০৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিলিবেথ থেকে হয়ে উঠেছিলেন রানি এলিজাবেথ, চিরকাল কর্তব্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে গেছেন

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 83

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রানি হওয়ার কথা ছিল না তাঁর। লিলিবেথ থেকে তিনি হয়ে উঠেছিলেন রানি এলিজাবেথ। সবার প্রিয় হওয়ার কারণে একসময় তিনি ছিলেন লিলিবেথ। আর ছোট থেকেই তার মধ্যে ছিল কর্তব্য নিষ্ঠা। চিরকাল সেই কর্তব্য, নিষ্ঠা দিয়েই রাজত্বপাট সামলে গেছেন রানি। ৯৬ বছরের জীবনাবসানে দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে ব্রিটেনের সিংহাসনে রাজত্ব ভার সামলালেন রানি। বৃহস্পতিবার ৯ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে সেই বর্ণময়, ঐতিহাসিক জীবনের পরিসমাপ্তি। রানির সিংহাসনে বসার কথা ছিল না। নিজেই ভেঙে ছিলেন ব্রিটেনের রাজ পরিবারের ইতিহাস।

লিলিবেথ থেকে হয়ে উঠেছিলেন রানি এলিজাবেথ, চিরকাল কর্তব্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে গেছেন

আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯৬তম জন্মদিন

১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করে এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি উইন্ডসর। ব্রিটেনের হাজার বছরের ইতিহাসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি। ১৯৫৩ সালের ২ জুন  অভিষেক হয় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। গ্রেট ব্রিটেন এবং উত্তর  আয়ার্ল্যান্ডের রাজদণ্ড হাতে তুলে নেন তিনি। এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ ১৯৩৭ সালে ব্রিটেনের রাজা হন। বড় মেয়ে হিসাবে  সিংহাসনের দাবিদার ছিলেন এলিজাবেথ। তবে ব্রিটেনের রানি হওয়ার কথা ছিল না  তাঁর।

আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে তার অবস্থান ছিল কাকা অষ্টম এডওয়ার্ড এবং বাবা ষষ্ঠ জর্জ,  প্রিন্স অ্যালবার্টের পরে। তবে বিপত্নীক নারী ওয়েলিস সিম্পসনকে বিয়ে করার কারণে ১৯৩৬ সালে সিংহাসন  ত্যাগ করেন অষ্টম এডওয়ার্ড। এর সেই জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হন এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ। বাড়িতেই শিক্ষকদের কাছ থেকে এলিজাবেথ  ইতিহাস,  ভাষা,  সঙ্গীতের পারদর্শী হয়ে ওঠেন। প্রাতিষ্ঠানিক স্কুলে শিক্ষা না পেলেও ভাষার প্রতি এলিজাবেথের ভালো দখল ছিল। তিনি সাংবিধানিক ইতিহাস পড়েছিলেন বিস্তারিতভাবে।

লিলিবেথ থেকে হয়ে উঠেছিলেন রানি এলিজাবেথ, চিরকাল কর্তব্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে গেছেন

১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর লেফটেনান্ট ফিলিপ মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে বিয়ে হয়  এলিজাবেথের। পরের বছর ১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর জন্ম হয় প্রথম সন্তান প্রিন্স চার্লসের। ১৯৫১ সালে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজা অ্যালবার্ট। তখন থেকে তার প্রতিনিধিত্ব করে স্বামীর সঙ্গে বিদেশ সফরে যেতে শুরু করেন এলিজাবেথ।

১৯৫২ সালের জানুয়ারিতে প্রিন্স ফিলিপের অস্ট্রেলিয়া এবং  নিউজিল্যান্ড এই ভাবেই সফরে গিয়েছিলেন রানি। ঠিক সেই সময় দুর্যোগের খবর এসে পৌঁছয় তাঁর জীবনে। আসে রাজার মৃত্যুর খবর। দেশে  ফিরে আসেন এলিজাবেথ। তখন তিনি ছিলেন মাত্র ২৫ বছর বছরের যুবতী। দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁছে। সেই সময় তিনি ছিলেন দুই সন্তানের মা।

দুই শিশু সন্তানকে দেশে রেখেই ১৯৫৩ সালের নভেম্বরে ছ’মাসের জন্য কমলওয়েলথভুক্ত দেশের সফরে বেরিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ। রানির কাছে কর্তব্য ছিল তাঁর প্রথম অগ্রাধিকার। ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁর দীর্ঘ রাজত্বকাল জুড়ে ছিল কঠোর কর্তব্যপরায়ণতা। নানা বাধা বিপত্তির মধ্যে দিয়েও মধ্যেও ব্রিটেনের রাজতন্ত্রকে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে টিকিয়ে রেখেছেন।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লিলিবেথ থেকে হয়ে উঠেছিলেন রানি এলিজাবেথ, চিরকাল কর্তব্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে গেছেন

আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রানি হওয়ার কথা ছিল না তাঁর। লিলিবেথ থেকে তিনি হয়ে উঠেছিলেন রানি এলিজাবেথ। সবার প্রিয় হওয়ার কারণে একসময় তিনি ছিলেন লিলিবেথ। আর ছোট থেকেই তার মধ্যে ছিল কর্তব্য নিষ্ঠা। চিরকাল সেই কর্তব্য, নিষ্ঠা দিয়েই রাজত্বপাট সামলে গেছেন রানি। ৯৬ বছরের জীবনাবসানে দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে ব্রিটেনের সিংহাসনে রাজত্ব ভার সামলালেন রানি। বৃহস্পতিবার ৯ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে সেই বর্ণময়, ঐতিহাসিক জীবনের পরিসমাপ্তি। রানির সিংহাসনে বসার কথা ছিল না। নিজেই ভেঙে ছিলেন ব্রিটেনের রাজ পরিবারের ইতিহাস।

লিলিবেথ থেকে হয়ে উঠেছিলেন রানি এলিজাবেথ, চিরকাল কর্তব্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে গেছেন

আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯৬তম জন্মদিন

১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করে এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি উইন্ডসর। ব্রিটেনের হাজার বছরের ইতিহাসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি। ১৯৫৩ সালের ২ জুন  অভিষেক হয় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। গ্রেট ব্রিটেন এবং উত্তর  আয়ার্ল্যান্ডের রাজদণ্ড হাতে তুলে নেন তিনি। এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ ১৯৩৭ সালে ব্রিটেনের রাজা হন। বড় মেয়ে হিসাবে  সিংহাসনের দাবিদার ছিলেন এলিজাবেথ। তবে ব্রিটেনের রানি হওয়ার কথা ছিল না  তাঁর।

আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে তার অবস্থান ছিল কাকা অষ্টম এডওয়ার্ড এবং বাবা ষষ্ঠ জর্জ,  প্রিন্স অ্যালবার্টের পরে। তবে বিপত্নীক নারী ওয়েলিস সিম্পসনকে বিয়ে করার কারণে ১৯৩৬ সালে সিংহাসন  ত্যাগ করেন অষ্টম এডওয়ার্ড। এর সেই জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হন এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ। বাড়িতেই শিক্ষকদের কাছ থেকে এলিজাবেথ  ইতিহাস,  ভাষা,  সঙ্গীতের পারদর্শী হয়ে ওঠেন। প্রাতিষ্ঠানিক স্কুলে শিক্ষা না পেলেও ভাষার প্রতি এলিজাবেথের ভালো দখল ছিল। তিনি সাংবিধানিক ইতিহাস পড়েছিলেন বিস্তারিতভাবে।

লিলিবেথ থেকে হয়ে উঠেছিলেন রানি এলিজাবেথ, চিরকাল কর্তব্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে গেছেন

১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর লেফটেনান্ট ফিলিপ মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে বিয়ে হয়  এলিজাবেথের। পরের বছর ১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর জন্ম হয় প্রথম সন্তান প্রিন্স চার্লসের। ১৯৫১ সালে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজা অ্যালবার্ট। তখন থেকে তার প্রতিনিধিত্ব করে স্বামীর সঙ্গে বিদেশ সফরে যেতে শুরু করেন এলিজাবেথ।

১৯৫২ সালের জানুয়ারিতে প্রিন্স ফিলিপের অস্ট্রেলিয়া এবং  নিউজিল্যান্ড এই ভাবেই সফরে গিয়েছিলেন রানি। ঠিক সেই সময় দুর্যোগের খবর এসে পৌঁছয় তাঁর জীবনে। আসে রাজার মৃত্যুর খবর। দেশে  ফিরে আসেন এলিজাবেথ। তখন তিনি ছিলেন মাত্র ২৫ বছর বছরের যুবতী। দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁছে। সেই সময় তিনি ছিলেন দুই সন্তানের মা।

দুই শিশু সন্তানকে দেশে রেখেই ১৯৫৩ সালের নভেম্বরে ছ’মাসের জন্য কমলওয়েলথভুক্ত দেশের সফরে বেরিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ। রানির কাছে কর্তব্য ছিল তাঁর প্রথম অগ্রাধিকার। ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁর দীর্ঘ রাজত্বকাল জুড়ে ছিল কঠোর কর্তব্যপরায়ণতা। নানা বাধা বিপত্তির মধ্যে দিয়েও মধ্যেও ব্রিটেনের রাজতন্ত্রকে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে টিকিয়ে রেখেছেন।