০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রুশ বোমা হামলার খবর ভ্রান্ত-মারিউপোলের সুলতান মসজিদ অক্ষত রয়েছে!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, সোমবার
  • / 46

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোলের একটি মসজিদে রাশিয়ার সেনাবাহিনী  কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছিল তা নাকচ করেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে, রুশ বাহিনী মারিউপোল শহরটি ঘিরে ফেলে বহুমুখী হামলা চালালেও সুলতান সুলেইমান মসজিদের কোনও ক্ষতি হয়নি। এর আগে পশ্চিমা মিডিয়ায় ঢালাও করে খবর প্রচার হয় যে, রাশিয়ার হামলায় মারিউপোলের সুলতান মসজিদটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে এবার সেই খবর মিথ্য প্রমাণিত হল। তুর্কি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মসজিদ পরিচালনা কমিটির প্রধান ইসমাইল হাচিওগলু বলেন, মসজিদ থেকে দুই কিলোমিটার দূরে সংঘাত চলছে।

 

আরও পড়ুন: রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, ইউক্রেনকে ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র দিলেও চাইছেন পুরো দাম

উল্লেখ্য,  গত শুক্রবার মসজিদ থেকে ৭০০ মিটার দূরে একটি রকেট বিস্ফোরিত হয়। এরপর শনিবার ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে মসজিদে গোলা নিক্ষেপের অভিযোগ করেন। বিদেশমন্ত্রকের ট্যুইটে বলা হয়, ‍‌‌‌‌‌‌’তুর্কি নাগরিকরাসহ আশ্রয়প্রার্থীরা যখন মসজিদে আশ্রয় নিচ্ছিল তখন সেখানে বোমা হামলা চালানো হয়।’ ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, মারিউপলে অবস্থিত ‘দ্য মস্ক অব সুলতান সুলেইমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট এবং হিজ ওয়াইফ রোক্সলানা’তে রুশ অনুপ্রবেশকারীরা গোলা নিক্ষেপ করেছিল।

আরও পড়ুন: কেরিয়ারের দিশা দেখাচ্ছে মুম্বইয়ের মসজিদ

 

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ১৬

হামলার সময় মসজিদে তুর্কি নাগরিকসহ ৮০ জনের বেশি শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থান করছিল। এই ঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে রাশিয়া কোনও ধর্মীয় অথবা অসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর খবর আগেই অস্বীকার করেছে। মসজিদ কমিটির প্রধানও নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রুশ হামলায় তাদের কোনও ক্ষতি হয়নি। এখন শহরের যুদ্ধ ও মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ইসমাইল বলেন,‍ ‌‌‌‌‌‌’বিদ্যুৎ নেই। পানি ও গ্যাস নেই। আমাদের কাছে মাত্র ২৫ টন পানি ছিল। নাগরিকদের বাঁচাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’ তিনি আরও জানান, রাশিয়া মানবিক করিডর বা নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠার কথা দিয়ে কথা রেখেছে। ভারি গোলাবর্ষণ ও রকেট হামলার মাঝেও তুর্কিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের নিরাপদ এলাকা দিয়ে উদ্ধার কাজ চালাতে দিচ্ছে রুশ সেনা।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রুশ বোমা হামলার খবর ভ্রান্ত-মারিউপোলের সুলতান মসজিদ অক্ষত রয়েছে!

আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোলের একটি মসজিদে রাশিয়ার সেনাবাহিনী  কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছিল তা নাকচ করেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে, রুশ বাহিনী মারিউপোল শহরটি ঘিরে ফেলে বহুমুখী হামলা চালালেও সুলতান সুলেইমান মসজিদের কোনও ক্ষতি হয়নি। এর আগে পশ্চিমা মিডিয়ায় ঢালাও করে খবর প্রচার হয় যে, রাশিয়ার হামলায় মারিউপোলের সুলতান মসজিদটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে এবার সেই খবর মিথ্য প্রমাণিত হল। তুর্কি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মসজিদ পরিচালনা কমিটির প্রধান ইসমাইল হাচিওগলু বলেন, মসজিদ থেকে দুই কিলোমিটার দূরে সংঘাত চলছে।

 

আরও পড়ুন: রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, ইউক্রেনকে ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র দিলেও চাইছেন পুরো দাম

উল্লেখ্য,  গত শুক্রবার মসজিদ থেকে ৭০০ মিটার দূরে একটি রকেট বিস্ফোরিত হয়। এরপর শনিবার ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে মসজিদে গোলা নিক্ষেপের অভিযোগ করেন। বিদেশমন্ত্রকের ট্যুইটে বলা হয়, ‍‌‌‌‌‌‌’তুর্কি নাগরিকরাসহ আশ্রয়প্রার্থীরা যখন মসজিদে আশ্রয় নিচ্ছিল তখন সেখানে বোমা হামলা চালানো হয়।’ ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, মারিউপলে অবস্থিত ‘দ্য মস্ক অব সুলতান সুলেইমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট এবং হিজ ওয়াইফ রোক্সলানা’তে রুশ অনুপ্রবেশকারীরা গোলা নিক্ষেপ করেছিল।

আরও পড়ুন: কেরিয়ারের দিশা দেখাচ্ছে মুম্বইয়ের মসজিদ

 

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ১৬

হামলার সময় মসজিদে তুর্কি নাগরিকসহ ৮০ জনের বেশি শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থান করছিল। এই ঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে রাশিয়া কোনও ধর্মীয় অথবা অসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর খবর আগেই অস্বীকার করেছে। মসজিদ কমিটির প্রধানও নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রুশ হামলায় তাদের কোনও ক্ষতি হয়নি। এখন শহরের যুদ্ধ ও মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ইসমাইল বলেন,‍ ‌‌‌‌‌‌’বিদ্যুৎ নেই। পানি ও গ্যাস নেই। আমাদের কাছে মাত্র ২৫ টন পানি ছিল। নাগরিকদের বাঁচাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’ তিনি আরও জানান, রাশিয়া মানবিক করিডর বা নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠার কথা দিয়ে কথা রেখেছে। ভারি গোলাবর্ষণ ও রকেট হামলার মাঝেও তুর্কিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের নিরাপদ এলাকা দিয়ে উদ্ধার কাজ চালাতে দিচ্ছে রুশ সেনা।