২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝাড়গ্রামের তিরন্দাজরা একদিন অলিম্পিকে যাবে, আদিবাসীদের প্রশংসায় মুখ্যমন্ত্রী

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৯ মে ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 48

পুবের কলম প্রতিবেদক, ঝাড়গ্রাম:  জঙ্গলমহল সফরের শেষ দিন ঝাড়গ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রী জেলাকে আরও বেশি উন্নত করার বার্তা দিলেন। ঝাড়গ্রামের ছেলে-মেয়েরা কীভাবে নিজেদের আরও বেশি উন্নত এবং শিক্ষিত করে তুলতে পারে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের কর্মী সম্মেলন থেকে সেই কথাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে রাজ্যে বসবাসকারী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে একজোট হয়ে চলার বার্তা দেন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ঝাড়গ্রামের ছেলে-মেয়েরা যাতে আরও এগিয়ে আসে, উচ্চশিক্ষিত হয়, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয় সেই চেষ্টা করা হবে। তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যা যা করা প্রয়োজন সবটাই করা হবে।’

আরও পড়ুন: অলিম্পিক আয়োজনে আগ্রহী ভারত

তিনি আরও বলেন, ‘ঝাড়গ্রামের ছেলে-মেয়েরা যাতে পড়াশোনার ক্ষেত্রে সুবিধা পায়, সেইজন্য তাদের বিনামূল্যে কোচিং দেওয়া হয়। তাই নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করতে হবে তাদের। নেত্রীর কথায়, ‘ঝাড়গ্রামের ছেলে-মেয়েরাও ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হোক উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিত করুক নিজেদের।

আরও পড়ুন: এই প্রথম ভোটার কার্ড পেল ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত গ্রামের আদিবাসীরা

এদিন সভামঞ্চ থেকে ঝাড়গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের তিরন্দাজি নিয়ে প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আদিবাসী সম্প্রদায় তির চালায় ভালো। তাই তিরন্দাজির প্রশিক্ষণের অ্যাকাডেমি করে দেওয়া হয়েছে। সেই অ্যাকাডেমি থেকে আমাদের ছেলেমেয়েরা কত ভালো রেজাল্ট করেছে।

আরও পড়ুন: আদিবাসীদের মাঘ পরব মঙ্গলকোটে

একদিন ওরা অলিম্পিকে যাবে, সারা বিশ্ব থেকে সোনা জয় করে নিয়ে আসবে।’

কর্মী-সদস্যদের উদ্দেশ্যে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে কোনও বিভেদ সৃষ্টি যেন না হয়। তৃণমূল কংগ্রেস কোনও জনের নেতৃত্বে চলে না, এটা একটা দল, একজোট হয়ে সবাই মিলেমিশে থাকলে তবেই দলের শক্তি বৃদ্ধি পাবে।’ ঝাড়গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন কীভাবে হবে সেই চেষ্টাই তিনি অনবরত করে চলেছেন বলেও জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

প্রসঙ্গত, মমতার অতি বড় সমালোচকও স্বীকার করে নেন যে, বাংলায় সামাজিক খাতে তাঁর জমানাতে ভালো কাজ হয়েছে। অভিযোগ, মমতা সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধা ১০০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না। বহু ক্ষেত্রে প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হচ্ছে দলের কর্মীদের একাংশের কাটমানি খাওয়ার প্রবণতা। আর তা নিয়েই এদিন সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সমব্যাথী প্রকল্পের টাকা থেকে কেউ যদি কাটমানি খাওয়ার চেষ্টা করেন,  তিনি বরদাস্ত করবেন না।’ মুখ্যমন্ত্রী কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘২ হাজার টাকা আপনার প্রাপ্য। এর থেকে কম নেবেন না। যদি কেউ ১ টাকাও কম দেয় আমাকে চিঠি লিখবেন।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ঝাড়গ্রামের তিরন্দাজরা একদিন অলিম্পিকে যাবে, আদিবাসীদের প্রশংসায় মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট : ১৯ মে ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক, ঝাড়গ্রাম:  জঙ্গলমহল সফরের শেষ দিন ঝাড়গ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রী জেলাকে আরও বেশি উন্নত করার বার্তা দিলেন। ঝাড়গ্রামের ছেলে-মেয়েরা কীভাবে নিজেদের আরও বেশি উন্নত এবং শিক্ষিত করে তুলতে পারে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের কর্মী সম্মেলন থেকে সেই কথাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে রাজ্যে বসবাসকারী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে একজোট হয়ে চলার বার্তা দেন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ঝাড়গ্রামের ছেলে-মেয়েরা যাতে আরও এগিয়ে আসে, উচ্চশিক্ষিত হয়, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয় সেই চেষ্টা করা হবে। তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যা যা করা প্রয়োজন সবটাই করা হবে।’

আরও পড়ুন: অলিম্পিক আয়োজনে আগ্রহী ভারত

তিনি আরও বলেন, ‘ঝাড়গ্রামের ছেলে-মেয়েরা যাতে পড়াশোনার ক্ষেত্রে সুবিধা পায়, সেইজন্য তাদের বিনামূল্যে কোচিং দেওয়া হয়। তাই নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করতে হবে তাদের। নেত্রীর কথায়, ‘ঝাড়গ্রামের ছেলে-মেয়েরাও ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হোক উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিত করুক নিজেদের।

আরও পড়ুন: এই প্রথম ভোটার কার্ড পেল ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত গ্রামের আদিবাসীরা

এদিন সভামঞ্চ থেকে ঝাড়গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের তিরন্দাজি নিয়ে প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আদিবাসী সম্প্রদায় তির চালায় ভালো। তাই তিরন্দাজির প্রশিক্ষণের অ্যাকাডেমি করে দেওয়া হয়েছে। সেই অ্যাকাডেমি থেকে আমাদের ছেলেমেয়েরা কত ভালো রেজাল্ট করেছে।

আরও পড়ুন: আদিবাসীদের মাঘ পরব মঙ্গলকোটে

একদিন ওরা অলিম্পিকে যাবে, সারা বিশ্ব থেকে সোনা জয় করে নিয়ে আসবে।’

কর্মী-সদস্যদের উদ্দেশ্যে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে কোনও বিভেদ সৃষ্টি যেন না হয়। তৃণমূল কংগ্রেস কোনও জনের নেতৃত্বে চলে না, এটা একটা দল, একজোট হয়ে সবাই মিলেমিশে থাকলে তবেই দলের শক্তি বৃদ্ধি পাবে।’ ঝাড়গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন কীভাবে হবে সেই চেষ্টাই তিনি অনবরত করে চলেছেন বলেও জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

প্রসঙ্গত, মমতার অতি বড় সমালোচকও স্বীকার করে নেন যে, বাংলায় সামাজিক খাতে তাঁর জমানাতে ভালো কাজ হয়েছে। অভিযোগ, মমতা সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধা ১০০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না। বহু ক্ষেত্রে প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হচ্ছে দলের কর্মীদের একাংশের কাটমানি খাওয়ার প্রবণতা। আর তা নিয়েই এদিন সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সমব্যাথী প্রকল্পের টাকা থেকে কেউ যদি কাটমানি খাওয়ার চেষ্টা করেন,  তিনি বরদাস্ত করবেন না।’ মুখ্যমন্ত্রী কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘২ হাজার টাকা আপনার প্রাপ্য। এর থেকে কম নেবেন না। যদি কেউ ১ টাকাও কম দেয় আমাকে চিঠি লিখবেন।’