবহার করব।’ ইউরোপ রাশিয়াকে পরমাণু অস্ত্রের হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমারা আমাদের দেশকে ধ্বংস করতে চায়। রাশিয়ার সঙ্গে ছায়া যুদ্ধ শুরু করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। এটি অব্যাহত থাকলে মস্কো তার বিশাল অস্ত্রাগারের সব শক্তি দিয়ে জবাব দেবে। আর জবাব দেওয়ার জন্য রাশিয়ার কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র রয়েছে।’ পুতিনের এ ঘোষণার পর রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানান, ‘প্রাথমিকভাকে সামরিক অভিজ্ঞতা আছে এমন প্রায় তিন লক্ষ মানুষকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার সেনা সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি অস্পষ্ট এক ধারণা। তবে এর অর্থ হতে পারে, রুশ ব্যবসায়ী এবং নাগরিকদের যুদ্ধের প্রচেষ্টায় আরও বেশি অবদান রাখতে হবে। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমন করা সত্ত্বেও রাশিয়া এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেনি। এ আক্রমণকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলেই অভিহিত করে আসছে মস্কো। তবে পুতিনের নতুন এ ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের ঘোষণাও আসতে পারে এবং সেক্ষেত্রে সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।  এদিকে পুতিনের এ ঘোষণার পর নড়েচড়ে বসেছে পশ্চিমারাও। পুতিনের বক্তব্যের পরপরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ মন্ত্রী গিলিয়ান কিগান বলেন, ‘পুতিনের মন্তব্যকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। স্পষ্টতই এটি এমন হুমকি যা আমাদের খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।’ এর আগে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার সদস্য বাড়ানোর এক নির্দেশনায় সই করেছিলেন পুতিন। বর্তমানে রুশ সেনাবাহিনীতে ১০ লক্ষেরও বেশি সদস্য রয়েছে। অসামরিক কর্মী রয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ।