২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কড়া রাজ্য,এবার ফোনের মাধ্যমে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৪ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 30

পুবের কলম প্রতিবেদক­ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘স্বাস্থ্যসাথী’। এর মাধ্যমে একটি পরিবারকে বছরে পাঁচ লাখ টাকার বিমার সুযোগ দেওয়া হয়। মানুষ যাতে টাকার অভাবে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়– তাই সরকার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করে। তবে অভিযোগ–  কার্ড নিয়ে বিরোধীরা যে অভিযোগই তুলুক না কেন– বাংলার জনগণের কাছে তুমুল জনপ্রিয় রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প। তবে– কিছু কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করছে বলে অভিযোগ। প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্ক করা হলেও অনেকেই শুনতে চাইছে না। তাই প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ানোর পথে হাঁটল রাজ্য। অন্যদিকে– ভুয়ো বা জাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি যে অভিযোগ উঠছে। সূত্রের খবর– ক্ষেত্রেও নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।

সাধারণ মানুষের সমস্যা নিরসনে শনিবার ও রবিবার ছুটির দিনও নতুন কার্ড তৈরি হবে। হাসপাতালগুলির ক্লেইমের ক্ষেত্রেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে না ছুটির দিন। হাসপাতালগুলি শনি এবং রবিবারেও ক্লেইম করতে পারবে। যদি কোনও হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিতে চায়– তাহলেও তৎক্ষণাৎ অভিযোগ জানানো যাবে। এর জন্য ২৪ ঘণ্টার টোল-ফ্রি নম্বর চালু করল রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: রাজ্যকে না জানিয়ে ভিনরাজ্যের বাঙালিকে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে পুশব্যাক নয়, কড়া বার্তা নবান্নর

রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে– এবার থেকে প্রতিটি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পিছনে থাকবে এই টোল ফ্রি নম্বর। কোনও বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করলে ১৮০০৩৪৫৫৩৮৪ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। একইসঙ্গে অভিযোগ জানানো যাবে আরও চারটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। সেই নম্বরগুলি হল ৯০৭৩৩১৩২১১– ৯৫১৩১০৮৩৮৩– ৮৩৩৪৯০২৯০০ ও ৯৮৩০১৬৪২৮৬।

আরও পড়ুন: নবান্নে জায়গা পেল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি, রথযাত্রা ঘিরে রাজ্যজুড়ে উৎসবের প্রস্তুতি

এ নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন– স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করতে কোনও হাসপাতাল যদি অস্বীকার করে– তাহলে হাসপাতালের হেল্প ডেস্কের সামনে থেকেই এই নম্বরগুলিতে অভিযোগ জানানো যাবে। অভিযোগ আসা মাত্রই সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে শীঘ্রই তার সমাধান করা হবে।

আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

প্রসঙ্গত– স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের প্রধান বাড়ির মহিলারা। মহিলাদের নামেই কার্ড ইস্যু করা হয়। সেই কার্ডের মধ্যেই পরিবারের বাকি সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত হবেন। ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে– প্রত্যেক উপভোক্তার আধার নম্বর সংগ্রহ করতে হবে। সেই নম্বর মূল তথ্যভাণ্ডারে সংযুক্ত থাকবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কড়া রাজ্য,এবার ফোনের মাধ্যমে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা

আপডেট : ৪ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক­ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘স্বাস্থ্যসাথী’। এর মাধ্যমে একটি পরিবারকে বছরে পাঁচ লাখ টাকার বিমার সুযোগ দেওয়া হয়। মানুষ যাতে টাকার অভাবে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়– তাই সরকার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করে। তবে অভিযোগ–  কার্ড নিয়ে বিরোধীরা যে অভিযোগই তুলুক না কেন– বাংলার জনগণের কাছে তুমুল জনপ্রিয় রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প। তবে– কিছু কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করছে বলে অভিযোগ। প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্ক করা হলেও অনেকেই শুনতে চাইছে না। তাই প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ানোর পথে হাঁটল রাজ্য। অন্যদিকে– ভুয়ো বা জাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি যে অভিযোগ উঠছে। সূত্রের খবর– ক্ষেত্রেও নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।

সাধারণ মানুষের সমস্যা নিরসনে শনিবার ও রবিবার ছুটির দিনও নতুন কার্ড তৈরি হবে। হাসপাতালগুলির ক্লেইমের ক্ষেত্রেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে না ছুটির দিন। হাসপাতালগুলি শনি এবং রবিবারেও ক্লেইম করতে পারবে। যদি কোনও হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিতে চায়– তাহলেও তৎক্ষণাৎ অভিযোগ জানানো যাবে। এর জন্য ২৪ ঘণ্টার টোল-ফ্রি নম্বর চালু করল রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: রাজ্যকে না জানিয়ে ভিনরাজ্যের বাঙালিকে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে পুশব্যাক নয়, কড়া বার্তা নবান্নর

রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে– এবার থেকে প্রতিটি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পিছনে থাকবে এই টোল ফ্রি নম্বর। কোনও বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করলে ১৮০০৩৪৫৫৩৮৪ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। একইসঙ্গে অভিযোগ জানানো যাবে আরও চারটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। সেই নম্বরগুলি হল ৯০৭৩৩১৩২১১– ৯৫১৩১০৮৩৮৩– ৮৩৩৪৯০২৯০০ ও ৯৮৩০১৬৪২৮৬।

আরও পড়ুন: নবান্নে জায়গা পেল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি, রথযাত্রা ঘিরে রাজ্যজুড়ে উৎসবের প্রস্তুতি

এ নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন– স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করতে কোনও হাসপাতাল যদি অস্বীকার করে– তাহলে হাসপাতালের হেল্প ডেস্কের সামনে থেকেই এই নম্বরগুলিতে অভিযোগ জানানো যাবে। অভিযোগ আসা মাত্রই সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে শীঘ্রই তার সমাধান করা হবে।

আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

প্রসঙ্গত– স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের প্রধান বাড়ির মহিলারা। মহিলাদের নামেই কার্ড ইস্যু করা হয়। সেই কার্ডের মধ্যেই পরিবারের বাকি সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত হবেন। ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে– প্রত্যেক উপভোক্তার আধার নম্বর সংগ্রহ করতে হবে। সেই নম্বর মূল তথ্যভাণ্ডারে সংযুক্ত থাকবে।