রেড রোডেই হবে ঈদের জামাত, জানাল খিলাফত কমিটি

- আপডেট : ১ জুন ২০২৫, রবিবার
- / 150
আসিফ রেজা আনসারী: বহু বছর ধরে কলকাতার রেড রোডে দুই ঈদের নামায আয়োজন করে থাকে কলকতা খিলাফত কমিটি। কখনোই কোনও সমস্যা তৈরি না হলেও এ বছর ভারতীয় সেনার তরফে অনুমতি প্রত্যাখ্যানের খবর প্রকাশ্যে আসে। যার ফলে মুসলিমদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বলা যেতে পারে এক প্রকার ঈদের নামায নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। সেই সমস্যা মিটেছে। কলকাতার রেড রোডে ঈদ-উল-আযহার নামায অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানালেন কলকাতা খিলাফত কমিটির কর্মকর্তারা। রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ ও ভারতীয় সেনার সঙ্গে খিলাফত কমিটির যোগাযোগ হয়েছে। ঠিক হয়েছে, ঈদের নামায হবে।
এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা খিলাফত কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান, সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ, সদস্য মুহাম্মদ খলিল, ইরফান আলী তাজ, ইসহাক মল্লিক, মোমতাজ খান প্রমুখ।
বছরের পর বছর ধরে কলকাতার রেড রোডে দুই ঈদের নামায আয়োজন করে আসছে কলকাতা খিলাফত কমিটি। কখনোই কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। তবে এ বছর ভারতীয় সেনার তরফে ঈদ-উল-আযহার নামাযের অনুমতি প্রত্যাখ্যানের খবর প্রকাশ্যে আসে। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা পার্শ্ববর্তী মুসলিমদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঈদের নামায নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকেও বসে খিলাফত কমিটি। শেষে জানা গিয়েছে, সমস্যা মিটেছে। কলকাতার রেড রোডেই অনুষ্ঠিত হবে ঈদ-উল-আযহার নামায। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানান কলকাতা খিলাফত কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আহমদ খান।
রবিবার ঈদের জামার ও অন্যান্য জরুরি বিষয় নিয়ে বিশেষ বেঠক বসে খিলাফত কমিটির অফিসে। ৮, জাকারিয়া স্ট্রিটে কলকাতা খিলাফত কমিটির অফিসে বৈঠকে হাজির ছিলেন সংগঠনের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান, সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ, সদস্য মুহাম্মদ খলিল, ইরফান আলী তাজ, ইসহাক মল্লিক, মোমতাজ খান প্রমুখ। পরে তাঁরা সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত কথাও বলেন।
পুবের কলম-এর এক প্রশ্নের জবাবে জাভেদ আহমদ খান বলেন, একটা টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছিল। আমাদের সঙ্গে সেনা কর্মকর্তা ও রাজ্য প্রশাসনের কথা হয়েছে। রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হস্তক্ষেপ করেছেন। সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। রেড রোডেই ঈদ-উল-আযহার জামাত হবে। পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে সাড়ে আটটার সময় এবারও ঈদের নামায হবে বলেই জানান জাভেদ আহমদ খান। শেষমেস ঈদের জামাতের অনুমতি পাওয়ার পর রাজ্য প্রশাসনের প্রধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব¨্যােপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন খিলাফত কমিটির সদস্যরা।
অন্য বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে খিলাফত কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা জানান, জামাতে অংশগ্রহণকারীদের কথা ভেবে বক্তব্য বাংলাতেও করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভালো ক্বারী বা আলেম যিনি দক্ষতা রাখেন তার জন্য ভাবা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন জাভেদ আহমদ খান। মূলত ঈদ-উল-ফিরত বা রোযার পর যে ঈদ হয় সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এবারের ঈদেও তিনি সৌহার্o্য বিনিময় করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, ইসলামি খিলাফত পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা ও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বড় ভূমিকা পালন করে খিলাফত কমিটি। একটা সময় ব্রিটিশ ভারতের বেশকিছু শহরে খিলাফত কমিটি তৈরি হয়। তার মধ্যে কলকাতা অন্যতম। সেইসম খিলাফত কমিটির অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। বর্তমানে কলকাতা খিলাফত কমিটি রেড রোডে দুই ঈদের নামায ও সামাজিক কাজকর্ম করে থাকে। মাওলানা সওকাত আলি, মুহাম্মদ আলি, মহাত্মা গান্ধির মতো প্রথম সারির নেতারা নেতৃত্ব দেন খিলাফত কমিটির।