০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওড়িশার কোরাপুটে ভুল ইঞ্জেকশনে পাঁচ রোগীর মৃত্যু, হাসপাতাল চত্বরে তীব্র বিক্ষোভ

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ৪ জুন ২০২৫, বুধবার
  • / 64

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ওড়িশার কোরাপুটে শহীদ লক্ষ্মণ নায়েক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার কারণে চিকিৎসাধীন পাঁচজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবার এই অভিযোগ করেছে।

জানা গেছে, মৃতদের বেশিরভাগই দক্ষিণ ওড়িশার কোরাপুট, সেমিলীগুড়া, মালকানগিরি ও কালাপানি এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাত প্রায় ১১টা নাগাদ তাঁদের মধ্যে তিনজন আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন এবং বাকি দু’জন ছিলেন জেনারেল সার্জারি বিভাগে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই পাঁচজনকেই দু’দফায় ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয়বার ইনজেকশন দেওয়ার পরই তাঁদের মৃত্যু ঘটে। বুধবার সকালে মৃতদের পরিবার ও স্বজনেরা হাসপাতালে তীব্র বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডঃ সুশান্ত কুমার সাহা জানান, “জরুরি অবস্থায় আমরা কিছু নির্দিষ্ট ইনজেকশন দিয়ে থাকি। হয়তো এই ক্ষেত্রে সেগুলোর কার্যকারিতা ছিল না। যখন রোগীর রক্তচাপ হঠাৎ কমে যায়, তখন সেটা স্বাভাবিক করতে ইনজেকশন দেওয়া হয়। তবে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানেরা রয়েছেন। তাঁর আশ্বাস, “যদি কারও গাফিলতির প্রমাণ মেলে বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রবল ক্ষোভ।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওড়িশার কোরাপুটে ভুল ইঞ্জেকশনে পাঁচ রোগীর মৃত্যু, হাসপাতাল চত্বরে তীব্র বিক্ষোভ

আপডেট : ৪ জুন ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ওড়িশার কোরাপুটে শহীদ লক্ষ্মণ নায়েক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার কারণে চিকিৎসাধীন পাঁচজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবার এই অভিযোগ করেছে।

জানা গেছে, মৃতদের বেশিরভাগই দক্ষিণ ওড়িশার কোরাপুট, সেমিলীগুড়া, মালকানগিরি ও কালাপানি এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাত প্রায় ১১টা নাগাদ তাঁদের মধ্যে তিনজন আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন এবং বাকি দু’জন ছিলেন জেনারেল সার্জারি বিভাগে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই পাঁচজনকেই দু’দফায় ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয়বার ইনজেকশন দেওয়ার পরই তাঁদের মৃত্যু ঘটে। বুধবার সকালে মৃতদের পরিবার ও স্বজনেরা হাসপাতালে তীব্র বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডঃ সুশান্ত কুমার সাহা জানান, “জরুরি অবস্থায় আমরা কিছু নির্দিষ্ট ইনজেকশন দিয়ে থাকি। হয়তো এই ক্ষেত্রে সেগুলোর কার্যকারিতা ছিল না। যখন রোগীর রক্তচাপ হঠাৎ কমে যায়, তখন সেটা স্বাভাবিক করতে ইনজেকশন দেওয়া হয়। তবে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানেরা রয়েছেন। তাঁর আশ্বাস, “যদি কারও গাফিলতির প্রমাণ মেলে বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রবল ক্ষোভ।