১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেক সন্তান আপনার কি কি কাজে আসতে পারে!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ মার্চ ২০২২, বুধবার
  • / 247

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক :  মানবজীবনের সঙ্গে জীবন ও মৃত্যু ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আল্লাহ তাআলা জীবন মৃত্যুর এই অমোঘ-বাস্তবতা সৃষ্টি করেছেন শুধু মাত্র তাঁর বান্দাদের পরীক্ষা করার জন্য। তাঁর বান্দাদের আমলের মূল্যায়ন করার জন্য। আল্লাহ তাআলার বান্দাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে কে সর্বাধিক উত্তম তার মূল্যায়ন করার জন্য। বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত আছে।(মুসলিম),(তিরমিজি), মৃত্যুর পর আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্ত কিছু কিছু আমল আছে মৃত্যুর পর বন্ধ হয় না। আল্লাহর নবীজি রাসুলুল্লাহ(সা.)বলেছেন, কিছু কিছু আমল মৃত্যুর পরেও জারি থাকে।

 

আরও পড়ুন: I love Muhammad’ ব্যানারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা অসাংবিধানিক: জামায়াতে ইসলামি হিন্দ

সেই আমল গুলি হল –

আরও পড়ুন: বিদ্বেষ নয়, সৃষ্টির সেবাই হোক ধর্ম: জমিয়তে উলামায়ে বাংলার কর্মী সম্মেলন ও বিশ্ব নবী দিবসে বার্তা

 

আরও পড়ুন: আপনার কবিতার জন্য আমি মুসলমান,কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট কবীর সুমনের

সদকায়ে জারিয়া – ‘সাদাকাতুন জারিয়াহ্ ’সদকা শব্দের অর্থ দান করা। আর জারিয়া শব্দের অর্থ সদাস্থায়ী। সদকায়ে জারিয়া হলো- এমন দান যার কার্যকারিতা কখনো শেষ হবে না এবং তা কিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে। অর্থাৎ এই পৃথিবী যত দিন থাকবে, তত দিন পর্যন্ত কবরে শুয়ে শুয়ে সদকাকারী ব্যক্তি এর সওয়াব পেতেই থাকবে। তাই ইসলাম ধর্মের আনুসারি প্রতিজন মুসলিমদের উচিৎ সদকায়ে জারিয়া করা। যেটা শুধু ইহজীবন না মৃত্যুর পরবর্তী জীবনেও কল্যাণকর হবে।

 

ইলম (জ্ঞান)– এমন জ্ঞান যার মারফত উপকৃত হওয়া যায়।

 

নেক সন্তান – (এমন সন্তান যারা ইসলামিক শিক্ষাই শিক্ষিত)।

 

মৃত্যুর পর একটা মানুষের সব আমল বন্ধ হলেও ছিন্ন হয়না উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলো।

 

একটা নেক সন্তান ইহজীবনে যতটা কল্যানকর, এবং যেই ভাবে নেক সন্তানের দ্বারা সমাজে সম্মানিত হওয়া যায়। ঠিক তেমন ভাবেই আখিরাতেও সন্তানের দোয়ার জন্য মর্যাদা বাড়িয়ে দিতে পারেন স্বয়ং রাব্বুল আলামিন। মৃত্যুর পর একজন সৎ নেককার সন্তানের একনিষ্ঠ ও একাগ্রও চিত্তে করা দুয়ার মাধ্যমে পিতামাতা আখেরাতে অনেক সম্মান প্রাপ্ত এবং উচ্চ মর্যাদাশীল হবে। সেই উপলক্ষে এক হাদিসে বলা আছে – নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ জান্নাতে নেককার বান্দার মর্যাদা বুলন্দ করবেন, তখন সে বলবে, হে আমার রব, কেন আমার জন্য এই উচ্চ মর্যাদা? তখন আল্লাহ বলবেন, তোমার জন্য,  তোমার সন্তানের ক্ষমা প্রার্থনা করার কারণে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নেক সন্তান আপনার কি কি কাজে আসতে পারে!

আপডেট : ২ মার্চ ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক :  মানবজীবনের সঙ্গে জীবন ও মৃত্যু ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আল্লাহ তাআলা জীবন মৃত্যুর এই অমোঘ-বাস্তবতা সৃষ্টি করেছেন শুধু মাত্র তাঁর বান্দাদের পরীক্ষা করার জন্য। তাঁর বান্দাদের আমলের মূল্যায়ন করার জন্য। আল্লাহ তাআলার বান্দাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে কে সর্বাধিক উত্তম তার মূল্যায়ন করার জন্য। বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত আছে।(মুসলিম),(তিরমিজি), মৃত্যুর পর আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্ত কিছু কিছু আমল আছে মৃত্যুর পর বন্ধ হয় না। আল্লাহর নবীজি রাসুলুল্লাহ(সা.)বলেছেন, কিছু কিছু আমল মৃত্যুর পরেও জারি থাকে।

 

আরও পড়ুন: I love Muhammad’ ব্যানারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা অসাংবিধানিক: জামায়াতে ইসলামি হিন্দ

সেই আমল গুলি হল –

আরও পড়ুন: বিদ্বেষ নয়, সৃষ্টির সেবাই হোক ধর্ম: জমিয়তে উলামায়ে বাংলার কর্মী সম্মেলন ও বিশ্ব নবী দিবসে বার্তা

 

আরও পড়ুন: আপনার কবিতার জন্য আমি মুসলমান,কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট কবীর সুমনের

সদকায়ে জারিয়া – ‘সাদাকাতুন জারিয়াহ্ ’সদকা শব্দের অর্থ দান করা। আর জারিয়া শব্দের অর্থ সদাস্থায়ী। সদকায়ে জারিয়া হলো- এমন দান যার কার্যকারিতা কখনো শেষ হবে না এবং তা কিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে। অর্থাৎ এই পৃথিবী যত দিন থাকবে, তত দিন পর্যন্ত কবরে শুয়ে শুয়ে সদকাকারী ব্যক্তি এর সওয়াব পেতেই থাকবে। তাই ইসলাম ধর্মের আনুসারি প্রতিজন মুসলিমদের উচিৎ সদকায়ে জারিয়া করা। যেটা শুধু ইহজীবন না মৃত্যুর পরবর্তী জীবনেও কল্যাণকর হবে।

 

ইলম (জ্ঞান)– এমন জ্ঞান যার মারফত উপকৃত হওয়া যায়।

 

নেক সন্তান – (এমন সন্তান যারা ইসলামিক শিক্ষাই শিক্ষিত)।

 

মৃত্যুর পর একটা মানুষের সব আমল বন্ধ হলেও ছিন্ন হয়না উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলো।

 

একটা নেক সন্তান ইহজীবনে যতটা কল্যানকর, এবং যেই ভাবে নেক সন্তানের দ্বারা সমাজে সম্মানিত হওয়া যায়। ঠিক তেমন ভাবেই আখিরাতেও সন্তানের দোয়ার জন্য মর্যাদা বাড়িয়ে দিতে পারেন স্বয়ং রাব্বুল আলামিন। মৃত্যুর পর একজন সৎ নেককার সন্তানের একনিষ্ঠ ও একাগ্রও চিত্তে করা দুয়ার মাধ্যমে পিতামাতা আখেরাতে অনেক সম্মান প্রাপ্ত এবং উচ্চ মর্যাদাশীল হবে। সেই উপলক্ষে এক হাদিসে বলা আছে – নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ জান্নাতে নেককার বান্দার মর্যাদা বুলন্দ করবেন, তখন সে বলবে, হে আমার রব, কেন আমার জন্য এই উচ্চ মর্যাদা? তখন আল্লাহ বলবেন, তোমার জন্য,  তোমার সন্তানের ক্ষমা প্রার্থনা করার কারণে।