বাঙালি নিগ্রহে মমতার পাশে দাঁড়ালেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার

- আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার
- / 34
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর প্রায়শই নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাজের সন্ধানে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের সাথে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে চলা এই জাতিগত নিপীড়ন ও বর্ণমৈষম্যমূলক আচরণের বিরূদ্ধে তীব্র সরব হয়েছেন আমাদের বাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার ওনাকে সমর্থন করে প্রতিবাদ জানালেন ও পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন, সিপিএম পলিটব্যুরোর প্রাক্তন সদস্য তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বাংলাভাষীদের ওপর নির্যাতন, বিদ্বেষমূলক আচরণ খুবই দুঃখজনক। মানিক সরকার বলেছেন এইসবকিছু বিজেপি ও আরএসএস এর চক্রান্ত। ওরা মুসলিম বিরোধী, তাই মুসলিমদেরকে ইচ্ছে করে টার্গেট করছে।
বাংলায় যারা কথা বলে তারা সবাই বাঙালি। কিন্তু বিজেপিরা এটাকেও রাজনীতি বানিয়ে দিচ্ছে। বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশী তকমা দিচ্ছে। সম্প্রতি বিধানসভা থেকে শুরু জাতীয় স্তর পর্যন্ত এই ইস্যুতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ভিনরাজ্যে বাঙালিদের প্রতি দুর্ব্যবহার ও বাংলা ভাষাকে অসম্মান করা নিয়ে কেন্দ্রকে তিনি হুশিয়ারি জানিয়েছেন।
এমনকি তিনি বিজেপির করা বাংলা বিরোধী যে সার্কুলার সেটিও তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেন বিজেপিরা ছলে বলে কৌশলে এনআরসি করার চেষ্টা করছে। বাঙালিদের ধরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির করা সার্কুলারে বলা হয়েছে স্রেফ সন্দেহের বশে মানুষকে ১ মাসের জন্য আটকে রাখা যাবে। বামপন্থী নেতা হওয়া সত্ত্বেও মানিক সরকার, রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে যেভাবে বাংলা ভাষা ও বাঙালির স্বার্থে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।