২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মরক্কোর প্রতি অঘটন শব্দের অবসান হোক

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 46

 

শুভায়ুর রহমানঃ  অঘটন কয় বার আসতে পারে? এক বার, দু,বার নাকি তিনবার? আফ্রিকার ছোট্ট দেশ কাতারে যে পাড়ি দিয়েছিল তাঁদের সার্বিক ক্ষমতা নিয়েই। গ্রুপ F এর সবচেয়ে দুর্বল দেশ হিসাবে ধরা হচ্ছিল।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের সমর্থনে মরক্কোয় বিক্ষোভ

 

আরও পড়ুন: একসঙ্গে ৯ সন্তানের জন্ম দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড মরক্কোতে, স্বীকৃতি দিয়ে ভিডিও পোস্ট করল গিনেশ বুক

গত ২৩ নভেম্বর গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য অবস্থায় যখন ক্রোয়েশিয়াকে আটকে দিল। বিশ্বজুড়ে মিডিয়ার শিরোনাম ছিল ‘অঘটন’ শব্দ। ২৭ নভেম্বর বেলজিয়ামকে ২ গোলে পর্যুদস্ত করে ইতিহাসের খাতায় নাম তুললো তখনও ‘অঘটন’ তকমা লেখা হল। ১ ডিসেম্বরে কানাডার বিরুদ্ধে জয় হয়তো প্রত্যাশিত ছিল। তবে সবচেয়ে কঠিন কাজটি করে দিল নক আউট পর্যায়ে প্রি-কোয়ার্টারে স্পেনকে ৩  গোলে পেনাল্টিতে হারানোর পর।  আবার সেই ‘অঘটন’ শব্দ! স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্ন উঠে যায় দুর্বল মনে করা একটি দেশ যখন তিন শক্তিধরকে হারিয়ে কোয়ার্টার পর্যায়ে সুপার এইটে স্থান পায় তখনও কি ‘অঘটন’ শব্দ জুড়ে দেওয়া যায়?

আরও পড়ুন: সব সীমানা ছাড়িয়ে গেল মরক্কোর গর্জন

 

একটি দলের ক্ষেত্রে এক বার হতে পারে কিংবা দু,বার। বারবার ভালো খেলে এসেছে। গ্রুপ পর্যায়ে মোট ৩ ম্যাচে ২ জয়, ১ ড্র করে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিল তালিকায় শীর্ষে। মরক্কো যেখানে প্রতিপক্ষের জালে ৪ বার বল জড়িয়েছে সেখানে তাদের গোল পোস্টে মাত্র একবার বল ঢুকেছে।

 

পাশাপাশি অসাধারণ একটা খেলা উপহার দিল স্পেনের বিরুদ্ধে। ৯০ মিনিটে অমীমাংসিত হওয়ার পর আবার ৩০ মিনিটেও গোল শূন্য। ১২০ মিনিটে স্পেনের মতো দলকে রুখে দিয়ে যে নজির গড়েছে এরপর হয়তো ‘অঘটন’ শব্দ প্রয়োগ করে মরক্কোকে খাটো করে দেখা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

ইয়াসিন বোনোর মনকাড়া সেভ বিশ্বের ফুটবল প্রেমী মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এর থেকে প্রমাণিত যে মরক্কো বিশ্ব মঞ্চে তৈরি। তাঁরা তাঁদের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে খেলছে। যখন আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড, স্পেন, জার্মানি নিয়ে আমরা আলোচনায় মেতে থাকি। ফুটবল বিশ্বকাপ যেন এই মহাশক্তিদের জন্যই বরাদ্দ!এমনই সব ভান করি। কিন্তু একটা কথা তো সত্যি সমস্ত শক্তিধরই রাতারাতি ক্ষমতার অধিপতি হয় না।

 

সময়ের সঙ্গে নিজেদের পরিবর্তন অনুশীলনে শান দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছাতে চেষ্টা করে থাকে। হতেই পারে মরক্কো সেই জায়গায় নিজেদের মেলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। হয়তো আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড হওয়ার জায়গায় নেই। কিন্তু তাঁরাও তৈরি প্রমাণ দিল বারবার। এবার না হয় তাঁদের নামের পাশে ‘অঘটন’ শব্দ বাদ দিয়ে নতুনভাবে সমীহ করে চলি। মরক্কো উঠে আসুক না শক্তিশালী তালিকায়। ক্ষতি তো নেই।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মরক্কোর প্রতি অঘটন শব্দের অবসান হোক

আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

 

শুভায়ুর রহমানঃ  অঘটন কয় বার আসতে পারে? এক বার, দু,বার নাকি তিনবার? আফ্রিকার ছোট্ট দেশ কাতারে যে পাড়ি দিয়েছিল তাঁদের সার্বিক ক্ষমতা নিয়েই। গ্রুপ F এর সবচেয়ে দুর্বল দেশ হিসাবে ধরা হচ্ছিল।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের সমর্থনে মরক্কোয় বিক্ষোভ

 

আরও পড়ুন: একসঙ্গে ৯ সন্তানের জন্ম দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড মরক্কোতে, স্বীকৃতি দিয়ে ভিডিও পোস্ট করল গিনেশ বুক

গত ২৩ নভেম্বর গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য অবস্থায় যখন ক্রোয়েশিয়াকে আটকে দিল। বিশ্বজুড়ে মিডিয়ার শিরোনাম ছিল ‘অঘটন’ শব্দ। ২৭ নভেম্বর বেলজিয়ামকে ২ গোলে পর্যুদস্ত করে ইতিহাসের খাতায় নাম তুললো তখনও ‘অঘটন’ তকমা লেখা হল। ১ ডিসেম্বরে কানাডার বিরুদ্ধে জয় হয়তো প্রত্যাশিত ছিল। তবে সবচেয়ে কঠিন কাজটি করে দিল নক আউট পর্যায়ে প্রি-কোয়ার্টারে স্পেনকে ৩  গোলে পেনাল্টিতে হারানোর পর।  আবার সেই ‘অঘটন’ শব্দ! স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্ন উঠে যায় দুর্বল মনে করা একটি দেশ যখন তিন শক্তিধরকে হারিয়ে কোয়ার্টার পর্যায়ে সুপার এইটে স্থান পায় তখনও কি ‘অঘটন’ শব্দ জুড়ে দেওয়া যায়?

আরও পড়ুন: সব সীমানা ছাড়িয়ে গেল মরক্কোর গর্জন

 

একটি দলের ক্ষেত্রে এক বার হতে পারে কিংবা দু,বার। বারবার ভালো খেলে এসেছে। গ্রুপ পর্যায়ে মোট ৩ ম্যাচে ২ জয়, ১ ড্র করে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিল তালিকায় শীর্ষে। মরক্কো যেখানে প্রতিপক্ষের জালে ৪ বার বল জড়িয়েছে সেখানে তাদের গোল পোস্টে মাত্র একবার বল ঢুকেছে।

 

পাশাপাশি অসাধারণ একটা খেলা উপহার দিল স্পেনের বিরুদ্ধে। ৯০ মিনিটে অমীমাংসিত হওয়ার পর আবার ৩০ মিনিটেও গোল শূন্য। ১২০ মিনিটে স্পেনের মতো দলকে রুখে দিয়ে যে নজির গড়েছে এরপর হয়তো ‘অঘটন’ শব্দ প্রয়োগ করে মরক্কোকে খাটো করে দেখা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

ইয়াসিন বোনোর মনকাড়া সেভ বিশ্বের ফুটবল প্রেমী মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এর থেকে প্রমাণিত যে মরক্কো বিশ্ব মঞ্চে তৈরি। তাঁরা তাঁদের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে খেলছে। যখন আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড, স্পেন, জার্মানি নিয়ে আমরা আলোচনায় মেতে থাকি। ফুটবল বিশ্বকাপ যেন এই মহাশক্তিদের জন্যই বরাদ্দ!এমনই সব ভান করি। কিন্তু একটা কথা তো সত্যি সমস্ত শক্তিধরই রাতারাতি ক্ষমতার অধিপতি হয় না।

 

সময়ের সঙ্গে নিজেদের পরিবর্তন অনুশীলনে শান দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছাতে চেষ্টা করে থাকে। হতেই পারে মরক্কো সেই জায়গায় নিজেদের মেলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। হয়তো আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড হওয়ার জায়গায় নেই। কিন্তু তাঁরাও তৈরি প্রমাণ দিল বারবার। এবার না হয় তাঁদের নামের পাশে ‘অঘটন’ শব্দ বাদ দিয়ে নতুনভাবে সমীহ করে চলি। মরক্কো উঠে আসুক না শক্তিশালী তালিকায়। ক্ষতি তো নেই।