০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা-ইউনিট পুনরায় অ্যাকটিভের পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিকর্তার

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, রবিবার
  • / 162

ভারতে কোভিডে আক্রান্ত ৯৩

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চিন, সিঙ্গাপুর, ভারত-সহ একাধিক দেশের করোনা প্রকোপের ‘বর ছড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ভারতেও ইতিমধ্যে ৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর পক্ষ থেকে বিশ্বজুড়ে কোনও সর্তকতা জারি করা হয়নি। ঠিক এরই মধ্যে নড়েচড়ে বসল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর। শনিবার পুবের কলমকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা স্বপন সোরেন জানান, করোনার প্রকোপ পুনরায় দেখা দিচ্ছে। তবে এ রাজ্যে আক্রান্তের কোনও খবর নেই। আগে থেকেই রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে করোনা মোকাবিলার পরিকাঠামো রয়েছে। সেগুলিকে পুনরায় ‘অ্যাকটিভ’ করে তোলা হবে। কাল, সোমবার স্বাস্থ্য দফতরে করোনা মোকাবিলায় বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে প্রস্তুতির সবরকম বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, বাইরের দেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ দেশে যত সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের দিকে নজর রয়েছে সরকারের। ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ এবং বুস্টারের ফলে ভারতে আপাতত কোভিড মহামারির আশঙ্কা নেই। তবে ইমিউনিটি বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়ার কথা বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: বন্ধ করে দেওয়া হল NRS-এর করোনা ইউনিট

ইতিমধ্যেই ভাইরাসের পুনরাগমন হয়েছে হংকং ও সিঙ্গাপুরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট নয় বরং মানুষের ইমিউনিটি কমে যাওয়াতেই ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে কোভিড। হংকংয়ের সেন্টার ফর হেলথ প্রোটেকশনের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যালবর্ট জানিয়েছেন, বিগত কয়েক দিনে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত সংক্রামিতের সংখ্যা ১৪ হাজার ২০০। তালিকায় তাইওয়ান-হংকংয়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইসন চেনও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। সিঙ্গাপুরে বাড়ছে সংক্রমণের হার। আক্রান্তের সংখ্যা গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও পড়ুন: কোভিডে ২ মিলিয়ন অতিরিক্ত মৃত্যু হয়েছে ভারতে, দাবি রিপোর্টে

প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ মে পর্যন্ত বিদেশের একাধিক দেশে সপ্তাহে মারাত্মক হারে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। ভাইরাসের হানা থেকে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছেছে। কোভিডের বিভিন্ন প্রজাতিতে গত দুই বছরেও বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তাতে অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি চিকিৎসকরা। তবে এবারের ছবিটা একদম আলাদা, বেশ চিন্তারই।

‘সায়েন্স অ্যাডভান্স’ জার্নালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নিউ ইয়র্কের দ্য সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দলের দাবি, ২০২০ সালে ভারতে করোনায় নথিভুক্ত মৃত্যু পরিসংখ্যানের চেয়ে ১১.৯ লক্ষ বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন আগে। এই কাজে ভারত সরকারের জাতীয় পরিবার সমীক্ষা-৫ (২০১৯-২১) সালের তথ্য ব্যবহার করেছেন তাঁরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনার প্রথম বছরে সব থেকে বেশি মৃত্যু হয় ভারতে। তবে সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২০-তে দেশে ১.৪৮ লক্ষ মানুষ করোনায় মারা যায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

করোনা-ইউনিট পুনরায় অ্যাকটিভের পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিকর্তার

আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, রবিবার

ভারতে কোভিডে আক্রান্ত ৯৩

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চিন, সিঙ্গাপুর, ভারত-সহ একাধিক দেশের করোনা প্রকোপের ‘বর ছড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ভারতেও ইতিমধ্যে ৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর পক্ষ থেকে বিশ্বজুড়ে কোনও সর্তকতা জারি করা হয়নি। ঠিক এরই মধ্যে নড়েচড়ে বসল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর। শনিবার পুবের কলমকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা স্বপন সোরেন জানান, করোনার প্রকোপ পুনরায় দেখা দিচ্ছে। তবে এ রাজ্যে আক্রান্তের কোনও খবর নেই। আগে থেকেই রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে করোনা মোকাবিলার পরিকাঠামো রয়েছে। সেগুলিকে পুনরায় ‘অ্যাকটিভ’ করে তোলা হবে। কাল, সোমবার স্বাস্থ্য দফতরে করোনা মোকাবিলায় বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে প্রস্তুতির সবরকম বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, বাইরের দেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ দেশে যত সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের দিকে নজর রয়েছে সরকারের। ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ এবং বুস্টারের ফলে ভারতে আপাতত কোভিড মহামারির আশঙ্কা নেই। তবে ইমিউনিটি বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়ার কথা বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: বন্ধ করে দেওয়া হল NRS-এর করোনা ইউনিট

ইতিমধ্যেই ভাইরাসের পুনরাগমন হয়েছে হংকং ও সিঙ্গাপুরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট নয় বরং মানুষের ইমিউনিটি কমে যাওয়াতেই ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে কোভিড। হংকংয়ের সেন্টার ফর হেলথ প্রোটেকশনের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যালবর্ট জানিয়েছেন, বিগত কয়েক দিনে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত সংক্রামিতের সংখ্যা ১৪ হাজার ২০০। তালিকায় তাইওয়ান-হংকংয়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইসন চেনও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। সিঙ্গাপুরে বাড়ছে সংক্রমণের হার। আক্রান্তের সংখ্যা গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও পড়ুন: কোভিডে ২ মিলিয়ন অতিরিক্ত মৃত্যু হয়েছে ভারতে, দাবি রিপোর্টে

প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ মে পর্যন্ত বিদেশের একাধিক দেশে সপ্তাহে মারাত্মক হারে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। ভাইরাসের হানা থেকে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছেছে। কোভিডের বিভিন্ন প্রজাতিতে গত দুই বছরেও বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তাতে অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি চিকিৎসকরা। তবে এবারের ছবিটা একদম আলাদা, বেশ চিন্তারই।

‘সায়েন্স অ্যাডভান্স’ জার্নালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নিউ ইয়র্কের দ্য সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দলের দাবি, ২০২০ সালে ভারতে করোনায় নথিভুক্ত মৃত্যু পরিসংখ্যানের চেয়ে ১১.৯ লক্ষ বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন আগে। এই কাজে ভারত সরকারের জাতীয় পরিবার সমীক্ষা-৫ (২০১৯-২১) সালের তথ্য ব্যবহার করেছেন তাঁরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনার প্রথম বছরে সব থেকে বেশি মৃত্যু হয় ভারতে। তবে সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২০-তে দেশে ১.৪৮ লক্ষ মানুষ করোনায় মারা যায়।