যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ, তবে আছে উৎকণ্ঠাও

- আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার
- / 175
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইসরায়েলের কারাগারে থাকা শত শত ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে জিম্মি মুক্তির শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে মিসরের শারম আল শেখে আয়োজিত বৈঠকে এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন হয়। আলোচনায় অংশ নেন হামাস নেতা খলিল আল হায়া, যাকে হত্যার লক্ষ্যে সম্প্রতি কাতারে বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই উল্লাসে ফেটে পড়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা; রাস্তায় নেমে আসে সাধারণ মানুষ। একইভাবে জিম্মি ফেরার আশায় উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে ইসরায়েলও।
তবে চুক্তির ঘোষণার পরও গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরই চুক্তি কার্যকর হবে। এতে গাজা থেকে ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহার এবং দুই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির কথা বলা হয়েছে।
এই যুদ্ধবিরতিকে ট্রাম্পের বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি একে ‘শান্তির ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁসহ বিশ্বনেতারা চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। গাজার মানুষ স্বস্তি পেলেও আশঙ্কা রয়ে গেছে— অতীতে যেমন ইসরায়েল একাধিকবার যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামলা চালিয়েছে, তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়— এই প্রত্যাশাই এখন সবার।