‘ড. এপিজে আবদুল কালাম স্টাডি সেন্টার’-এর অনুষ্ঠানে বললেন ইমরান-রফিকুল
কেরল-বাংলার ধর্মীয় সহাবস্থান ও সাংস্কৃতিক চেতনা সবার জন্য অনুকরণীয়

- আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার
- / 19
‘ড. এপিজে আবদুল কালাম স্টাডি সেন্টার’-এর অনুষ্ঠানে বললেন ইমরান-রফিকুল
আসিফ রেজা আনসারী: ভারতীয় সমাজে প্রয়াত শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম-এর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর মহান আদর্শকে পাথেয় করে সমাজসেবা, স্কলারশিপ প্রদান, সিভিল সার্ভিস-এর জন্য কোচিং-সহ নানা কাজ করেছে কেরলের সংস্থা ‘ড. এপিজে আবদুল কালাম স্টাডি সেন্টার’। পাশাপাশি সমাজের উন্নতি ও বিকাশে যাদের অবদান তাঁদের সম্মালনা প্রদানও করে। রবিবার বিকালে এমনই একটি অনুষ্ঠান হয় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে।
সংস্থার উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান পিএম হুসেইন জিফরি স্বাগত ভাষণে তাঁদের কাজকর্ম সম্পর্কে তুলে ধরেন। সভাপতির ভাষণে সংস্থার ডিরেক্টর পোভাচল সুধীর অতিথিদের স্বাগত জানান এবং আগামীদিনেও শিক্ষা বিস্তার ও সমাজের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে বহু বিশিষ্ট মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সবাই নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসাবে ছিলেন রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান ও পুবের কলম-এর সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান। তিনি এপিজে আবদুল কালামের অবদান স্মরণ করেন। মিসাইল তৈরি, ভারতকে পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত করা ইত্যাদি তুলে ধরেন।
বলেন, ড. কালামের জন্ম তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে হলেও দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতো কেরলের মানুষ অনেক প্রভাবিত। ড. কালামের উত্তরাধিকার বহন করার জন্য আয়োজন সংস্থার প্রশংসা করেন ইমরান। অন্য প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, কেরলে আমি অনেকবার গিয়েছি। দেখেছি কেরল অর্থনীতি, নারী ক্ষমতায়ন ও পরিকাঠামো বিনির্মাণে অনেক উন্নতি করেছে। সেখানে তিনটি বড় সম্প্রদায়, হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিস্টানের মধ্যে সহাবস্থান, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা অবশ্যই একটি উদাহরণ। তাদের সাংস্কৃতিক চেতনার কথাও বলেন ইমরান। শুধু মাছে ভাতে বাঙালি নয়, খাদ্যাভাসে কেরল ও বাংলার সাদৃশ্যও তুলে ধরেন তিনি। বহু বাঙালি সেখানে কাজে যান। সিনেমা হলে রাতের দিকে বাংলা সিনেমা চলে, এইসব নানান বিষয় তুলে ধরেন আহমদ হাসান ইমরান।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম কেরলের মানুষের মেধা ও পরিশ্রমের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি ড. এপিজে আবদুল কালামের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কেরলের পড়ুয়াদের মধ্যে মেধা আছে, তাদের সংস্কৃতি চর্চাও খুুব নজরে পড়ে। সাংস্কৃতিভাবে কেরলের মানুষ সমৃদ্ধ। ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ আশরাফ সমাজের জন্য কাজ করার প্রতি সবার কাছে আহ্বান জানান। অন্যদিকে রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্য ও সমাজকর্মী ‘ড. এপিজে আবদুল কালাম স্টাডি সেন্টার’-এর পাশে থাকার আশ্বাস দেন। একইভাবে সবার মিলিত উদ্যোগে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন বৌদ্ধ ধর্মগুরু ড. অরুণজ্যোতি ভিক্ষু, স্বামী দেবব্রত নন্দ, আশরাফ থাঙ্গেল, সংস্থার পিআরও মিস অনুজ এস.।
সমাজে বিশেষ অবদানের জন্য ‘ড. এপিজে আবদুল কালাম ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’-এ সম্মানিত হন কর্ণাটক রাজ্য হজ কমিটির সদস্য ও মজলিস গ্রুপ অফ ইন্সটিটিউশনের চেয়ারম্যান ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ আশরাফ, উদ্যোগপতি ইবরাহিম কুট্টি কেকে, কবি ও মোটিভেশনাল স্পিকার জনসন সামুয়েল, শিশু কবি ও তিনভাষায় বই প্রকাশের জন্য গ্রিন-বুল রেকর্ডজয়ী গ্রান্ডমাস্টার তীর্থা বিবেক, দারুল হুদা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেঙ্গল ক্যাম্পাস, ক্যানিংয়ের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম। তীর্থা বিবেক-এর স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি সবাইকে মুগ্ধ করে।