ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নয়া নির্দেশ

- আপডেট : ৪ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 131
নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকায় পক্ষপাতিত্ব এবং কারসাজির অভিযোগের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার মঙ্গলবার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করার এবং সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন। আধুনিক নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আয়োজিত দুই দিনের সম্মেলনের প্রথম দিনে সকল রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা (ডিইও) এবং নির্বাচনী নিবন্ধন কর্মকর্তাদের (ইআরও) উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
উল্লেখ্য যে, কংগ্রেস ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে নির্বাচনে জয়লাভের বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। কংগ্রেস দাবি করেছে যে, বিজেপি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রথমে ভোটার তালিকা কারচুপি করে এবং তারপর নির্বাচনে জয়লাভ করে।
এদিকে, বিভিন্ন রাজ্যের বিপুল সংখ্যক ভোটারের ভোটার কার্ড নম্বর একই বলে তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করার পর রাজ্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের এক সম্মেলনে এই নির্দেশ দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে ভোট রাজনীতিতে নৈরাজ্য নিয়ে সরব হয়েছেন। একটি তালিকা তুলে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একই এপিক নম্বরে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অন্য রাজ্যেও ভোটার নথিভুক্ত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, গুজরাত, রাজস্থান ও পঞ্জাবে একই এপিক নম্বরে ভোটার রয়েছে। এর পরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের ৩১ মার্চের মধ্যে ইস্যুভিত্তিক কর্ম প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। জ্ঞানেশ কুমার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই প্রথম এ ধরণের সম্মেলন।
নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট (IIIDEM) এ আয়োজিত সম্মেলনে বক্তৃতাকালে, সিইসি জ্ঞানেশ কুমার নির্বাচন কর্মকর্তাদের স্বচ্ছভাবে কাজ করার এবং যথাযথ পরিশ্রমের সঙ্গে ও বিদ্যমান আইনি কাঠামো অনুসারে সমস্ত বিধিবদ্ধ বাধ্যবাধকতা পালনের আহ্বান জানান। তিনি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি সহজলভ্য এবং প্রতিক্রিয়াশীল হওয়ার নির্দেশ দেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইনগত স্তরে নিয়মিতভাবে সর্বদলীয় সভা অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত যাতে সংশ্লিষ্ট উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিদ্যমান আইনগত কাঠামোর মধ্যে যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে পারে।
যদিও ভোটার তালিকায় পক্ষপাতিত্ব এবং কারসাজির বিষয়ে কংগ্রেস বলেছে যে তারা আইনি, রাজনৈতিক এবং অন্যান্য উপায়ে এর সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে। সোমবার কংগ্রেসের একদল সিনিয়র নেতা একই এপিক নম্বর থাকা একাধিক ভোটারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন যে, দলটি এই সমস্যাটিকে অমীমাংসিত থাকতে দেবে না কারণ এটি দেশের নির্বাচনী গণতন্ত্রের জন্য একটি গুরুতর হুমকি।