৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজ্যে জারি অরেঞ্জ অ্যালার্ট, ভাসবে একের পর এক এলাকা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, শনিবার
  • / 136

পুবের কলম ওয়েব: পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই বড় আকার ধারণ করছে। চন্দ্রকোনার পর ডুবতে শুরু করেছে ঘাটালের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ডুবে গিয়েছে রাজ্য সড়কও। এরই মধ্যে আরও আশঙ্কার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে। জারি হল অরেঞ্জ অ্যালার্ট। শুক্রবার রাত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়িয়েছে ডিভিসি।

শুক্রবার রাত থেকেই ৭০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু করেছিল ডিভিসি। শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৭০,৪৭৫ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে। তাই বন্যার কমলা সতর্কতা জারি করেছে ডিভিসি। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বিহারের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে নিম্নচাপ। তার ফলে ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে ডিভিসি বেশি জল ছাড়তে শুরু করেছে।

ঝাড়খণ্ডে প্রবল বর্ষণের জেরে জল বাড়ছে দামোদর-বরাকরে, বৃষ্টির জেরে মাইথন-পাঞ্চেত থেকে আরও বেশি জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে নিম্ন দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরীতে জলস্তর আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর সেটা হলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের একাধিক জায়গায়। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে প্রশাসনিক কর্তাদের ফোনেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা, জলমগ্ন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

শুক্রবার নবান্ন বৈঠক চলাকালীন তিনি মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের ফোন থেকে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন করেন। হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুর মন্ত্রী পুলক রায়, পশ্চিম মেদিনীপুরে মানস ভুঁইয়া, হুগলির আরামবাগ, গোঘাটে ফিরহাদ হাকিম ও বাকুড়া-পুরুলিয়ার পরিস্থিতির উপরে নজরদারির জন্যে মলয় ঘটককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে রাস্তায় বৃষ্টির জমা জলে ধান চারা রোপণ

আরও পড়ুন: গোঘাটের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত, বন্যার আশঙ্কা খানাকুলেও

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজ্যে জারি অরেঞ্জ অ্যালার্ট, ভাসবে একের পর এক এলাকা

আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব: পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই বড় আকার ধারণ করছে। চন্দ্রকোনার পর ডুবতে শুরু করেছে ঘাটালের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ডুবে গিয়েছে রাজ্য সড়কও। এরই মধ্যে আরও আশঙ্কার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে। জারি হল অরেঞ্জ অ্যালার্ট। শুক্রবার রাত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়িয়েছে ডিভিসি।

শুক্রবার রাত থেকেই ৭০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু করেছিল ডিভিসি। শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৭০,৪৭৫ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে। তাই বন্যার কমলা সতর্কতা জারি করেছে ডিভিসি। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বিহারের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে নিম্নচাপ। তার ফলে ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে ডিভিসি বেশি জল ছাড়তে শুরু করেছে।

ঝাড়খণ্ডে প্রবল বর্ষণের জেরে জল বাড়ছে দামোদর-বরাকরে, বৃষ্টির জেরে মাইথন-পাঞ্চেত থেকে আরও বেশি জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে নিম্ন দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরীতে জলস্তর আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর সেটা হলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের একাধিক জায়গায়। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে প্রশাসনিক কর্তাদের ফোনেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা, জলমগ্ন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

শুক্রবার নবান্ন বৈঠক চলাকালীন তিনি মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের ফোন থেকে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন করেন। হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুর মন্ত্রী পুলক রায়, পশ্চিম মেদিনীপুরে মানস ভুঁইয়া, হুগলির আরামবাগ, গোঘাটে ফিরহাদ হাকিম ও বাকুড়া-পুরুলিয়ার পরিস্থিতির উপরে নজরদারির জন্যে মলয় ঘটককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে রাস্তায় বৃষ্টির জমা জলে ধান চারা রোপণ

আরও পড়ুন: গোঘাটের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত, বন্যার আশঙ্কা খানাকুলেও