০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্লাসে প্রথম হত মেয়ের সহপাঠী, ঈর্ষায় বিষ খাইয়ে মারলেন মহিলা

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 18

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: গোটা দেশে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে শিক্ষক দিবস। মা কে সন্তানের জীবনের প্রথম শিক্ষক বলা হয়। মাতৃভাষা থেকে নীতি, সবটাই শেখান মায়েরা। পুদুচেরির করাইক্কালে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর মা তুলে ধরলেন ঠিক এর উল্টো ছবি। ক্লাসে প্রথম হওয়া নিয়ে লড়াই লেগে থাকত আরুল মেরিও এবং বালা মণিকান্দন এর মধ্যে। শুধু পড়াশোনা নয়, এক্সট্রা ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতে প্রথম হওয়া নিয়েও  দ্বন্দ্ব লেগে থাকতো দুজনের। বেশ কয়েকবার তাই নিয়ে বিস্তর বচসাও হয়েছে। এই বচসা শেষ করতে আরুলের মা সাগায়ারানি বিষ খাইয়ে মারলেন বালা মণিকান্দনকে।

স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের প্রস্তুতি চলছিল। সেই সুযোগে সাগায়ারানি স্কুলের প্রহরীকে বিষ মেশানো একটি সফট ড্রিংক এর বোতল দিয়ে নিজেকে মণিকান্দনের মা বলে পরিচয় দেন। মণিকান্দন প্রহরীর কাছ থেকে সেটা নিয়ে খেয়ে ফেলে। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। বাড়ি ফিরে বমি করতে থাকলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আবার নতুন করে অসুস্থ হয় মণিকান্দন। এরপর একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার মৃত্যু হয়। অসুস্থ হওয়ার পর যখন তার মা জিজ্ঞাসা করে, সে কি খেয়েছিল, তখন সে মায়ের পাঠানো সফট ড্রিংকের কথা বলে। একথা শুনে চিন্তায় পড়েন মণিকান্দনের মা।

এরপর স্থানীয় থানায় সবকিছু জানালে, স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আরুলের মা সাগায়ারানিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ক্লাসে প্রথম হত মেয়ের সহপাঠী, ঈর্ষায় বিষ খাইয়ে মারলেন মহিলা

আপডেট : ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: গোটা দেশে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে শিক্ষক দিবস। মা কে সন্তানের জীবনের প্রথম শিক্ষক বলা হয়। মাতৃভাষা থেকে নীতি, সবটাই শেখান মায়েরা। পুদুচেরির করাইক্কালে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর মা তুলে ধরলেন ঠিক এর উল্টো ছবি। ক্লাসে প্রথম হওয়া নিয়ে লড়াই লেগে থাকত আরুল মেরিও এবং বালা মণিকান্দন এর মধ্যে। শুধু পড়াশোনা নয়, এক্সট্রা ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতে প্রথম হওয়া নিয়েও  দ্বন্দ্ব লেগে থাকতো দুজনের। বেশ কয়েকবার তাই নিয়ে বিস্তর বচসাও হয়েছে। এই বচসা শেষ করতে আরুলের মা সাগায়ারানি বিষ খাইয়ে মারলেন বালা মণিকান্দনকে।

স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের প্রস্তুতি চলছিল। সেই সুযোগে সাগায়ারানি স্কুলের প্রহরীকে বিষ মেশানো একটি সফট ড্রিংক এর বোতল দিয়ে নিজেকে মণিকান্দনের মা বলে পরিচয় দেন। মণিকান্দন প্রহরীর কাছ থেকে সেটা নিয়ে খেয়ে ফেলে। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। বাড়ি ফিরে বমি করতে থাকলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আবার নতুন করে অসুস্থ হয় মণিকান্দন। এরপর একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার মৃত্যু হয়। অসুস্থ হওয়ার পর যখন তার মা জিজ্ঞাসা করে, সে কি খেয়েছিল, তখন সে মায়ের পাঠানো সফট ড্রিংকের কথা বলে। একথা শুনে চিন্তায় পড়েন মণিকান্দনের মা।

এরপর স্থানীয় থানায় সবকিছু জানালে, স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আরুলের মা সাগায়ারানিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।