১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞানী আব্বাস শফির নেতৃত্বে কৃত্রিম মানব ত্বক তৈরি অস্ট্রেলিয়া

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার
  • / 235

বিশেষ প্রতিবেদন: স্টেম সেল ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো মানুষের ত্বকের আদলে কৃত্রিম ত্বক তৈরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এই দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিজ্ঞানী আব্বাস শফি। তাঁর জন্ম ইরানে। গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম ত্বকে রক্তনালি, লোমকূপ, স্নায়ু, টিস্যু স্তর ও রোগ প্রতিরোধক কোষ রয়েছে। ফলে ত্বকটি ত্বকসংশ্লিষ্ট রোগ, পোড়া অবস্থাসহ বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে।

 

কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী আব্বাস শাফি জানিয়েছেন, বিশ্বের যেকোনো স্থানে তৈরি করা কৃত্রিম ত্বকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণবন্ত ত্বকের মডেল এটি। নতুন ধরনের এই ত্বকের সাহায্যে বাস্তবের ত্বকের মতোই জৈবিক ক্রিয়া অনুকরণ করানো যায়। ফলে এই ত্বকের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা আরও কার্যকরভাবে করা যাবে।

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মানুষের ত্বকের কোষকে স্টেম সেলের মাধ্যমে কৃত্রিম ত্বক তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য প্রথমে স্টেম সেল ল্যাবের পেট্রি ডিশে স্থাপনের পর ত্বকের ক্ষুদ্র সংস্করণে রূপান্তর করা হয়। একে স্কিন অর্গানয়েড বলা হয়। বিজ্ঞানী আব্বাস জানান, আমরা এরপর একই স্টেম সেল ব্যবহার করে ক্ষুদ্র রক্তনালি তৈরি করেছি। সব ধীরে ধীরে ত্বকে যুক্ত করেছি। প্রাকৃতিক ত্বকের মতোই বিকশিত হয়েছে এই নমুনা।

আরও পড়ুন: Palestine Statehood: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

 

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুতির ঘোষণা দিল চার পশ্চিমা দেশ

এতে ত্বকের স্তর, লোমকূপ, পিগমেন্টেশন, অ্যাপেন্ডেজ প্যাটার্নিং, স্নায়ু ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিজস্ব রক্ত সরবরাহের পথ তৈরি হয়েছে। ত্বকের মডেল তৈরি করতে বিজ্ঞানীদের সময় লেগেছে প্রায় ছয় বছর। নতুন মডেলটির বিষয়ে বিজ্ঞানী অধ্যাপক কিয়ারাশ খোসরোতেহরানি বলেন, সোরিয়াসিস, অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস ও স্ক্লেরোডার্মার মতো ত্বকের রোগ ও চিকিৎসা করা বেশ কঠিন। সেখানে এসব রোগসহ দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য নতুন মডেল আশার আলো দেখাতে সক্ষম।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিজ্ঞানী আব্বাস শফির নেতৃত্বে কৃত্রিম মানব ত্বক তৈরি অস্ট্রেলিয়া

আপডেট : ২৪ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার

বিশেষ প্রতিবেদন: স্টেম সেল ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো মানুষের ত্বকের আদলে কৃত্রিম ত্বক তৈরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এই দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিজ্ঞানী আব্বাস শফি। তাঁর জন্ম ইরানে। গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম ত্বকে রক্তনালি, লোমকূপ, স্নায়ু, টিস্যু স্তর ও রোগ প্রতিরোধক কোষ রয়েছে। ফলে ত্বকটি ত্বকসংশ্লিষ্ট রোগ, পোড়া অবস্থাসহ বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে।

 

কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী আব্বাস শাফি জানিয়েছেন, বিশ্বের যেকোনো স্থানে তৈরি করা কৃত্রিম ত্বকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণবন্ত ত্বকের মডেল এটি। নতুন ধরনের এই ত্বকের সাহায্যে বাস্তবের ত্বকের মতোই জৈবিক ক্রিয়া অনুকরণ করানো যায়। ফলে এই ত্বকের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা আরও কার্যকরভাবে করা যাবে।

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মানুষের ত্বকের কোষকে স্টেম সেলের মাধ্যমে কৃত্রিম ত্বক তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য প্রথমে স্টেম সেল ল্যাবের পেট্রি ডিশে স্থাপনের পর ত্বকের ক্ষুদ্র সংস্করণে রূপান্তর করা হয়। একে স্কিন অর্গানয়েড বলা হয়। বিজ্ঞানী আব্বাস জানান, আমরা এরপর একই স্টেম সেল ব্যবহার করে ক্ষুদ্র রক্তনালি তৈরি করেছি। সব ধীরে ধীরে ত্বকে যুক্ত করেছি। প্রাকৃতিক ত্বকের মতোই বিকশিত হয়েছে এই নমুনা।

আরও পড়ুন: Palestine Statehood: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

 

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুতির ঘোষণা দিল চার পশ্চিমা দেশ

এতে ত্বকের স্তর, লোমকূপ, পিগমেন্টেশন, অ্যাপেন্ডেজ প্যাটার্নিং, স্নায়ু ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিজস্ব রক্ত সরবরাহের পথ তৈরি হয়েছে। ত্বকের মডেল তৈরি করতে বিজ্ঞানীদের সময় লেগেছে প্রায় ছয় বছর। নতুন মডেলটির বিষয়ে বিজ্ঞানী অধ্যাপক কিয়ারাশ খোসরোতেহরানি বলেন, সোরিয়াসিস, অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস ও স্ক্লেরোডার্মার মতো ত্বকের রোগ ও চিকিৎসা করা বেশ কঠিন। সেখানে এসব রোগসহ দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য নতুন মডেল আশার আলো দেখাতে সক্ষম।