০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জল স্তর নামলেও এখনও অনেক গ্রাম বিচ্ছিন্ন, জমি জলের তলায়

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২১, রবিবার
  • / 37

দেবশ্রী মজুমদার, লাভপুর: জল স্তর নামলেও এখনও  অনেক  গ্রাম বিচ্ছিন্ন, জমি জলের তলায়। কুঁয়ে নদীর  প্লাবনে ঠিবা পঞ্চায়েতের খাঁপুর, কাঁদরকুলা, রামঘাটি, জয়চন্দ্রপুর,  চতুরভুজপুর এবং পাশাপাশি লাভপুরের কাছে কুরুন্নাহারে বেশ কয়েকটি গ্রামে বন‍্যার জল ঢুকে পড়ে।  এরফলে গ্রামের বসত বাড়ি গোয়ালঘর ও শৌচালয় ভেঙে পড়ে। প্রায় দুশো হেক্টর ধান রোয়া জমি জলের তলায়। গ্রামের পাকা বাড়িতে অনেককেই স্থানান্তরিত করা হয়। ব্লক  অফিসের বিপর্যয় মোকাবেলায় ত্রিপল ও রেশন সরবরাহ করা হয়। চালু হয়েছে  কমিউনিটি কিচেন বলে জানান বোলপুর মহকুমা শাসক মানস হালদার। 

জানা গেছে, কুঁয়ে নদীর জলস্ফীতিতে নদীর পাড়ে রাস্তা ভেঙে প্রথমে খাঁপুর ও পরে কাঁদরকুলা গ্রামে জল হুড়মুড়িয়ে  ঢুকে পড়ে। কাঁদরকুলা গ্রামের বাসিন্দা সুবোধ হাজরা ও শিপ্রা হাজরা বলেন, যেভাবে  জমির পর জমি জলের তলায়, চারদিন এই জল না সরলে পোঁতা ধান পঁচতে শুরু করবে। কি হবে ভেবে পাচ্ছি না। তবে, ঠিবা পঞ্চায়েতের সব থেকে নিচু জায়গা চতুর্ভূজপুরে সব জল জমা হয়। তাই সেখানেই সব থেকে বেশি ক্ষতি।  অন্যদিকে, ব‍্যাঙ্গালোরে পাঠরত ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র রাহুল হাজরা গ্রামে এসে বন‍্যায় আঁটকে পড়েছেন। 

আরও পড়ুন: বীরভূমে বন্ধ Internet services

লাভপুর বিডিও সন্তু দাস বলেন, এখনও পর্যন্ত ছয়টি জায়গা ঘুরেছি। বিপর্যয় মোকাবেলা টিম কাজ করছে। এখনও বেশ কিছু গ্রাম বিচ্ছিন্ন আছে। প্রচুর  ক্ষতি চাষের হয়েছে। জল স্তর কিছুটা নেমেছে। আরও না নামলে ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে না। লাভপুর বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা ফোন করলে তিনি বলেন, এখন মিটিংয়ে আছি। কিছু বলতে পারবো না।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফেরাতে সওয়াল মীরওয়াইজের

আরও পড়ুন: ১১ মার্চ বসন্ত উৎসব বিশ্বভারতীতে, বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জল স্তর নামলেও এখনও অনেক গ্রাম বিচ্ছিন্ন, জমি জলের তলায়

আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২১, রবিবার

দেবশ্রী মজুমদার, লাভপুর: জল স্তর নামলেও এখনও  অনেক  গ্রাম বিচ্ছিন্ন, জমি জলের তলায়। কুঁয়ে নদীর  প্লাবনে ঠিবা পঞ্চায়েতের খাঁপুর, কাঁদরকুলা, রামঘাটি, জয়চন্দ্রপুর,  চতুরভুজপুর এবং পাশাপাশি লাভপুরের কাছে কুরুন্নাহারে বেশ কয়েকটি গ্রামে বন‍্যার জল ঢুকে পড়ে।  এরফলে গ্রামের বসত বাড়ি গোয়ালঘর ও শৌচালয় ভেঙে পড়ে। প্রায় দুশো হেক্টর ধান রোয়া জমি জলের তলায়। গ্রামের পাকা বাড়িতে অনেককেই স্থানান্তরিত করা হয়। ব্লক  অফিসের বিপর্যয় মোকাবেলায় ত্রিপল ও রেশন সরবরাহ করা হয়। চালু হয়েছে  কমিউনিটি কিচেন বলে জানান বোলপুর মহকুমা শাসক মানস হালদার। 

জানা গেছে, কুঁয়ে নদীর জলস্ফীতিতে নদীর পাড়ে রাস্তা ভেঙে প্রথমে খাঁপুর ও পরে কাঁদরকুলা গ্রামে জল হুড়মুড়িয়ে  ঢুকে পড়ে। কাঁদরকুলা গ্রামের বাসিন্দা সুবোধ হাজরা ও শিপ্রা হাজরা বলেন, যেভাবে  জমির পর জমি জলের তলায়, চারদিন এই জল না সরলে পোঁতা ধান পঁচতে শুরু করবে। কি হবে ভেবে পাচ্ছি না। তবে, ঠিবা পঞ্চায়েতের সব থেকে নিচু জায়গা চতুর্ভূজপুরে সব জল জমা হয়। তাই সেখানেই সব থেকে বেশি ক্ষতি।  অন্যদিকে, ব‍্যাঙ্গালোরে পাঠরত ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র রাহুল হাজরা গ্রামে এসে বন‍্যায় আঁটকে পড়েছেন। 

আরও পড়ুন: বীরভূমে বন্ধ Internet services

লাভপুর বিডিও সন্তু দাস বলেন, এখনও পর্যন্ত ছয়টি জায়গা ঘুরেছি। বিপর্যয় মোকাবেলা টিম কাজ করছে। এখনও বেশ কিছু গ্রাম বিচ্ছিন্ন আছে। প্রচুর  ক্ষতি চাষের হয়েছে। জল স্তর কিছুটা নেমেছে। আরও না নামলে ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে না। লাভপুর বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা ফোন করলে তিনি বলেন, এখন মিটিংয়ে আছি। কিছু বলতে পারবো না।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফেরাতে সওয়াল মীরওয়াইজের

আরও পড়ুন: ১১ মার্চ বসন্ত উৎসব বিশ্বভারতীতে, বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ