পায়রাদের খাওয়ানো বন্ধ, নির্দেশ জারি বম্বে হাইকোর্টের
- আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 400
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : জীবজন্তুর প্রতি ভালোবাসা কমবেশি সকলের আছে। তবে এই ভালোবাসায় কাল হয়ে দাঁড়াল বোম্বাই বাসীর জন্য। এবার রাস্তায় পায়রাদের খাওয়ানোর জন্য বোম্বে হাইকোর্টের রোষের মুখে পড়ল সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, যারা রাস্তাঘাটে বিচার-বিবেচনা না করেই পায়রাদের খাওয়ান এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট ৷
সম্প্রতি Indian Journal of Allergy, Asthma and Immunology-তে পায়রা ও তাদের দ্বারা সংক্রমিত রোগ নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। যাতে বলা হয়েছে পায়রাদের দেহরস, পালক ও তাদের গায়ে থাকা নানারকম পোকামাকড় মানুষকে অসুস্থ করে দিচ্ছে। ফুসফুসের রোগ হচ্ছে। পায়রার সংস্পর্শে এসে মানুষ অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হচ্ছেন। পায়রার বিষ্ঠা খাবারে মিশে গিয়ে পেটের রোগ হচ্ছে। এমনকি পায়রার মলের অ্যাসিডিক কনন্টেন্ট বড় বড় বাড়ির লোহার কাঠামোকেও দুর্বল করে দিচ্ছে। ফলে, মুম্বইয়ে পায়রাদের খাওয়ানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পাখিদের খাওয়ানো বন্ধ করার স্পষ্ট নির্দেশ লঙ্ঘন করায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল বম্বে হাইকোর্ট।
ঘটনাটি ঘটেছে দাদরের পায়রার মাচা এলাকায়। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও কয়েকজন মানুষ পায়রাদের খাইয়েছিল। যারা যারা আদেশ লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বর্তমানে পায়রার বিষ্ঠা এবং পালক মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হয়ে উঠছে। আর তাই কার্যত পায়রাদের খাঁচায় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলে, মাচায় আসা পায়রার ঝাঁক নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছুজন পায়রাকে নিয়মভঙ্গ করে খাওয়াচ্ছে। পুরনিগমের তরফ থেকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার যে, সাধারণ মানুষ যেন কোনভাবে পায়রার জন্য বিরক্ত না হয়। ফলত প্রাণঘাতী রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকতে পারে জেনেও এমন কাজ করা নাগরিকদের বিরুদ্ধে, পুরনিগমের উচিত থানায় মামলা দায়ের করা।
সূত্রের খবর, দাদরের পায়রার মাচা বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত তা এখন হাইকোর্টে পৌঁছেছে। মুম্বই কর্পোরেশনের পক্ষ থকে পায়রাদের খাওয়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ স্থানীয়রা আবার পালটা অভিযোগ করছেন, পায়রাগুলি মারা যাচ্ছে। আপাতত বিচারপতি গিরীশ কুলকার্নি এবং বিচারপতি আরিফ ডাক্তারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে।





























