পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিপদে রয়েছে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য। সাংসদ গণেশ সিং জানতে চেয়েছিলেন, দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি নিয়ম মেনে ওষুধ তৈরি করছে কিনা, না করলে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার যা জানিয়েছেন, তা চোখ কপালে তোলার মত। দেশের মোট ২৭৫ টি কোম্পানির ওষুধ মানসম্পন্ন কিনা, তা পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষার ফল হাতে পাওয়ার পর ২৫০ টি কোম্পানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। কাউকে শো কজ নোটিস দেওয়া হয়েছে, কাউকে বা ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কোন কোন কোম্পানি নিয়ম না মেনে নিম্ন মানের ওষুধ তৈরি করছিল বা অন্যান্যভাবে নিয়ম লঙ্ঘন করছিল, তার জবাব মেলেনি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর উত্তরে।
দেশে মোট ৩ হাজার ওষুধ কোম্পানি রয়েছে আর ১০ হাজার ৫০০ টি ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট। এর মধ্যে ২৭৫ টি সংস্থাকে বেছে নিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন আধিকারিকের মতে, একেবারেই পড়াশোনা করে না, এমন কিছু ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, তাতে ২৫০ জন ফেল করেছে। গোটা ক্লাসের অন্যান্যদের পরীক্ষা নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত। তার অর্থ, দেশের সবকটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার খোঁজ খবর নিলে দেখা যাবে, বিপদে রয়েছে মানুষের স্বাস্থ্য। অনেকে বলছে, খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জানানো উচিৎ যে কোন কোম্পানিগুলির নিম্ন মানের ওষুধ তৈরি করছে। কারণ চিকিৎসকরা এই তথ্য না পেলে বিপদে পড়বেন রোগীরা।
সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যানডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন ও স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলার্স যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এতগুলি সংস্থাকে নোটিস দিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া এই তথ্য নতুন করে দেশে উৎপাদিত ওষুধের গুনমান সম্পর্কে বড় প্রশ্ন তুলে দিল।