০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শোপিয়ানে গ্রাম ছাড়লেন শেষ কাশ্মীরি পন্ডিতের পরিবার, আপেল বাগান দেখবেন মুসলিম প্রতিবেশীরাই

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২২, শনিবার
  • / 64

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:চোখের সামনে দেখছেন একের পর এক হত্যা। শ্রীনগরে গ্রাম ছাড়লেন শেষ কাশ্মীরি পন্ডিতের পরিবারও।

আরও পড়ুন: জুলাই মাসে চতুর্থ উষ্ণতম রাতের রেকর্ড শ্রীনগরে, উপত্যকা জুড়ে জলের ঘাটতি, পানীয় জলের সংকট

গত ১৫ অক্টোবর এই গ্রামেই প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয় কাশ্মীরি পণ্ডিত পুরাণকৃষ্ণান ভট্টকে। শোপিয়ান জেলারই আর এক গ্রাম চটিগামে খুন হন আর এক কাশ্মীরি পণ্ডিত।

আরও পড়ুন: ধর্মীয় স্বাধীনতায় আক্রমণ: ওয়াকফ নিয়ে মামলার হুঁশিয়ারি ওমরের

কাশ্মীরে শোপিয়ান জেলার চৌধুরীগুন্দ গ্রামের সাতটি কাশ্মীরি পরিবার গত কয়েকদিনে চলে গিয়েছেন জম্মুতে। শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন ডলি কুমারীর পরিবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না। চোখের জলে ছাড়লেন গ্রাম। নিজেদের সুবিশাল আপেল বাগানের দায়িত্ব দিয়ে গেলেন মুসলিম প্রতিবেশীদের। তাঁরাও চোখের জলে বিদায় দিয়ে বলেছেন জীবন দিয়ে রক্ষা করবেন ডলির আপেল বাগান। ফল বিক্রি করে পাঠিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা করবেন।

আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল, শ্রীনগরের  নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো ইনশা মুস্তাক

গত এক বছরের মধ্যে পাঁচ জন কাশ্মীরি পণ্ডিত খুন হয়ে যাওয়ায় উপত্যকায় থাকার সাহস দেখাতে পারছেন না ডলিরা।

মুসলিম প্রতিবেশী গুলাম হাসানের কথায় সবকিছু কেমন বদলে গেল। গ্রামে শান্তি ছিল, আমরা পাশাপাশি বসবাস করছি দীর্ঘ বছর ধরে।

তবে প্রশাসনের তরফ থেকে যথারীতি অস্বীকার হয়েছে এই ঘটনা। তাদের দাবি ফসল কাটার মরসুমে অনেক পরিবারই জম্মুতে ছুটি কাটাতে যায়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুখের কথায় আর ভরসা নেই ডলিদের। তাই কাশ্মীরি পন্ডিতরা পালিয়ে বাঁচাকেই শ্রেয় বলে মনে করছেন।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শোপিয়ানে গ্রাম ছাড়লেন শেষ কাশ্মীরি পন্ডিতের পরিবার, আপেল বাগান দেখবেন মুসলিম প্রতিবেশীরাই

আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২২, শনিবার

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:চোখের সামনে দেখছেন একের পর এক হত্যা। শ্রীনগরে গ্রাম ছাড়লেন শেষ কাশ্মীরি পন্ডিতের পরিবারও।

আরও পড়ুন: জুলাই মাসে চতুর্থ উষ্ণতম রাতের রেকর্ড শ্রীনগরে, উপত্যকা জুড়ে জলের ঘাটতি, পানীয় জলের সংকট

গত ১৫ অক্টোবর এই গ্রামেই প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয় কাশ্মীরি পণ্ডিত পুরাণকৃষ্ণান ভট্টকে। শোপিয়ান জেলারই আর এক গ্রাম চটিগামে খুন হন আর এক কাশ্মীরি পণ্ডিত।

আরও পড়ুন: ধর্মীয় স্বাধীনতায় আক্রমণ: ওয়াকফ নিয়ে মামলার হুঁশিয়ারি ওমরের

কাশ্মীরে শোপিয়ান জেলার চৌধুরীগুন্দ গ্রামের সাতটি কাশ্মীরি পরিবার গত কয়েকদিনে চলে গিয়েছেন জম্মুতে। শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন ডলি কুমারীর পরিবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না। চোখের জলে ছাড়লেন গ্রাম। নিজেদের সুবিশাল আপেল বাগানের দায়িত্ব দিয়ে গেলেন মুসলিম প্রতিবেশীদের। তাঁরাও চোখের জলে বিদায় দিয়ে বলেছেন জীবন দিয়ে রক্ষা করবেন ডলির আপেল বাগান। ফল বিক্রি করে পাঠিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা করবেন।

আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল, শ্রীনগরের  নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো ইনশা মুস্তাক

গত এক বছরের মধ্যে পাঁচ জন কাশ্মীরি পণ্ডিত খুন হয়ে যাওয়ায় উপত্যকায় থাকার সাহস দেখাতে পারছেন না ডলিরা।

মুসলিম প্রতিবেশী গুলাম হাসানের কথায় সবকিছু কেমন বদলে গেল। গ্রামে শান্তি ছিল, আমরা পাশাপাশি বসবাস করছি দীর্ঘ বছর ধরে।

তবে প্রশাসনের তরফ থেকে যথারীতি অস্বীকার হয়েছে এই ঘটনা। তাদের দাবি ফসল কাটার মরসুমে অনেক পরিবারই জম্মুতে ছুটি কাটাতে যায়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুখের কথায় আর ভরসা নেই ডলিদের। তাই কাশ্মীরি পন্ডিতরা পালিয়ে বাঁচাকেই শ্রেয় বলে মনে করছেন।