কলকাতায় মর্মান্তিক মৃত্যু বাসন্তীর এক যুবকের

- আপডেট : ১৪ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 185
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : কলকাতায় গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটলো সুন্দরবনের বাসন্তীর এক যুবকের। বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। তাতেও অভাব পিছু ছাড়েনি। উপার্জনের তাগিদে বাসন্তীর গ্রামের বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় এসেছিলেন সৌম্য মণ্ডল। ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেন তিনি। সেই খাবার দিতে যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনা প্রাণ গেল যুবকের।
আর এই খবর বাড়িতে পৌঁছতেই রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়ে সবাই। অর্থের আশায় কলকাতায় না গেলে এই পরিণতি হত না সন্তানের, আক্ষেপ মায়ের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের হিরন্ময়পুর গ্রামের বাসিন্দা সৌম্য মণ্ডল। বয়স ২৪ বছর। দারিদ্রতা ছিল নিত্যসঙ্গী। সংসারের হাল ধরতে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন মৃত যুবকের বাবা তাপস মণ্ডল।
এদিকে উপার্জনের আশায় কলকাতায় ডেলিভারি বয়েরকাজ শুরু করেন সৌম্য। কিন্তু এই কাজই যে কাল হবে, তা ভাবতে পারেননি কেউ। বুধবার বিকেলে সল্টলেক একে ব্লকের কাছে নতুন ব্রিজের কাছে একটি চারচাকা গাড়ি বেপরোয়া গতিতে এসে পরপর দুটো বাইকে ধাক্কা মারে। একটি বাইকে ছিলেন পেশায় ডেলিভারি বয় সৌম্য। ঘাতক গাড়িটি তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় রেলিংয়ের কাছে। রেলিংয়ে আটকে যান যুবক।
এদিকে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গাড়ি। ওই চারচাকা গাড়িতে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে ডেলিভারি বয়কে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলেই জীবন্ত পুড়ে যান তিনি।খবর বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার।ছুটে আসেন কলকাতায়। ছেলের এই নির্মম পরিণতিতে স্বাভাবিকভাবেই স্তম্ভিত বাসন্তীর মানুষ।
উল্লেখ্য, বুধবার এই দুর্ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে ছিলেন সল্টলেকের বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কর্মী যুবককে উদ্ধারের চেষ্টা না করে ভিডিও করে বলে অভিযোগ ওঠে। তাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা।কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। আর এলাকার ছেলের এই মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার থমথমে পরিস্থিতি বাসন্তী এলাকায়।