কুলতলিতে এক মৎস্যজীবির রহস্যজনক মৃত্যু

- আপডেট : ১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
- / 14
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় : সুন্দরবন মানেই জলে কুমির-ডাঙায় বাঘ। আর এই নিয়েই সুন্দরবন। সুন্দরবনের বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা মাছ ধরা। মাথায় বিপদ নিয়েই তাঁরা মাছ ধরতে যান। এই মাছ ধরতে গিয়েই আর বাড়ি ফেরা হল না পলাশ সরদারের।
কুলতলি ব্লকের কুন্দখালি গোডাবর অঞ্চলের বালাহারানিয়ার বাসিন্দার পলাশ সরদার। তিনি স্থানীয় পিয়ালী নদীতে সোমবার বিকালে খেবলা জাল নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। একাই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন বলে আরওই কিছু জানা সম্ভব হয়নি পরিবারের পক্ষে। উপায় না দেখে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় বন দফতর ও কুলতলি থানায় খবর দেন।
এরপর প্রশাসনিক উদ্যোগে দীর্ঘক্ষণ পলাশ সরদারের সন্ধানে খোঁজাখুঁজি চলে। শেষ পর্যন্ত বুধবার সকালে ডোমাজোড়া পিয়ালি নদীতে তাঁর দেহটি ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে জয়নগর কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে। এখান থেকে দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। যদিও কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তার কারন স্পষ্ট না।
বাঘের আক্রমণে নাকি নদীতে মাছ ধরার সময় জলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়টি ময়নাতদন্তের পরে স্পষ্ট হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও।
আর সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে পলাশ সরদারের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য। ফলে এরপর সংসার কীভাবে চলবে সেটা বুঝে পাচ্ছেন না কেউ। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।