২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রমযানে আমরা ফিতরা কেন দি ?

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 31

REPRESENTATIVE IMAGE

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রমজান, ফিতরা ও ঈদ একে অপরের পরিপূরক। আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে যেসব দান প্রদান করা বান্দার ওপর অপরিহার্য, সদকাতুল ফিতর তার মধ্যে অন্যতম। সদকাতুল ফিতর কী, কেনই বা ইসলামে সদকাতুল ফিতরের এতটা গুরুত্ব।ফিতরা বা সাদকাতুল ফিতর হলো সেই নির্ধারিত সদকা, যা ঈদের নামাজের আগে অসহায়, গরিব-দুঃখীদের দিতে হয়। ইসলামি অনুশাসনের এক অনন্য নিদর্শন ফিতরা। ফিতরার মধ্যেই আছে গরিব প্রতিবেশির আনন্দ ও ঈদ উৎসব।

ফিতরা আদায়ের উপকারিতা:

আরও পড়ুন: শুধু রমযান নয়, কখনোই অনুমতি দেওয়া হবে না: ফ্যাশন শো নিয়ে আবদুল্লাহ

এই সাদকাহ আদায় করতে হয় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য। কেননা আল্লাহ মেহেরবানী করে তার বান্দাদের দীর্ঘ এক মাস মহা মূল্যবান ফরজ ইবাদত রোজা রাখার তাওফিক দান করেছেন। এ সাদাকাহকে ফরজ করার আরেকটি কারণ হচ্ছে- ঈদের দিন গরিব ও মিসকিনদের আনন্দ, উত্তম খাবারের সহজলভ্যতার জন্য। যাতে তারাও ধনীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে। যারা দিন আনে দিনে খায়, ভিক্ষাবৃত্তি করে খাবার জোগাড় করতে হয়, খাবারের জন্য অন্য লোকের দারস্থ হতে হয়, তাদেরকে অন্তত ঈদের দিনটাতে যাতে লাঞ্ছিত হতে না হয় এবং ঘরের খাবার দেখে মনের ভেতর যেন খুশির ঢেউ আসে, এ জন্যই সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজবিজ্ঞানী, আল্লহর নবী ও রাসূল হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই সুব্যবস্থার প্রচলন করে গেছেন।

আরও পড়ুন: রমযান: হৃদয় পরিবর্তনের বরকতময় এক মাস

কারা এই ফিতরা আদায় করবেন: 

আরও পড়ুন: এ বছরে ঈদের ফিতরা ৭০ টাকা

ফিতরা তারাই দেবেন যাদের ঈদের পূর্ব রাত ও ঈদের দিনে নিজের এবং পরিবারের সবার  প্রয়োজনীয় আহারের চেয়ে অতিরিক্ত খাদ্য বা সম্পদ মজুদ থাকে। ফিতরা দেয়ার জন্য জাকাত ফরজ হওয়ার বিষয়াবলীর কোনো বিধান নেই। এ কথা বলা যাবে না যে, আমার উপর তো জাকাত ফরজ নয়, বা আমি তো নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নই। সুতরাং যার কাছে রমজানের শেষ রোজায়, তাদের যাবতীয় খরচ মিটিয়ে অতিরিক্ত অর্থ থাকবে তার উপর পরিবারের পক্ষ থেকে সবার ফিতরাহ আদায় করতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদের বেশি বেশি ফিতরা ও জাকাত দেওয়ার তৌফিক দান করুক আমিন.

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রমযানে আমরা ফিতরা কেন দি ?

আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রমজান, ফিতরা ও ঈদ একে অপরের পরিপূরক। আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে যেসব দান প্রদান করা বান্দার ওপর অপরিহার্য, সদকাতুল ফিতর তার মধ্যে অন্যতম। সদকাতুল ফিতর কী, কেনই বা ইসলামে সদকাতুল ফিতরের এতটা গুরুত্ব।ফিতরা বা সাদকাতুল ফিতর হলো সেই নির্ধারিত সদকা, যা ঈদের নামাজের আগে অসহায়, গরিব-দুঃখীদের দিতে হয়। ইসলামি অনুশাসনের এক অনন্য নিদর্শন ফিতরা। ফিতরার মধ্যেই আছে গরিব প্রতিবেশির আনন্দ ও ঈদ উৎসব।

ফিতরা আদায়ের উপকারিতা:

আরও পড়ুন: শুধু রমযান নয়, কখনোই অনুমতি দেওয়া হবে না: ফ্যাশন শো নিয়ে আবদুল্লাহ

এই সাদকাহ আদায় করতে হয় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য। কেননা আল্লাহ মেহেরবানী করে তার বান্দাদের দীর্ঘ এক মাস মহা মূল্যবান ফরজ ইবাদত রোজা রাখার তাওফিক দান করেছেন। এ সাদাকাহকে ফরজ করার আরেকটি কারণ হচ্ছে- ঈদের দিন গরিব ও মিসকিনদের আনন্দ, উত্তম খাবারের সহজলভ্যতার জন্য। যাতে তারাও ধনীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে। যারা দিন আনে দিনে খায়, ভিক্ষাবৃত্তি করে খাবার জোগাড় করতে হয়, খাবারের জন্য অন্য লোকের দারস্থ হতে হয়, তাদেরকে অন্তত ঈদের দিনটাতে যাতে লাঞ্ছিত হতে না হয় এবং ঘরের খাবার দেখে মনের ভেতর যেন খুশির ঢেউ আসে, এ জন্যই সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজবিজ্ঞানী, আল্লহর নবী ও রাসূল হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই সুব্যবস্থার প্রচলন করে গেছেন।

আরও পড়ুন: রমযান: হৃদয় পরিবর্তনের বরকতময় এক মাস

কারা এই ফিতরা আদায় করবেন: 

আরও পড়ুন: এ বছরে ঈদের ফিতরা ৭০ টাকা

ফিতরা তারাই দেবেন যাদের ঈদের পূর্ব রাত ও ঈদের দিনে নিজের এবং পরিবারের সবার  প্রয়োজনীয় আহারের চেয়ে অতিরিক্ত খাদ্য বা সম্পদ মজুদ থাকে। ফিতরা দেয়ার জন্য জাকাত ফরজ হওয়ার বিষয়াবলীর কোনো বিধান নেই। এ কথা বলা যাবে না যে, আমার উপর তো জাকাত ফরজ নয়, বা আমি তো নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নই। সুতরাং যার কাছে রমজানের শেষ রোজায়, তাদের যাবতীয় খরচ মিটিয়ে অতিরিক্ত অর্থ থাকবে তার উপর পরিবারের পক্ষ থেকে সবার ফিতরাহ আদায় করতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদের বেশি বেশি ফিতরা ও জাকাত দেওয়ার তৌফিক দান করুক আমিন.