১০ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওবিসি’র অন্তর্ভুক্ত কারা? পঞ্চায়েতস্তরে বিজ্ঞাপন দিতে নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 351

মোল্লা জসিমউদ্দিন:  মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ওবিসি শংসাপত্র মামলায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলো। ‘ওবিসি -র অন্তর্ভুক্ত কারা?’ ২০১০ সালের পর রাজ্যের তৈরি সেই ওবিসি তালিকা খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট। নতুন করে সমীক্ষা করে সংরক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে। কিন্তু এবার রাজ্যের সেই নতুন সমীক্ষা পদ্ধতিও হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। যে ১১৩ টি ওবিসি সম্প্রদায়কে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল হাইকোর্ট, এখন নতুন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে সেই বাতিল হওয়া সম্প্রদায়গুলি থেকেই ফের আবেদন গ্রহণ করেছে ‘রাজ্য ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন’।

এদিন এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখার মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, -’কীসের ভিত্তিতে খারিজ করে দেওয়া সম্প্রদায়গুলোর থেকেই আবেদন গ্রহণ করছে কমিশন? কেন কমিশন নিজে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি?’ এরপরে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, -’ এখনই বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে কমিশনকে। বিডিওদেরও নির্দেশ দিতে হবে’।

আরও পড়ুন: BREAKING: ৭ অগস্ট রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশ

যার ভিত্তিতে সমীক্ষার জন্য নতুন নতুন সম্প্রদায়ের থেকে আবেদন গ্রহণের বার্তা থাকবে কমিশনের তরফে। এদের এই মামলায় ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস বিভাগকেও’ যুক্ত করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।মঙ্গলবার দীর্ঘ শুনানিতে প্রথমে কমিশন তাদের নতুন সমীক্ষা ত্রুটি মানতে না চাইলেও, পরে আংশিকভাবে আদালতের বক্তব্য মেনে নেয়।

আরও পড়ুন: নতুন ওবিসি তালিকায় স্থগিতাদেশ খারিজ শীর্ষ কোর্টে, জয় রাজ্যের

একই সঙ্গে তারা আবেদন করে, যেহেতু একটা পদ্ধতির শুরু হয়েছে, এরফলে এখনই এতে যেন হস্তক্ষেপ না করে হাইকোর্ট। তাদের দাবি মেনে নিয়ে আদালত আপাতত তাদের এই কাজে হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।

আরও পড়ুন: ‘পুলিশের অনুমতি ছাড়া নবান্ন অভিযান করলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে’, কলকাতা হাইকোর্ট

তবে হাইকোর্টের নির্দেশ, কী পদ্ধতিতে এই সমীক্ষা করে নতুন ওবিসি তালিকা তৈরি করা হবে, সে ব্যাপারে ১৫ জুনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে কমিশনকে জানাতে হবে। আগামী ১৯ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওবিসি’র অন্তর্ভুক্ত কারা? পঞ্চায়েতস্তরে বিজ্ঞাপন দিতে নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

আপডেট : ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন:  মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ওবিসি শংসাপত্র মামলায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলো। ‘ওবিসি -র অন্তর্ভুক্ত কারা?’ ২০১০ সালের পর রাজ্যের তৈরি সেই ওবিসি তালিকা খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট। নতুন করে সমীক্ষা করে সংরক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে। কিন্তু এবার রাজ্যের সেই নতুন সমীক্ষা পদ্ধতিও হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। যে ১১৩ টি ওবিসি সম্প্রদায়কে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল হাইকোর্ট, এখন নতুন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে সেই বাতিল হওয়া সম্প্রদায়গুলি থেকেই ফের আবেদন গ্রহণ করেছে ‘রাজ্য ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন’।

এদিন এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখার মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, -’কীসের ভিত্তিতে খারিজ করে দেওয়া সম্প্রদায়গুলোর থেকেই আবেদন গ্রহণ করছে কমিশন? কেন কমিশন নিজে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি?’ এরপরে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, -’ এখনই বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে কমিশনকে। বিডিওদেরও নির্দেশ দিতে হবে’।

আরও পড়ুন: BREAKING: ৭ অগস্ট রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশ

যার ভিত্তিতে সমীক্ষার জন্য নতুন নতুন সম্প্রদায়ের থেকে আবেদন গ্রহণের বার্তা থাকবে কমিশনের তরফে। এদের এই মামলায় ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস বিভাগকেও’ যুক্ত করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।মঙ্গলবার দীর্ঘ শুনানিতে প্রথমে কমিশন তাদের নতুন সমীক্ষা ত্রুটি মানতে না চাইলেও, পরে আংশিকভাবে আদালতের বক্তব্য মেনে নেয়।

আরও পড়ুন: নতুন ওবিসি তালিকায় স্থগিতাদেশ খারিজ শীর্ষ কোর্টে, জয় রাজ্যের

একই সঙ্গে তারা আবেদন করে, যেহেতু একটা পদ্ধতির শুরু হয়েছে, এরফলে এখনই এতে যেন হস্তক্ষেপ না করে হাইকোর্ট। তাদের দাবি মেনে নিয়ে আদালত আপাতত তাদের এই কাজে হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।

আরও পড়ুন: ‘পুলিশের অনুমতি ছাড়া নবান্ন অভিযান করলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে’, কলকাতা হাইকোর্ট

তবে হাইকোর্টের নির্দেশ, কী পদ্ধতিতে এই সমীক্ষা করে নতুন ওবিসি তালিকা তৈরি করা হবে, সে ব্যাপারে ১৫ জুনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে কমিশনকে জানাতে হবে। আগামী ১৯ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।