০৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গলসিতে ১ লক্ষ ১১ হাজার ভ্যাকসিন, প্রতি বুথে বুথে ক্যাম্প

রফিকুল হাসান
  • আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 55

ফাইল চিত্র।

সফিকুল ইসলাম (দুলাল), গলসি: বর্ধমানের গলসি ১ নং ব্লকের প্রতি বুথে বুথে ভ্যাকসিনের  উদ্দ্যোগ নিয়েছে ব্লক প্রশাসন ও পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আর তাদের সেই  কাজে সহযোগিতা করেছেন পুলিশ প্রশাসন। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় সফল ভাবে ওই কাজ চলছে বলে জানা গেছে। গত কয়েক মাস ধরেই সেই কাজ চলছে বলে জানান পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ ফারুক হোসেন। 

প্রতিদিনই স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকার কোনও না কোন বুথে ভ্যাকসিনেশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিন ব্লকের উচ্চগ্রাম, মানকর, লোয়া কৃষ্ণরামপুর, বুদবুদ ও চাকতেঁতুল অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে বুথে বুথে ওই শিবির চলছে। ভোটার লিস্ট ধরে বাড়ি বাড়ি কুপন পৌছে দিচ্ছেন আশা কর্মীরা। সেই কুপন নিয়ে স্থানীয় শিবিরে গিয়ে সহজেই ভ্যাকসিন পাচ্ছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষরা। বাড়ির কাছে ভ্যাকসিন শিবির হাওয়ায় উপকৃত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি, হাসপাতাল ও পুলিশ প্রশাসনের এমন সুষ্ট উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।  

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের পোর্টালে বাংলার কোভিড তথ্য আপলোড নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা! মুখে কুলুপ স্বাস্থ্য ভবন

স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিভা কর্মকার ও লতা হালাদার বলেন, তাদের মথুরা পুর গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে ভ্যাকসিন শিবির করা হচ্ছে। তারা সকলেই কুপন নিয়ে খুব সহজেই ভ্যাকসিন পেয়েছেন। পুরসা হাসপাতাল ও বিডিও -র এমন উদ্দ্যোগ তাদের সুবিধা করে দিয়েছে। উত্তম কুমার পাঁজা নামে এক ব্যক্তি বলেন, বুথে বুথে ভ্যাকসিনের ভাবনায় তাদের মত সাধারন মানুষ উপকৃত হয়েছেন। আগে ভ্যাকসিনের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হত। সেখানে লম্বা লাইনে দিতে হতো। তবে এখন সেই ভ্যাকসিন খুব সহজে ও হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছেন। পুরসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই উদ্দ্যোগে তাদের যাতাযাত খরচ ও হয়রানী বন্ধ হয়েছে। এর ফলে তারা খুবই উপকৃত হচ্ছেন।  

আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে মন্ত্রীদের করতে হবে কোভিড পরীক্ষা!

হাসপাতালের বিএমওএইচ ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম সপ্তাহে বিডিও অফিসে একটি মিটিং এ বুথে বুথে ভ্যাকসিন শিবির করার আলোচনা হয়। সেই মতো বিডিও অফিস থেকে ভোটার লিস্ট অনুযায়ী ভ্যাকসিন করার কথা বলা হয়। তারপর বিডিও অফিসের লিস্ট মোতাবেক বুথে বুথে পৌছে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই কাজে তাদের সাথে পুলিশ প্রসাশনও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, বিষয়টি খুব দক্ষতার সাথে পরিচালনা করছেন বিডিও ম্যাডাম দেবলীনা দাস। এখনও পর্যন্ত গলসি এলাকায় কমবেশি এক লক্ষ এগারো হাজার মানুষকে তারা ভ্যাকসিনেশন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 

আরও পড়ুন: ভারতে ঊর্ধ্বমুখী কোভিড, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেরল এবং গুজরাত

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গলসিতে ১ লক্ষ ১১ হাজার ভ্যাকসিন, প্রতি বুথে বুথে ক্যাম্প

আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

সফিকুল ইসলাম (দুলাল), গলসি: বর্ধমানের গলসি ১ নং ব্লকের প্রতি বুথে বুথে ভ্যাকসিনের  উদ্দ্যোগ নিয়েছে ব্লক প্রশাসন ও পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আর তাদের সেই  কাজে সহযোগিতা করেছেন পুলিশ প্রশাসন। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় সফল ভাবে ওই কাজ চলছে বলে জানা গেছে। গত কয়েক মাস ধরেই সেই কাজ চলছে বলে জানান পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ ফারুক হোসেন। 

প্রতিদিনই স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকার কোনও না কোন বুথে ভ্যাকসিনেশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিন ব্লকের উচ্চগ্রাম, মানকর, লোয়া কৃষ্ণরামপুর, বুদবুদ ও চাকতেঁতুল অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে বুথে বুথে ওই শিবির চলছে। ভোটার লিস্ট ধরে বাড়ি বাড়ি কুপন পৌছে দিচ্ছেন আশা কর্মীরা। সেই কুপন নিয়ে স্থানীয় শিবিরে গিয়ে সহজেই ভ্যাকসিন পাচ্ছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষরা। বাড়ির কাছে ভ্যাকসিন শিবির হাওয়ায় উপকৃত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি, হাসপাতাল ও পুলিশ প্রশাসনের এমন সুষ্ট উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।  

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের পোর্টালে বাংলার কোভিড তথ্য আপলোড নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা! মুখে কুলুপ স্বাস্থ্য ভবন

স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিভা কর্মকার ও লতা হালাদার বলেন, তাদের মথুরা পুর গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে ভ্যাকসিন শিবির করা হচ্ছে। তারা সকলেই কুপন নিয়ে খুব সহজেই ভ্যাকসিন পেয়েছেন। পুরসা হাসপাতাল ও বিডিও -র এমন উদ্দ্যোগ তাদের সুবিধা করে দিয়েছে। উত্তম কুমার পাঁজা নামে এক ব্যক্তি বলেন, বুথে বুথে ভ্যাকসিনের ভাবনায় তাদের মত সাধারন মানুষ উপকৃত হয়েছেন। আগে ভ্যাকসিনের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হত। সেখানে লম্বা লাইনে দিতে হতো। তবে এখন সেই ভ্যাকসিন খুব সহজে ও হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছেন। পুরসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই উদ্দ্যোগে তাদের যাতাযাত খরচ ও হয়রানী বন্ধ হয়েছে। এর ফলে তারা খুবই উপকৃত হচ্ছেন।  

আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে মন্ত্রীদের করতে হবে কোভিড পরীক্ষা!

হাসপাতালের বিএমওএইচ ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম সপ্তাহে বিডিও অফিসে একটি মিটিং এ বুথে বুথে ভ্যাকসিন শিবির করার আলোচনা হয়। সেই মতো বিডিও অফিস থেকে ভোটার লিস্ট অনুযায়ী ভ্যাকসিন করার কথা বলা হয়। তারপর বিডিও অফিসের লিস্ট মোতাবেক বুথে বুথে পৌছে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই কাজে তাদের সাথে পুলিশ প্রসাশনও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, বিষয়টি খুব দক্ষতার সাথে পরিচালনা করছেন বিডিও ম্যাডাম দেবলীনা দাস। এখনও পর্যন্ত গলসি এলাকায় কমবেশি এক লক্ষ এগারো হাজার মানুষকে তারা ভ্যাকসিনেশন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 

আরও পড়ুন: ভারতে ঊর্ধ্বমুখী কোভিড, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেরল এবং গুজরাত