নেপালে ইতিহাস গড়লেন Sushila Karki, শুভেচ্ছা ভরত – বাংলাদেশের
- আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার
- / 312
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। আর এই শপথবাক্য পাঠের মাধ্যমে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেপালের ইতিহাসেরও অংশ হলেন তিনি। দেশটিতে চলমান অনিশ্চয়তার মধ্যে, জেন-জি আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী, সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেল। যদিও প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য জন্য নানা নাম উঠে এলেও, অবশেষে সুশীলা কার্কি’কে বেছে নিল জেন – জি বিপ্লবীরা।
এই প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্টের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক উপদেষ্টা সুরেশ চন্দ্র চালিসে জানিয়েছেন, ‘প্রেসিডেন্ট সংবিধানের চেতনার ভিত্তিতে Sushila Karki- কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন।’
এদিনের অনুষ্ঠানে দেশটির শীর্ষ নেতা, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কার্কির শপথ গ্রহণের পরই নেপালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২৬ সালের ৫ মার্চে হবে নির্বাচন।
সুশীলা কার্কিকে অভিনন্দন ভারত – বাংলাদেশের
সুশীলা কার্কিকে অভিনন্দন জানালেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া সুশীলা কার্কীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার শপথ নেওয়ার পর সমাজমাধ্যম এক্সে দেওয়া বার্তায় তিনি লিখেছেন, “নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের জন্য মাননীয়া সুশীলা কার্কীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। নেপালের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য ভারত দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সুশীলা কার্কিকে অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সুশীলা কার্কিকে অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার সঙ্গে নেপালের সীমান্ত রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী হিসেবে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রাখতে উদ্যোগী।
ভারতের রাষ্ট্রদূত নবীন শ্রীবাস্তবও শপথ অনুষ্ঠানে গিয়ে নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
সুশীলা কার্কিকে অভিনন্দন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাপক ইউনূসের
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার এক বার্তায় অধ্যাপক ইউনূস এই অভিনন্দন জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আপনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আপনার দায়িত্ব গ্রহণ, বিশেষ করে একটি সংকটপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং সময়ে, নেপালের জনগণ আপনার প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন তারই প্রতিফলন। নেপালের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আপনার দক্ষ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় নেপাল ও নেপালের দৃঢ় জনগণ শান্তি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার পথে অগ্রসর হতে থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে রাজতন্ত্র শেষ হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা চলছে নেপালে। দেশে কর্মসংস্থানের অভাব। তাই লাখ লাখ মানুষ বিদেশে গিয়ে চাকরি করছেন এবং দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন। বিক্ষোভ শুরুর পঞ্চম দিন শুক্রবার রাজধানী কাঠমান্ডুতে স্বাভাবিকতা ফিরতে শুরু করেছে। দোকানগুলো খুলছে, রাস্তায় গাড়ি চলাচল করছে। পুলিশ সদস্যদের হাতে এখন আগের মতো বন্দুক নেই, তারা লাঠি হাতে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে কিছু রাস্তা এখনো বন্ধ আছে। সেনাসদস্যরা রাস্তায় টহল দিচ্ছেন। তবে তাদের সংখ্যা আগের চেয়ে কম।











































