১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলায় গড়ে উঠবে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়,  ইস্টবেঙ্গলের মিউজিয়াম উদ্বোধনে এসে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ অগাস্ট ২০২২, বুধবার
  • / 52

বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ছবি-খালিদুর রহিম)

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  বাংলায় এবার গড়ে উঠতে চলেছে, আস্ত এক ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়। নবনির্মিত ইস্টবেঙ্গল মিউজিয়াম উদ্বোধন করতে এসে বুধবার এ কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় নয়, রাজ্যে তৈরি হবে ক্রীড়া স্কুলও। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ‘মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলকে কেন্দ্র করে ছোট থেকেই যে বিতর্ক বিবাদ দেখেছি তা শুনে শুনেই বড় হয়েছি। আগে বাঙাল ঘটির লড়াই ছিল। কিন্তু এখন আর সে লড়াই নেই। এখন কে কত ভালো খেলবে, কে কতদূর যাবে তাই নিয়ে লড়াইটা সর্বক্ষণ টিকে থাকে।’

 

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন

বাংলায় গড়ে উঠবে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়,  ইস্টবেঙ্গলের মিউজিয়াম উদ্বোধনে এসে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

আরও পড়ুন: সিকিমে দুর্ঘটনার কবলে বাংলা ও ওড়িশার পর্যটকরা, নিখোঁজ ৯ জন

লাল হলুদ ক্লাবে এসে ইস্টবেঙ্গলের গর্বের দিনগুলি উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাঘের সঙ্গে লড়াই করে,  কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে ওপার থেকে এবার এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। স্বাধীনতা সংগ্রামেও তাদের অবদান অস্বীকার করার নয়। যারা গড়তে পারে,  লড়তে পারে আমি তাদের সালাম জানাই। আমি মনে করি, ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়।’

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টির অশনি সংকেত বাংলায়, ভাসতে পারে সাত জেলা

এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মিউজিয়াম উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন লাল হলুদ পেড়ে শাড়ি পড়ে। বল ছুঁড়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মমতা। ভবিষ্যতের জন্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য এই মিউজিয়াম কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তার ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর জানালেন, ‘মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেলছে,  আমি চাই মহামেডানও এবার আই এস এল এ খেলুক।’

মুখ্যমন্ত্রীর কথায় মানসিকতা ঠিক থাকলেই সবকিছু করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে তিনি ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারীর কথাও উল্লেখ করলেন। বললেন,’ একজনকে রাজি করালাম।  তারা ব্যাক আউট করল।  তারপর ইমামির সঙ্গে আমি ওদেরকে বসালাম। ওরা বলল আপনি বললে আমরা সবকিছু করতে পারি।’

বাংলায় গড়ে উঠবে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়,  ইস্টবেঙ্গলের মিউজিয়াম উদ্বোধনে এসে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আশ্বস্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন,’আগামী কয়েকটা বছর চিন্তা করার কোন দরকার নেই। মন দিয়ে নিজেদের খেলাটা খেলে যান। মোহনবাগান খেলছে, ইস্টবেঙ্গল খেলুক।’

বাংলায় গড়ে উঠবে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়,  ইস্টবেঙ্গলের মিউজিয়াম উদ্বোধনে এসে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

 

মহামেডানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলে যে মিউজিয়াম তৈরি হয়েছে তাতে যাতে ডার্বির সমস্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ ইতিবৃত্ত থাকে তাও উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সবুজ মেরুনকে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদানের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মোহনবাগান ক্লাবের নতুন তাবু উদ্বোধনে এসে। ইস্টবেঙ্গলের মিউজিয়াম উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডানকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য ঘোষণা করলেন।

সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও জানালেন, ‘ফুটবলটা ভালোবাসি বলেই খেলা হবে স্লোগান দিয়েছি ।’ সঙ্গে নিজের শখের প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে জানালেন,’আমি খেলতে ভালোবাসি।  পিট্টু, গাজী কাবাডি ব্যাডমিন্টন সমস্ত কিছু খেলেছি।  আদি গঙ্গার ধারে গাছে উঠেছি, এমনকি তবলা পিয়ানো বাজিয়েছি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলায় গড়ে উঠবে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়,  ইস্টবেঙ্গলের মিউজিয়াম উদ্বোধনে এসে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট : ১৭ অগাস্ট ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  বাংলায় এবার গড়ে উঠতে চলেছে, আস্ত এক ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়। নবনির্মিত ইস্টবেঙ্গল মিউজিয়াম উদ্বোধন করতে এসে বুধবার এ কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় নয়, রাজ্যে তৈরি হবে ক্রীড়া স্কুলও। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ‘মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলকে কেন্দ্র করে ছোট থেকেই যে বিতর্ক বিবাদ দেখেছি তা শুনে শুনেই বড় হয়েছি। আগে বাঙাল ঘটির লড়াই ছিল। কিন্তু এখন আর সে লড়াই নেই। এখন কে কত ভালো খেলবে, কে কতদূর যাবে তাই নিয়ে লড়াইটা সর্বক্ষণ টিকে থাকে।’

 

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন

বাংলায় গড়ে উঠবে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়,  ইস্টবেঙ্গলের মিউজিয়াম উদ্বোধনে এসে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

আরও পড়ুন: সিকিমে দুর্ঘটনার কবলে বাংলা ও ওড়িশার পর্যটকরা, নিখোঁজ ৯ জন

লাল হলুদ ক্লাবে এসে ইস্টবেঙ্গলের গর্বের দিনগুলি উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাঘের সঙ্গে লড়াই করে,  কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে ওপার থেকে এবার এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। স্বাধীনতা সংগ্রামেও তাদের অবদান অস্বীকার করার নয়। যারা গড়তে পারে,  লড়তে পারে আমি তাদের সালাম জানাই। আমি মনে করি, ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়।’

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টির অশনি সংকেত বাংলায়, ভাসতে পারে সাত জেলা

এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মিউজিয়াম উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন লাল হলুদ পেড়ে শাড়ি পড়ে। বল ছুঁড়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মমতা। ভবিষ্যতের জন্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য এই মিউজিয়াম কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তার ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর জানালেন, ‘মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেলছে,  আমি চাই মহামেডানও এবার আই এস এল এ খেলুক।’

মুখ্যমন্ত্রীর কথায় মানসিকতা ঠিক থাকলেই সবকিছু করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে তিনি ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারীর কথাও উল্লেখ করলেন। বললেন,’ একজনকে রাজি করালাম।  তারা ব্যাক আউট করল।  তারপর ইমামির সঙ্গে আমি ওদেরকে বসালাম। ওরা বলল আপনি বললে আমরা সবকিছু করতে পারি।’

বাংলায় গড়ে উঠবে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়,  ইস্টবেঙ্গলের মিউজিয়াম উদ্বোধনে এসে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আশ্বস্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন,’আগামী কয়েকটা বছর চিন্তা করার কোন দরকার নেই। মন দিয়ে নিজেদের খেলাটা খেলে যান। মোহনবাগান খেলছে, ইস্টবেঙ্গল খেলুক।’

বাংলায় গড়ে উঠবে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়,  ইস্টবেঙ্গলের মিউজিয়াম উদ্বোধনে এসে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

 

মহামেডানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলে যে মিউজিয়াম তৈরি হয়েছে তাতে যাতে ডার্বির সমস্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ ইতিবৃত্ত থাকে তাও উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সবুজ মেরুনকে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদানের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মোহনবাগান ক্লাবের নতুন তাবু উদ্বোধনে এসে। ইস্টবেঙ্গলের মিউজিয়াম উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডানকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য ঘোষণা করলেন।

সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও জানালেন, ‘ফুটবলটা ভালোবাসি বলেই খেলা হবে স্লোগান দিয়েছি ।’ সঙ্গে নিজের শখের প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে জানালেন,’আমি খেলতে ভালোবাসি।  পিট্টু, গাজী কাবাডি ব্যাডমিন্টন সমস্ত কিছু খেলেছি।  আদি গঙ্গার ধারে গাছে উঠেছি, এমনকি তবলা পিয়ানো বাজিয়েছি।