২২ জুন ২০২৫, রবিবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফোরডো পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার আগেই বিপজ্জনক পদার্থ সরানো হয়েছিল: ইরানি সাংসদ

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, রবিবার
  • / 28

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফোরডো পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার আগেই বিপজ্জনক পদার্থ সরানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ইরানের সাংসদ

মুহাম্মদ মানান রাইসি। তিনি জানিয়েছেন, ফোরডো পারমাণবিক কেন্দ্রে রবিবার রাতে আমেরিকা হামলা করার আগেই ওই কেন্দ্রটি খালি করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে পরমাণু কেন্দ্রে কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঘটনা ঘটেনি। মেহের সংবাদ সংস্থার খবর, এলাকার আশপাশের জনগণও নিরাপদে রয়েছে।

আরও পড়ুন: তেজস্ক্রিয় বিকিরণের কোনও প্রমাণ নেই, জনগণ নিরাপদ, তিন পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলার পর জানাল ইরান

 

আরও পড়ুন: ইরানের হামলার ভয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরাচ্ছে আমেরিকা

মুহাম্মদ মানান রাইসি বলেন, “ফোরডো পারমাণবিক কেন্দ্রে বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দাবি করেছেন তা সত্য নয়।” তিনি জানান, শুধুমাত্র কেন্দ্রের উপরের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেটি সহজেই তৈরি করা যাবে।

আরও পড়ুন: ইসরাইলি যুদ্ধবিমান চালকদের ছবি ‘শীঘ্রই’ প্রকাশ করবে ইরান

 

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘ বিজয় উল্লাস ‘ চলাকালীন এমন মন্তব্য করেন ইরানি সাংসদ। শুধু তাই নয়, নিজেকে ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি ইসরাইল ও মার্কিন সেনার ভুয়সী প্রসংশা করেন ট্রাম্প। তবে ইরানি সাংসদের মন্তব্য ঘিরে উঠছে নানান প্রশ্ন। ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে। এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামায় মদত দেবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

 

তবে ফোরডো, নাতানজ ও ইসফাহান—তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে আমেরিকার হামলার পর। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে আক্রমণ চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইন ও এনপিটির আইন লঙ্ঘন করেছে।’

 

এক সংবাদ সংস্থা প্রকাশ, ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই প্রণালী বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল পরিবহনের প্রধান রুটগুলোর মধ্যে অন্যতম।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফোরডো পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার আগেই বিপজ্জনক পদার্থ সরানো হয়েছিল: ইরানি সাংসদ

আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফোরডো পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার আগেই বিপজ্জনক পদার্থ সরানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ইরানের সাংসদ

মুহাম্মদ মানান রাইসি। তিনি জানিয়েছেন, ফোরডো পারমাণবিক কেন্দ্রে রবিবার রাতে আমেরিকা হামলা করার আগেই ওই কেন্দ্রটি খালি করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে পরমাণু কেন্দ্রে কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঘটনা ঘটেনি। মেহের সংবাদ সংস্থার খবর, এলাকার আশপাশের জনগণও নিরাপদে রয়েছে।

আরও পড়ুন: তেজস্ক্রিয় বিকিরণের কোনও প্রমাণ নেই, জনগণ নিরাপদ, তিন পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলার পর জানাল ইরান

 

আরও পড়ুন: ইরানের হামলার ভয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরাচ্ছে আমেরিকা

মুহাম্মদ মানান রাইসি বলেন, “ফোরডো পারমাণবিক কেন্দ্রে বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দাবি করেছেন তা সত্য নয়।” তিনি জানান, শুধুমাত্র কেন্দ্রের উপরের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেটি সহজেই তৈরি করা যাবে।

আরও পড়ুন: ইসরাইলি যুদ্ধবিমান চালকদের ছবি ‘শীঘ্রই’ প্রকাশ করবে ইরান

 

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘ বিজয় উল্লাস ‘ চলাকালীন এমন মন্তব্য করেন ইরানি সাংসদ। শুধু তাই নয়, নিজেকে ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি ইসরাইল ও মার্কিন সেনার ভুয়সী প্রসংশা করেন ট্রাম্প। তবে ইরানি সাংসদের মন্তব্য ঘিরে উঠছে নানান প্রশ্ন। ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে। এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামায় মদত দেবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

 

তবে ফোরডো, নাতানজ ও ইসফাহান—তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে আমেরিকার হামলার পর। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে আক্রমণ চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইন ও এনপিটির আইন লঙ্ঘন করেছে।’

 

এক সংবাদ সংস্থা প্রকাশ, ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই প্রণালী বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল পরিবহনের প্রধান রুটগুলোর মধ্যে অন্যতম।