সেখ কুতুবউদ্দিন: কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় এলো দু’টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এবং একটি মালয়ান তাপির। আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেনগুপ্ত ‘পুবের কলম’কে জানান, বার্কিং ডিয়ার, পাইথন বা অজগর এবং ওয়াটার মনিটর লিজার্ড উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য পার্ক-কর্তৃপক্ষকে এগুলি দিয়ে দু’টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আনা হয়েছে। তিনি বলেন, বাঘ দু’টির বয়স তিন বছর। আমরা এ দিন একটি মালয়ান তাপির চিড়িয়াখানায় এনেছি।
উল্লেখ্য, এই মালয়ান তাপিরটি উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল গত ২২ ফেব্রুয়ারি। ওই তাপিরের দে’ভালের জন্য জলপাইগুড়িরর চিফ জুডিশিয়াল মেজিট্রেট আলিপুর চিড়িয়াখানায় রাখার কথা বলেছিলেন। কারণ এই চিড়িয়াখানায় তাপিরটি ভালোভাবে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, মালয়ান তাপিরের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্রে আলিপুর চিড়িয়ানায় উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। এই প্রাণীগুলি আনার জন্য অত্যাধুনিকমানের পশু অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে পশুচিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার এবং অ্যানিম্যাল সুপারভাইজারদের উপস্থিতিতে তাঁদের কলকাতায় আনা হয়েছে।
এক্ষেত্রে বনদফতর ও রাজ্যপুলিশের বিশেষ সহায়তার কথাও উল্লে’ করেন আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত। একইসঙ্গে তিনি জানান, চিড়িয়াখানায় দর্শকদের সুবিধার্থে চালু ব্যাটারি চালিত গাড়ি চালু করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে চিড়িয়াখানায় ১০টি ব্যাটারি চালিত গাড়ি চালু করা হয়েছে। সাংসদ মালা রায় অনেক আগেই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে নিজের সাংসদ তহবিল থেকে এই ১০টি ব্যাটারি চালিত গাড়ি উপহার দিয়েছেন। সেই গাড়িগুলিই দর্শকদের জন্য চালু করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষম এবং বয়স্করা বিনামূল্যে এই গাড়িতে পরিষেবা পাবেন।
তবে অন্যান্য দর্শনার্থীদের ক্ষেত্রে এই পরিষেবার জন্য টিকিট কাটতে হবে। সেক্ষেত্রে ঘণ্টায় ১০০ টাকা হারে টিকিট কাটতে হবে। দর্শনার্থীদের জন্য চিড়িয়াখানার মধ্যেই আলাদা কাউন্টার থাকবে। সেই কাউন্টার থেকেই এর জন্য টিকিট কাটতে পারবেন দর্শনার্থীরা। এ ছাড়া চিড়িয়াখানায় একটা গাইডেড ট্যুর পেতে পারেন আগ্রহী দর্শনার্থীরা।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৮৯৫-৯৬ সালে আলিপুর চিড়িয়াখানায় জন্তু আর পাখি দেখার পাশাপাশি বিশেষ এক ধরনের অ্যাডভেঞ্চারের ব্যবস্থা করা হয়। বেলুন রাইড করা যেত সেই সময়। শুধু তাই নয়, উড়ন্ত বেলুন থেকে প্যারাস্যুট নিয়ে লাফ মারারও ব্যবস্থা ছিল তৎকালীন সময়।