০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাশ্মীর ইস্যু সমাধানে ভারত-পাকিস্তান আলোচনা চান মেহবুবা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২২, সোমবার
  • / 80

REPRESENTATIVE IMAGE

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কাশ্মীর ইস্যু সমাধান ও উপত্যকায় খুনোখুনি বন্ধ করতে ভারত-পাকিস্তান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পক্ষগুলির মধ্যে কথাবার্তাই হল একমাত্র উপায়। এমনটাই জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।

 

আরও পড়ুন: মোদির বজ্রকন্ঠ কেড়ে নিয়েছেন Donald Trump: জয়রাম রমেশ

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর কাশ্মীর ভারত না পাকিস্তান কোন দেশে যোগ দেবে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। কাশ্মীর ভারতভুক্ত হলেও বিতর্ক থামেনি। সেখানে যেমন পাকিস্তানের মদদে জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তেমনি গড়ে উঠেছে ‘আজাদ কাশ্মীর’ আন্দোলনও। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সেখানে শান্তি বজায় রাখতে মোতায়েন রয়েছে হাজার হাজার সশস্ত্র সৈন্য।

আরও পড়ুন: ছন্দে ফিরছে দিল্লি বিমানবন্দর

এনকাউন্টারে কাশ্মীরের নিরীহ যুবকরা নিহত হয় বলেও নানা তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। তারপর থেকে সেখানকার পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে। মাসখানেক আগে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা নিয়েও উত্তপ্ত হয়েছিল উপত্যকা। সেখানে বিধানসভা আসন-সীমানা পুনর্বিন্যাস করে জনতাত্ত্বিক পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ভূমিকম্পের প্রভাব জম্ম-কাশ্মীরে, কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫.৮

 

এই পরিস্থিতিতে অশান্ত কাশ্মীরকে শান্তির জায়গাতে পরিণত করতে সব পক্ষের মতবিনিময়কেই একমাত্র ‘অপশন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মেহবুবা। তিনি বলেন, বুলেট বা গ্রেনেড কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান করতে পারবে না। কথোপকথনই একমাত্র উপায়।

 

এ প্রসঙ্গে অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে যেভাবে দুই পড়শি দেশের মধ্যে মতবিনিময় হয়েছিল, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রীত্বকালে জঙ্গিবাদ ও অনুপ্রবেশ কমেছিল বলে জানান মেহবুবা। পিডিপি বরাবরই দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পক্ষপাতী বলে তিনি জানান।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কাশ্মীর ইস্যু সমাধানে ভারত-পাকিস্তান আলোচনা চান মেহবুবা

আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কাশ্মীর ইস্যু সমাধান ও উপত্যকায় খুনোখুনি বন্ধ করতে ভারত-পাকিস্তান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পক্ষগুলির মধ্যে কথাবার্তাই হল একমাত্র উপায়। এমনটাই জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।

 

আরও পড়ুন: মোদির বজ্রকন্ঠ কেড়ে নিয়েছেন Donald Trump: জয়রাম রমেশ

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর কাশ্মীর ভারত না পাকিস্তান কোন দেশে যোগ দেবে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। কাশ্মীর ভারতভুক্ত হলেও বিতর্ক থামেনি। সেখানে যেমন পাকিস্তানের মদদে জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তেমনি গড়ে উঠেছে ‘আজাদ কাশ্মীর’ আন্দোলনও। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সেখানে শান্তি বজায় রাখতে মোতায়েন রয়েছে হাজার হাজার সশস্ত্র সৈন্য।

আরও পড়ুন: ছন্দে ফিরছে দিল্লি বিমানবন্দর

এনকাউন্টারে কাশ্মীরের নিরীহ যুবকরা নিহত হয় বলেও নানা তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। তারপর থেকে সেখানকার পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে। মাসখানেক আগে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা নিয়েও উত্তপ্ত হয়েছিল উপত্যকা। সেখানে বিধানসভা আসন-সীমানা পুনর্বিন্যাস করে জনতাত্ত্বিক পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ভূমিকম্পের প্রভাব জম্ম-কাশ্মীরে, কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫.৮

 

এই পরিস্থিতিতে অশান্ত কাশ্মীরকে শান্তির জায়গাতে পরিণত করতে সব পক্ষের মতবিনিময়কেই একমাত্র ‘অপশন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মেহবুবা। তিনি বলেন, বুলেট বা গ্রেনেড কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান করতে পারবে না। কথোপকথনই একমাত্র উপায়।

 

এ প্রসঙ্গে অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে যেভাবে দুই পড়শি দেশের মধ্যে মতবিনিময় হয়েছিল, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রীত্বকালে জঙ্গিবাদ ও অনুপ্রবেশ কমেছিল বলে জানান মেহবুবা। পিডিপি বরাবরই দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পক্ষপাতী বলে তিনি জানান।