০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিউবায় ৩৮১ জনের কারাদণ্ড

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ জুন ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 12

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ গত বছর সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার দায়ে ৩৮১ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে কিউবার আদালত। এর মধ্যে অনেকের ২৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ, শৃঙ্খলাভঙ্গ, হামলা বা ডাকাতির অপরাধের জন্য অন্তত ২৯৭ জনকে কারাদণ্ড দেওয়ার কথা জানায় দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জন কিশোর আছে, যাদের বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছর। গত বছরের মাঝামাঝিতে কমিউনিস্ট-শাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটি হাজার হাজার মানুষের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে ‘স্বাধীনতার’ স্লোগানও দেওয়া হয়েছিল। চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য ও ওষুধের সংকটে কয়েক দশকের মধ্যে সর্ববৃহৎ বিক্ষোভে নেমেছিলেন কিউবার নাগরিকরা। কিউবায় অনুমতি ছাড়া জনসমাগম বেআইনি। এ জন্য এক হাজারের বেশি মানুষ গ্রেফতার হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নাগরিকদের আটক ও তাঁদের মারধর করছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মরিচের গুঁড়া ছিটাতে দেখা যায় পুলিশকে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জন্য আমেরিকাকে দায়ী করেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল। তিনি দাবি করেন, বিক্ষোভকারীরা মূলত ভাড়াটে সেনা। কিউবাকে অস্থিতিশীল করার জন্য তাঁদের রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গত বছরের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জন্য শাস্তি প্রদানের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত মার্চে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে ৬ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আমেরিকা ও ইইউ তখন বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত মানুষজনকে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কিউবায় ৩৮১ জনের কারাদণ্ড

আপডেট : ১৪ জুন ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ গত বছর সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার দায়ে ৩৮১ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে কিউবার আদালত। এর মধ্যে অনেকের ২৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ, শৃঙ্খলাভঙ্গ, হামলা বা ডাকাতির অপরাধের জন্য অন্তত ২৯৭ জনকে কারাদণ্ড দেওয়ার কথা জানায় দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জন কিশোর আছে, যাদের বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছর। গত বছরের মাঝামাঝিতে কমিউনিস্ট-শাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটি হাজার হাজার মানুষের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে ‘স্বাধীনতার’ স্লোগানও দেওয়া হয়েছিল। চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য ও ওষুধের সংকটে কয়েক দশকের মধ্যে সর্ববৃহৎ বিক্ষোভে নেমেছিলেন কিউবার নাগরিকরা। কিউবায় অনুমতি ছাড়া জনসমাগম বেআইনি। এ জন্য এক হাজারের বেশি মানুষ গ্রেফতার হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নাগরিকদের আটক ও তাঁদের মারধর করছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মরিচের গুঁড়া ছিটাতে দেখা যায় পুলিশকে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জন্য আমেরিকাকে দায়ী করেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল। তিনি দাবি করেন, বিক্ষোভকারীরা মূলত ভাড়াটে সেনা। কিউবাকে অস্থিতিশীল করার জন্য তাঁদের রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গত বছরের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জন্য শাস্তি প্রদানের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত মার্চে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে ৬ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আমেরিকা ও ইইউ তখন বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত মানুষজনকে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়।