২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ ঘিরে রাজনৈতিক জলঘোলা, সন্দেহে বিরোধীরা

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 56

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে হঠাৎই ইস্তফা দিলেন জগদীপ ধনখড়। সোমবার দিনভর কর্মব্যস্ততা শেষে সন্ধ্যায় কোনও পূর্ব ঘোষণা বা অনুমতি ছাড়াই রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির হন তিনি। সেখানেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে নিজের পদত্যাগপত্র তুলে দেন। রাষ্ট্রপতি ইতিমধ্যেই সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

 

ধনখড়ের এই আচমকা সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিরোধী শিবির ইতিমধ্যেই এই ইস্তফাকে সন্দেহের চোখে দেখছে। শরীর খারাপের যুক্তি মানতে নারাজ তাঁরা। অনেকের মতে, এই পদত্যাগের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক কৌশল বা অভ্যন্তরীণ চাপ। প্রশ্ন উঠেছে—শুধু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেই কি এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়া যায়?

আরও পড়ুন: আচমকা উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ জগদীপ ধনখড়ের, রাজনৈতিক গুঞ্জন শুরু

 

আরও পড়ুন: হাসিনার মতো আম-কূটনীতি ইউনূসেরও, মোদিকে পাঠাচ্ছেন হাজার কেজি আম

তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কোনও নেতিবাচক বার্তা দেননি। মঙ্গলবার সকালে তিনি নিজের এক্স (X)-এ লেখেন:

আরও পড়ুন: ১৮ জুলাই ফের বাংলায় আসছেন নরেন্দ্র মোদী, শহিদ দিবসের আগে দমদম ও দুর্গাপুরে হতে পারে জোড়া জনসভা

“জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দেশ সেবার সুযোগ পেয়েছেন। আমি তাঁর ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই। আশা করি, তাঁর স্বাস্থ্য আগামী দিনে ভাল থাকবে।”

 

ধনখড়ের ইস্তফার ঠিক আগেই সোমবার সংসদের ব্যবসায়িক উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে একাধিক নাটকীয় মুহূর্ত ঘটে। দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সভাপতি জে.পি. নড্ডা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। অধিবেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা চলছিল।

কিন্তু হঠাৎ করেই বৈঠক স্থগিত হয়। পরে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ফের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফার বৈঠকে ধনখড় নিজে উপস্থিত থাকলেও নড্ডা বা রিজিজু কেউই আসেননি। সেই কারণে পুরো বৈঠক বাতিল হয়ে যায়। এবং এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আসে উপরাষ্ট্রপতির পদত্যাগের খবর।

 

এই আকস্মিক পরিস্থিতিকে ঘিরে বিরোধীরা দাবি করছে, ধনখড়কে হয়তো চাপের মুখে ইস্তফা দিতে হয়েছে। বিজেপি শিবিরের অভ্যন্তরে মতবিরোধ বা কোনো গোপন কৌশল এই সিদ্ধান্তের পিছনে থাকতে পারে বলেও মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ ঘিরে রাজনৈতিক জলঘোলা, সন্দেহে বিরোধীরা

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে হঠাৎই ইস্তফা দিলেন জগদীপ ধনখড়। সোমবার দিনভর কর্মব্যস্ততা শেষে সন্ধ্যায় কোনও পূর্ব ঘোষণা বা অনুমতি ছাড়াই রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির হন তিনি। সেখানেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে নিজের পদত্যাগপত্র তুলে দেন। রাষ্ট্রপতি ইতিমধ্যেই সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

 

ধনখড়ের এই আচমকা সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিরোধী শিবির ইতিমধ্যেই এই ইস্তফাকে সন্দেহের চোখে দেখছে। শরীর খারাপের যুক্তি মানতে নারাজ তাঁরা। অনেকের মতে, এই পদত্যাগের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক কৌশল বা অভ্যন্তরীণ চাপ। প্রশ্ন উঠেছে—শুধু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেই কি এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়া যায়?

আরও পড়ুন: আচমকা উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ জগদীপ ধনখড়ের, রাজনৈতিক গুঞ্জন শুরু

 

আরও পড়ুন: হাসিনার মতো আম-কূটনীতি ইউনূসেরও, মোদিকে পাঠাচ্ছেন হাজার কেজি আম

তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কোনও নেতিবাচক বার্তা দেননি। মঙ্গলবার সকালে তিনি নিজের এক্স (X)-এ লেখেন:

আরও পড়ুন: ১৮ জুলাই ফের বাংলায় আসছেন নরেন্দ্র মোদী, শহিদ দিবসের আগে দমদম ও দুর্গাপুরে হতে পারে জোড়া জনসভা

“জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দেশ সেবার সুযোগ পেয়েছেন। আমি তাঁর ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই। আশা করি, তাঁর স্বাস্থ্য আগামী দিনে ভাল থাকবে।”

 

ধনখড়ের ইস্তফার ঠিক আগেই সোমবার সংসদের ব্যবসায়িক উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে একাধিক নাটকীয় মুহূর্ত ঘটে। দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সভাপতি জে.পি. নড্ডা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। অধিবেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা চলছিল।

কিন্তু হঠাৎ করেই বৈঠক স্থগিত হয়। পরে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ফের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফার বৈঠকে ধনখড় নিজে উপস্থিত থাকলেও নড্ডা বা রিজিজু কেউই আসেননি। সেই কারণে পুরো বৈঠক বাতিল হয়ে যায়। এবং এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আসে উপরাষ্ট্রপতির পদত্যাগের খবর।

 

এই আকস্মিক পরিস্থিতিকে ঘিরে বিরোধীরা দাবি করছে, ধনখড়কে হয়তো চাপের মুখে ইস্তফা দিতে হয়েছে। বিজেপি শিবিরের অভ্যন্তরে মতবিরোধ বা কোনো গোপন কৌশল এই সিদ্ধান্তের পিছনে থাকতে পারে বলেও মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।