০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের বিতর্কে যোগীরাজ্য, মুসলিম পরিবারের ৩ জনকে গুলি করে খুন

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৮ জুন ২০২১, সোমবার
  • / 180

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক। ফের খবরের শিরোনামে গাজিয়াবাদ৷ সম্প্রতি লোনির এক মুসলিম বৃদ্ধকে হেনস্থা ও তার দাড়ি কেটে দেওয়ার ভিডিয়ো বিতর্ক ছড়িয়েছিল৷ যোগীরাজ্যে মুসলিমরা যে কতটা অসহায় ও অত্যাচারিত,  তা নিয়ে ফের সমালোচনা শুরু হয়েছিল৷ এরই মাঝে রবিবার রাতে গুলি করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা খুন করল একটি মুসলিম পরিবারের ৩ জনকে৷ পরিবারের আরেক সদস্য গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি৷ কারা খুন করল,  কেনই বা খুন করা হল এই সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্যদের, তা এখনও জানতে পারেনি ইউপি পুলিশ৷ দিল্লি সীমান্তবর্তী গাজিয়াবাদের সেই লোনি এলাকারই এক কাপড় ব্যবসায়ী পরিবারের চার সদস্যকে গুলি করা হয়েছে রবিবার রাতে৷ জেলার শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

আরও পড়ুন: বৌদির মুন্ডু কেটে ধারাল অস্ত্র-সহ হাঁটতে হাঁটতে সোজা থানায় হাজির দেওর!

এ ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে ৭০ বছর বয়সি রইসউদ্দিন, তার ৩০ বছরের ছেলে আজহার ও ২৮ বছর বয়সি ছেলে ইমরানকে গুলি করে হত্যা করে। রইসউদ্দিনের ৬৫ বছর বয়সি স্ত্রী ফাতেমাও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তবে এই ঘটনায় পরিবারের এক গর্ভবতী মহিলা সদস্য রক্ষা পেয়েছেন। ঘটনাটি ঘটার সময় বাড়িতে ৫ জন সদস্য ছিল। তদন্তে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য একটি ফরেনসিক দল এবং কুকুর স্কোয়াডকেও ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ক্রেতার হাতে ‘খুন’ বিক্রেতা! ৫০ টাকার জেরে খুন বলে অভিযোগ

গাজিয়াবাদের এসএসপি অমিত পাঠক বলেছেন, জানতে পেরেছি যে একটি পরিবারের চারজনকে গুলি করা হয়েছে,  যার মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। আহত মহিলার চিকিৎসা চলছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বিহারে খুন পুনের ব্যবসায়ী, সাইবার প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী

আমরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য তিনটি দল গঠন করেছি। এই ঘটনায় কোনও সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ রয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে যোগী আদিত্যনাথের শাসনে উত্তরপ্রদেশের মুসলিমরা যে নিরাপদ নয়, তা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে৷

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের বিতর্কে যোগীরাজ্য, মুসলিম পরিবারের ৩ জনকে গুলি করে খুন

আপডেট : ২৮ জুন ২০২১, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক। ফের খবরের শিরোনামে গাজিয়াবাদ৷ সম্প্রতি লোনির এক মুসলিম বৃদ্ধকে হেনস্থা ও তার দাড়ি কেটে দেওয়ার ভিডিয়ো বিতর্ক ছড়িয়েছিল৷ যোগীরাজ্যে মুসলিমরা যে কতটা অসহায় ও অত্যাচারিত,  তা নিয়ে ফের সমালোচনা শুরু হয়েছিল৷ এরই মাঝে রবিবার রাতে গুলি করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা খুন করল একটি মুসলিম পরিবারের ৩ জনকে৷ পরিবারের আরেক সদস্য গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি৷ কারা খুন করল,  কেনই বা খুন করা হল এই সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্যদের, তা এখনও জানতে পারেনি ইউপি পুলিশ৷ দিল্লি সীমান্তবর্তী গাজিয়াবাদের সেই লোনি এলাকারই এক কাপড় ব্যবসায়ী পরিবারের চার সদস্যকে গুলি করা হয়েছে রবিবার রাতে৷ জেলার শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

আরও পড়ুন: বৌদির মুন্ডু কেটে ধারাল অস্ত্র-সহ হাঁটতে হাঁটতে সোজা থানায় হাজির দেওর!

এ ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে ৭০ বছর বয়সি রইসউদ্দিন, তার ৩০ বছরের ছেলে আজহার ও ২৮ বছর বয়সি ছেলে ইমরানকে গুলি করে হত্যা করে। রইসউদ্দিনের ৬৫ বছর বয়সি স্ত্রী ফাতেমাও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তবে এই ঘটনায় পরিবারের এক গর্ভবতী মহিলা সদস্য রক্ষা পেয়েছেন। ঘটনাটি ঘটার সময় বাড়িতে ৫ জন সদস্য ছিল। তদন্তে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য একটি ফরেনসিক দল এবং কুকুর স্কোয়াডকেও ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ক্রেতার হাতে ‘খুন’ বিক্রেতা! ৫০ টাকার জেরে খুন বলে অভিযোগ

গাজিয়াবাদের এসএসপি অমিত পাঠক বলেছেন, জানতে পেরেছি যে একটি পরিবারের চারজনকে গুলি করা হয়েছে,  যার মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। আহত মহিলার চিকিৎসা চলছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বিহারে খুন পুনের ব্যবসায়ী, সাইবার প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী

আমরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য তিনটি দল গঠন করেছি। এই ঘটনায় কোনও সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ রয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে যোগী আদিত্যনাথের শাসনে উত্তরপ্রদেশের মুসলিমরা যে নিরাপদ নয়, তা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে৷