২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্রের বরাদ্দ বন্ধ, শিশুপুষ্টি প্রকল্প চালাতে হচ্ছে রাজ্যের অর্থেই: শশী পাঁজা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার
  • / 18

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: একশো দিনের কাজ, আবাস কিংবা গ্রামীণ রাস্তা তৈরিই নয়, শিশুপুষ্টির মতো  প্রকল্পেও রাজ্যকে দেয় অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথভাবে চলা শিশুপুষ্টি কর্মসূচিতে কেন্দ্র তার বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে ২০১৭ সাল থেকে। কিন্তু শিশুপুষ্টি প্রকল্প যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য সমস্ত চাপ সামলাতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকেই। শুক্রবার বিধানসভায় একথা জানালেন নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ -১৫ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে কেন্দ্র চাইল্ড বাজেট ৪.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.৫ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছিল। বরাদ্দ কমানো সত্ত্বেও শিশুদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ একই রাখতে রাজ্যকেই নিজের কোষাগার থেকে টাকা দিতে হচ্ছে। শিশুদের জন্য মর্নিং স্ন্যাক্স দেওয়া হচ্ছে। প্রোটিন পাউডার না থাকলেও ছাতু সরবরাহ করা হচ্ছে, যাতে ক্যালোরি ঠিক থাকে। এদিন মন্ত্রী শিশু পুষ্টি বাজেট বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।

আরও পড়ুন: “শ্রেষ্ঠ শিশু-আবাস পুরস্কার” পেল পূর্ব-বর্ধমান

শিশুবিকাশ ছাড়াও নারী কল্যাণেও দেশের মধ্যে রাজ্যের স্থান সবার আগে। নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, অপরাজিতা আইনর মাধ্যমে ধর্ষনের মতো অপরাধে রাজ্য লাগাম টানতে চাইলেও সেই বিল আটকে রাখার চেষ্টা করে চলেছে বিজেপি সরকার। আজও সেই বিল রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের অপেক্ষায়। রাজ্যের মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদি প্রকল্প চালু রয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৯৩ লক্ষেরও বেশি মহিলা। তবে শুধু আর্থিক প্রকল্পই নয়, বিবাহিত মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য রাজ্য সরকার নতুন নিরাপত্তা আধিকারিকের পদ সৃষ্টি করেছে প্রোটেকশান অফিসার নামে। গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে রাজ্যের ২৩ জেলায় ২৮ জন প্রোটেকশন অফিসার রাখা হয়েছে। এছাড়া বিপদগ্রস্ত মহিলাদের জন্য চালু হয়েছে ৩৭ টি শক্তি সদন, যা এনজিও-এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কেন্দ্রের বরাদ্দ বন্ধ, শিশুপুষ্টি প্রকল্প চালাতে হচ্ছে রাজ্যের অর্থেই: শশী পাঁজা

আপডেট : ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: একশো দিনের কাজ, আবাস কিংবা গ্রামীণ রাস্তা তৈরিই নয়, শিশুপুষ্টির মতো  প্রকল্পেও রাজ্যকে দেয় অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথভাবে চলা শিশুপুষ্টি কর্মসূচিতে কেন্দ্র তার বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে ২০১৭ সাল থেকে। কিন্তু শিশুপুষ্টি প্রকল্প যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য সমস্ত চাপ সামলাতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকেই। শুক্রবার বিধানসভায় একথা জানালেন নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ -১৫ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে কেন্দ্র চাইল্ড বাজেট ৪.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.৫ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছিল। বরাদ্দ কমানো সত্ত্বেও শিশুদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ একই রাখতে রাজ্যকেই নিজের কোষাগার থেকে টাকা দিতে হচ্ছে। শিশুদের জন্য মর্নিং স্ন্যাক্স দেওয়া হচ্ছে। প্রোটিন পাউডার না থাকলেও ছাতু সরবরাহ করা হচ্ছে, যাতে ক্যালোরি ঠিক থাকে। এদিন মন্ত্রী শিশু পুষ্টি বাজেট বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।

আরও পড়ুন: “শ্রেষ্ঠ শিশু-আবাস পুরস্কার” পেল পূর্ব-বর্ধমান

শিশুবিকাশ ছাড়াও নারী কল্যাণেও দেশের মধ্যে রাজ্যের স্থান সবার আগে। নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, অপরাজিতা আইনর মাধ্যমে ধর্ষনের মতো অপরাধে রাজ্য লাগাম টানতে চাইলেও সেই বিল আটকে রাখার চেষ্টা করে চলেছে বিজেপি সরকার। আজও সেই বিল রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের অপেক্ষায়। রাজ্যের মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদি প্রকল্প চালু রয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৯৩ লক্ষেরও বেশি মহিলা। তবে শুধু আর্থিক প্রকল্পই নয়, বিবাহিত মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য রাজ্য সরকার নতুন নিরাপত্তা আধিকারিকের পদ সৃষ্টি করেছে প্রোটেকশান অফিসার নামে। গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে রাজ্যের ২৩ জেলায় ২৮ জন প্রোটেকশন অফিসার রাখা হয়েছে। এছাড়া বিপদগ্রস্ত মহিলাদের জন্য চালু হয়েছে ৩৭ টি শক্তি সদন, যা এনজিও-এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।