দুর্গাপুর গণধর্ষণ-কাণ্ড: নির্যাতিতার সহপাঠী এমবিবিএস পড়ুয়ার ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত

- আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার
- / 62
পুবের কলম প্রতিবেদক, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর গণধর্ষণ-কাণ্ডে গ্রেফতার নির্যাতিতার সহপাঠীর পুলিশ হেফাজত। বুধবার তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক সাতদিনের পুলিশ হেফাজত দেন। ধৃত যুবক মালদার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে জোর করে আটকে রাখা এবং ধর্ষণের ধারায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, এই ঘটনা ঘটার পর থেকে সহপাঠীর ভূমিকা স্ক্যানারের মধ্যে ছিল। এই পরিস্থিতিতে নির্যাতিতার বিবৃতি নেওয়া হয়। তিনি গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। তাতে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায় সহপাঠীর বিরুদ্ধে। সেই তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর সহপাঠীর বক্তব্যে বেশকিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। শেষমেশ তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী জানিয়েছিলেন যে, সহপাঠীর ভূমিকা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। এবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুর্গাপুরে মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাস থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে ওই পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। রাতে সহপাঠীর সঙ্গে খেতে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর ভয়ঙ্কর ঘটনা। ঝোপের মধ্যে ডাক্তারির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে দাবি, মালদার বাসিন্দা এমবিবিএস পড়ুয়া ওয়াসেফ আলির বক্তব্যে অসঙ্গতি ছিল। বন্ধুকে ওই পরিস্থিতিতে ফেলে রেখে কেন তিনি চলে গিয়েছিলেন? ক্যাম্পাসে গিয়ে কেন কাউকে ঘটনার কথা জানালেন না? পুলিশেই বা খবর দিলেন না কেন? সেনিয়েও প্রশ্ন ছিল। পুলিশ সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতিতার সহপাঠী জানান, তারা রাতের খাবার খেতে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, শুরু থেকে তাদের পিছু নেয় ৩ অজ্ঞাত পরিচয় যুবক। কলেজ ক্যাম্পাস থেকে প্রায় এক কিমি দূরে মোহনবাগান অ্যাভিনিউ। অভিযোগ, জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে গিয়ে কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন।