ইরানে আটকে বাঙালি পিএইচডি পড়ুয়া, দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে রিজভি পরিবারের

- আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার
- / 28
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইসরাইল-ইরানের মধ্যে শুরু হয়েছে যুদ্ধ। ইরানে পিএইচডি পড়তে গিয়ে আটকে পড়েছে বসিরহাটের ছেলে। দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে বসিরহাটের সাঁকচূড়ার রিজভির পরিবারের। ২০১৮ সালে ইরানের কোম শহরে পার্সিয়ান ভাষায় পিএইচডি করতে যান সৈয়দ বাকির মাজলেসি রিজভি। মাঝে সাঝে বাড়ি আসতেন। শেষবার বাড়ি এসেছিলেন ৮ মাস আগে। এর মাধেই ইরানে বেজে গেছে যুদ্ধের দামামা। যুদ্ধের কারণে বিপাকে পড়েছেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে এখন এক প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ইন্টারনেট থাকলে কখনও কথা হচ্ছে, আবার কখনও হচ্ছে না। ঠিকমতো যোগাযোগ রাখতে পারছেন না পরিবারের সঙ্গে। রীতিমতো উদ্বিগ্ন পরিবারের সকলে। উদ্বিগ্ন সৈয়দ বাকির নিজেও। এমনটাই জানিয়েছেন দাদা গোলাম আসকারি। সামাজিক মাধ্যমে বসিরহাটের বিধায়ক মারফত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আর্জি জানিয়েছেন তিনি। পড়াশোনায় ছোট থেকেই মেধাবী সৈয়দ বাকির পার্সিয়ান ভাষায় ডক্টরেট করতে যান ইরানের আল-মোস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। যেটি ইরানের কোম শহরে অবস্থিত। এই মুহূর্তে ইরান এবং ইজরায়েলের যুদ্ধে ভয়াবহ পরিস্থিতি। ইরানে মোবাইলের নেটওয়ার্কের সমস্যা হওয়ায় বাড়ির সঙ্গে ঠিকমতন যোগাযোগ করতে পারছেন না তিনি। বাড়ির থেকে ফোন করেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সৈয়দের দাদা গোলাম আসকারী বলেন, “ওর টিকিট কাটা ছিল। ২০ জুন বাড়ি আসার কথা।
কিন্তু বিমান পরিষেবা বন্ধ। দূতাবাসের লোকজন ওদের সঙ্গে যোগাযোগও করছে, আমার সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে। ভাইয়ের সঙ্গে দু’দিন আগে কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুক, দাবি পরিবারের। আমরা টেলিভিশনে যেটা দেখছি, তাই একটা ভয় কাজ করছে মনে। যতক্ষণ না সে বাড়ি ফিরছে, একটা আতঙ্কের মধ্যে আমরা রয়েছি। সৈয়দ বাকিরের মা বললেন ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। আমার ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেখে বিধায়ক ডা. সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি বিষয়টা জানা মাত্রই মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনেছি। ওখান থেকে একজন সাংসদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আমরা ডিটেইলস পাঠিয়ে দিচ্ছি। স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে কথা বলে সাহায্য করার চেষ্টা করব। বসিরহাটের ঘটনা শুনে অল ইন্ডিয়া উর্দু কো অর্ডিনশন কমিটির চেয়ারম্যান ও পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিয়া ধর্মীয় নেতা অধ্যাপক সৈয়দ হায়দার হাসান কাজিমি জানান, এদেশ থেকে দেড় হাজারেরও বেশি ডাক্তারির ছাত্র রয়েছে ইরানে। এছাড়া শিয়া সম্প্রদায়ের বহু আলেম ওলামা পড়াশোনা করতে যান সে দেশে। আমরা তাদের সকলের জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।