২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তল্লাশির নামে বাড়িতে এসে মহিলাকে গুলি করে হত্যা করল যোগীর পুলিশ

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১৬ মে ২০২২, সোমবার
  • / 25

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ নিরপরাধ অসহায় ব্যক্তিকে ফের গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠল যোগী্র পুলিশের বিরুদ্ধে।

উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর  জেলায় ইসলামনগর গ্রামে আব্দুল রহমানের বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালানোর সময় গুলিতে নিহত হলেন এক মহিলা।

আরও পড়ুন: সম্ভল হিংসা: জামা মসজিদের সভাপতিকে আটক করল যোগী পুলিশ

অভিযোগ কাউ স্লটার (গরু জবাই) এই  অভিযোগে আব্দুল রহমানকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। সেই সময় বাড়িতে আব্দুলের বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। বাড়ি জুড়ে ছিল উৎসবের মেজাজ। এইসময়ে পুলিশ আসলে আব্দুলের  মা, ৫৩ –বছর বয়সী মুসলিম রোশনি প্রতিবাদ করেন। এতবড় ঔদ্ধত্ব একজন মুসলিম মহিলার মেনে নিতে পারেনি যোগীর পুলিশ। তারা সটান গুলি চালায়। তাতেই নিহত হন মুসলিম রোশনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও বলা হয়েছে মৃতার শরীরে রয়েছে বুলেটের ক্ষত।

আরও পড়ুন: অশান্ত মণিপুরে স্কুলের সামনেই মহিলাকে খুন, ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি

নিহতের আরেক ছেলে আতিরকুর রহমান জানিয়েছেন ১৫-২০জন  পুলিশ অফিসার যারা তার ভাই আব্দুল রহমানকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য একটি বিশেষ  দল নিয়ে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল।  তবে আটকের কোনো কারণ জানায়নি পুলিশ। এরপর তাঁদের মা পুলিশকে বাধা দিলে একজন পুলিশ অতর্কিত গুলি চালায়।  ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় মুসলিম রোশনির। বন্ধ হয়ে যায় তাদের বোন রাবিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান। ২২ মে পরবর্তী বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আন্ডারপাসে জমা জলেতে গাড়ি ডুবে তরুণীর মৃত্যু

এর পরেই, গ্রামবাসীরা ঘটনার প্রতিবাদ করে সমবেত হন। পুলিশ জানিয়েছে  দুই ভাই আতিকুর রহমান এবং আব্দুল রহমান সহ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

সিদ্ধার্থনগর সার্কেল অফিসার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু  বলা সম্ভব নয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তল্লাশির নাম করে এলাকার কোদরা গ্র্যান্ট গ্রামে হানা দিয়েছিল সশস্ত্র পুলিশের একটি দল। তাদের কাছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লোকজন অভিযোগ দায়ের করেছিল। অভিযোগ ছিল, স্থানীয় বাসিন্দা উবেদ-উর রহমান গোহত্যা করেছে। পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে উবেদ-উর রহমানকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন। একপ্রস্থ বচসার পর ওই যুবকের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা পুলিশকে তাড়া করে।

এরপর নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে ঘুরে পিছু হটলেও ফের ঘুরে দাঁড়ায়।স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখাতে সরাসরি বন্দুক দিয়ে ৫৩ বছর বয়সী ওই মহিলাকে গুলি করে ।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তল্লাশির নামে বাড়িতে এসে মহিলাকে গুলি করে হত্যা করল যোগীর পুলিশ

আপডেট : ১৬ মে ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ নিরপরাধ অসহায় ব্যক্তিকে ফের গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠল যোগী্র পুলিশের বিরুদ্ধে।

উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর  জেলায় ইসলামনগর গ্রামে আব্দুল রহমানের বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালানোর সময় গুলিতে নিহত হলেন এক মহিলা।

আরও পড়ুন: সম্ভল হিংসা: জামা মসজিদের সভাপতিকে আটক করল যোগী পুলিশ

অভিযোগ কাউ স্লটার (গরু জবাই) এই  অভিযোগে আব্দুল রহমানকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। সেই সময় বাড়িতে আব্দুলের বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। বাড়ি জুড়ে ছিল উৎসবের মেজাজ। এইসময়ে পুলিশ আসলে আব্দুলের  মা, ৫৩ –বছর বয়সী মুসলিম রোশনি প্রতিবাদ করেন। এতবড় ঔদ্ধত্ব একজন মুসলিম মহিলার মেনে নিতে পারেনি যোগীর পুলিশ। তারা সটান গুলি চালায়। তাতেই নিহত হন মুসলিম রোশনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও বলা হয়েছে মৃতার শরীরে রয়েছে বুলেটের ক্ষত।

আরও পড়ুন: অশান্ত মণিপুরে স্কুলের সামনেই মহিলাকে খুন, ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি

নিহতের আরেক ছেলে আতিরকুর রহমান জানিয়েছেন ১৫-২০জন  পুলিশ অফিসার যারা তার ভাই আব্দুল রহমানকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য একটি বিশেষ  দল নিয়ে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল।  তবে আটকের কোনো কারণ জানায়নি পুলিশ। এরপর তাঁদের মা পুলিশকে বাধা দিলে একজন পুলিশ অতর্কিত গুলি চালায়।  ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় মুসলিম রোশনির। বন্ধ হয়ে যায় তাদের বোন রাবিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান। ২২ মে পরবর্তী বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আন্ডারপাসে জমা জলেতে গাড়ি ডুবে তরুণীর মৃত্যু

এর পরেই, গ্রামবাসীরা ঘটনার প্রতিবাদ করে সমবেত হন। পুলিশ জানিয়েছে  দুই ভাই আতিকুর রহমান এবং আব্দুল রহমান সহ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

সিদ্ধার্থনগর সার্কেল অফিসার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু  বলা সম্ভব নয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তল্লাশির নাম করে এলাকার কোদরা গ্র্যান্ট গ্রামে হানা দিয়েছিল সশস্ত্র পুলিশের একটি দল। তাদের কাছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লোকজন অভিযোগ দায়ের করেছিল। অভিযোগ ছিল, স্থানীয় বাসিন্দা উবেদ-উর রহমান গোহত্যা করেছে। পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে উবেদ-উর রহমানকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন। একপ্রস্থ বচসার পর ওই যুবকের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা পুলিশকে তাড়া করে।

এরপর নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে ঘুরে পিছু হটলেও ফের ঘুরে দাঁড়ায়।স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখাতে সরাসরি বন্দুক দিয়ে ৫৩ বছর বয়সী ওই মহিলাকে গুলি করে ।