২৪ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রান্নার গ্যাসে সুরাহা নেই: কাঁচামালের দাম আড়াই বছরে সর্বনিম্ন, বোঝা রইল সাধারণের কাঁধে

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার
  • / 75

গত এপ্রিলেই এক লাফে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল রান্নার গ্যাসের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিতে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। তার মধ্যেই এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি আরও ক্ষোভ উসকে দিয়েছিল। তখন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছিলেন— এলপিজির কাঁচামালের দাম দুই বছরে ৬৩% বেড়ে যাওয়ায় সরকার বাধ্য হয়েছে দাম বাড়াতে।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে— এখন প্রোপেন ও বিউটেনের আন্তর্জাতিক বাজারদর আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে, তবুও এক টাকাও কমেনি সিলিন্ডারের দাম। দেশের গ্রাহকদের এখনও ৮৭৯ টাকাই গুনতে হচ্ছে প্রতি সিলিন্ডারের জন্য।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারণের কোনও বাস্তব সম্পর্ক নেই। বরং রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে বিপুল মুনাফা অর্জনের সুযোগই করে দিচ্ছে কেন্দ্র।

লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি দাবি করেছিল, জ্বালানির দাম রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় না। অথচ ভোটের আগেই ১০০ টাকা কমিয়ে পরে আবার ৫০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল রান্নার গ্যাসের দাম। এখন প্রশ্ন— যখন কাঁচামালের দাম ফের তলানিতে নেমেছে, তখন কেন সাধারণ জনগণ সুরাহা পাচ্ছে না?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগেই বলেছিল, দেশে মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ এলপিজির উচ্চ দাম। তবুও কেন্দ্রের তরফে কোনও পদক্ষেপের ইঙ্গিত নেই। ফলে স্পষ্ট হচ্ছে— সাধারণ মানুষের কাঁধে বোঝা চাপিয়েই তেল সংস্থাগুলোর লাভ বাড়ছে, আর সরকারের কোষাগারই হচ্ছে এর প্রধান উপকারভোগী।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রান্নার গ্যাসে সুরাহা নেই: কাঁচামালের দাম আড়াই বছরে সর্বনিম্ন, বোঝা রইল সাধারণের কাঁধে

আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার

গত এপ্রিলেই এক লাফে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল রান্নার গ্যাসের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিতে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। তার মধ্যেই এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি আরও ক্ষোভ উসকে দিয়েছিল। তখন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছিলেন— এলপিজির কাঁচামালের দাম দুই বছরে ৬৩% বেড়ে যাওয়ায় সরকার বাধ্য হয়েছে দাম বাড়াতে।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে— এখন প্রোপেন ও বিউটেনের আন্তর্জাতিক বাজারদর আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে, তবুও এক টাকাও কমেনি সিলিন্ডারের দাম। দেশের গ্রাহকদের এখনও ৮৭৯ টাকাই গুনতে হচ্ছে প্রতি সিলিন্ডারের জন্য।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারণের কোনও বাস্তব সম্পর্ক নেই। বরং রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে বিপুল মুনাফা অর্জনের সুযোগই করে দিচ্ছে কেন্দ্র।

লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি দাবি করেছিল, জ্বালানির দাম রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় না। অথচ ভোটের আগেই ১০০ টাকা কমিয়ে পরে আবার ৫০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল রান্নার গ্যাসের দাম। এখন প্রশ্ন— যখন কাঁচামালের দাম ফের তলানিতে নেমেছে, তখন কেন সাধারণ জনগণ সুরাহা পাচ্ছে না?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগেই বলেছিল, দেশে মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ এলপিজির উচ্চ দাম। তবুও কেন্দ্রের তরফে কোনও পদক্ষেপের ইঙ্গিত নেই। ফলে স্পষ্ট হচ্ছে— সাধারণ মানুষের কাঁধে বোঝা চাপিয়েই তেল সংস্থাগুলোর লাভ বাড়ছে, আর সরকারের কোষাগারই হচ্ছে এর প্রধান উপকারভোগী।